বান্দরবানে হিন্দাল শারকিয়ার ১৭ জনসহ আটক ২০
ডেল্টা টাইমস্ ডেস্ক:
|
বান্দরবানে পাহাড়ে র্যাবের অভিযানে নব্য জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারকিয়ার ১৭ জন এবং পাহাড়ের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কুকি চীন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) ৩ সদস্যকে আটক করা হয়েছে। এ সময় উদ্ধার হয়েছে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র, বোমা তৈরির সরঞ্জাম এবং নগদ অর্থ।
বুধবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টায় বান্দরবানের মেঘলায় র্যাব কার্যালয়ে পার্শ্ববর্তী পার্বত্য জেলা পরিষদের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান র্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক খন্দকার আল মঈন। আটকরা হলেন- জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারকিয়ার সদস্য কুমিল্লা সদরের মো. আস সামী রহমান সাদ (১৯), বরগুনা বেতাগী এলাকাকার মো. সোহেল মোল্লা সাইফুল্লাহ (২২), পটুয়াখালী সদরের মো. আল আমিন ফকির মোস্তাক (১৯), কুমিল্লা লাঙ্গলকোট এলাকার মো. জহিরুল ইসলাম ওরফে ওমর ফারুক (২৭), পটুয়াখালী সদরের মো. মিরাজ হোসেন ওরফে দোলন, মুন্সিগঞ্চ টঙ্গীবাড়ির রিয়াজ শেখ জায়েদ (২৪), পটুয়াখালী মহিপুরের মো. ওবাইদুল্লাহ (২০), পটুয়াখালী মির্জাগঞ্জের জুয়েল মাহমুদ (২৭), টাইঙ্গাইল ধানবাড়ীর মো. ইলিয়াছ রহমান (৩২), ঝালকাঠি সদরের মো. হাবিবুর রহমান (২৩), কুমিল্লা সদরের মো. সাখাওয়াত হোসেইন (২১), বরিশাল কোতয়ালীর মো. আব্দুস সালাম রাকি (২৮), কুমিল্লা লাকসামের যোবায়ের আহমদ (২৯), পটুয়াখালীর মো. শামীম হোসেন (২৬), হবিগঞ্জ জেলার তাওয়াবুর রহমান সোহান (২০), বরিশালের মাহমুদ ডাকুয়া (২০), মাগুরার মোহাম্মদ আবু হুরাইরা (২২) এবং রাঙামাটির বিলাইছড়ির মালসম পাংকুয়া (৫২), লাল মোল সিয়াম বম (২৮) ও ফ্লাগ ক্রস (৩০)। উদ্ধার করা বিষয়াদির মধ্যে রয়েছ ১১টি দেশি-বিদেশি অস্ত্র, গোলাবারুদ, বোমা তৈরির সরঞ্জাম, উগ্রবাদী বই, কন্টেন্ট, লিফলেট, সন্ত্রাসীদের ব্যবহৃত জিনিসপত্র, অস্ত্র তৈরির জন্য জমা করা ৭ লাখ নগদ টাকা। র্যাব জানায়, থানচি উপজেলার সীমান্তবর্তী রুমা উপজেলার রেমাক্রী পাংসা ইউনিয়নের দুর্গম রেমাক্রী ব্রিজ এলাকায় অভিযানে গেলে র্যাবের সাথে পাহাড়ের বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন কুকি চীন ন্যাশনাল ফ্রন্ট এবং জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারকিয়ার সশস্ত্র সদস্যদের মধ্যে গোলাগুলি হয়। খন্দকার আল মঈন জানান, তথাকথিত হিজরতের নামে উদ্বুদ্ধ হয়ে ঘর ছাড়া নিখোঁজ ৫৫ জন তরুণের মধ্যে ২৭ জনকে আইনের আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে। আরও ২৮ জনের খোঁজে র্যাবের অভিযান চলমান রয়েছে। তারা অর্থের বিনিময়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে কেএনএফ সশস্ত্র সংগঠনের সহযোগিতায় পাহাড়ে জঙ্গি সামরিক প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। তিনি জানান, নগদ সাত লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে, যা অবৈধ পথে অস্ত্র কেনার জন্য জমা করেছিল তারা। পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে এ পর্যন্ত প্রথম দফায় ৫ জন, দ্বিতীয় দফায় ১০ জন এবং তৃতীয় দফায় ২ জনসহ মোট ১৭ জন জঙ্গি এবং তিন দফায় ১৭ জন কেএনএফ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কেএনএফের সদস্য সংখ্যা ২০০ জন। অভিযানে র্যাব ৩৫০ রাউন্ড গুলি করেছে, সন্ত্রাসীরা ২০০ রাউন্ডের মতো গুলি ছুড়েছে। আহত হয়েছেন আটজন র্যাব সদস্য। তারা গুলিবিদ্ধ হলেও মারাত্মক আঘাত পাননি। তারা চিকিৎসাধীন রয়েছেন, তবে সবাই ঝুঁকিমুক্ত। ডেল্টা টাইমস্/সিআর/একে |
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |