বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩০

জাস্টিন ট্রুডো ও নরেন্দ্র মোদির বিরোধের নেপথ্যে কি আছে
রায়হান আহমেদ তপাদার
প্রকাশ: বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ৪:০১ পিএম | অনলাইন সংস্করণ

জাস্টিন ট্রুডো ও নরেন্দ্র মোদির বিরোধের নেপথ্যে কি আছে
ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার সারেতে শিখদের একটি মন্দিরের সামনে গত ১৮ জুন খুন হন হারদীপ সিং নিজ্জার। নিজ্জার শিখদের জন্য খালিস্তান নামে স্বাধীন আবাসভূমি প্রতিষ্ঠায় প্রচারণা চালাচ্ছিলেন বলে ভারতের অভিযোগ আছে। ওই আবাসভূমি ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যে, যাকে তাঁরা খালিস্তান বলছেন। ভারত সরকার তাঁকে আগেই ওয়ান্টেড-এর তালিকায় রেখেছিল এবং জুলাই, ২০২০-এ তাঁকে ‘সন্ত্রাসী’ বলে আখ্যা দেয়। কানাডার ওয়ার্ল্ড শিখ অর্গানাইজেশন জানাচ্ছে, কানাডার গোয়েন্দা সংস্থা আগেই নিজ্জারকে সতর্ক করেছিল। তারা বলছে, নিজ্জারের হত্যাকাণ্ড ছিল পূর্বপরিকল্পিত।ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যে মোট জনগোষ্ঠীর ৫৮ শতাংশ শিখ এবং ৩৯ শতাংশ হিন্দু। আশির দশক ও নব্বই দশকের শুরুর দিকে খালিস্তানের বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন জোরদার হয়। ওই সময় হাজার হাজার মানুষ নিহত হন। এই মুহূর্তে এই আন্দোলন নিয়ে সবচেয়ে বেশি সোচ্চার ভারতের বাইরে বসবাসরত অভিবাসীরা। কানাডার সঙ্গে ভারতের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক হঠাৎই তলানিতে। এর শুরু একটি হত্যাকাণ্ড ঘিরে। কানাডার মাটিতে খুন হয়েছেন শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর। এই খুনের পেছনে ভারত সরকার জড়িত-এমনটাই অভিযোগ কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর। আর এ নিয়েই দুই দেশের মধ্যে চলছে চাপা উত্তেজনা। খালিস্তান আন্দোলনের এই নেতার হত্যকাণ্ডের পর ভারত ও কানাডার মধ্যে কূটনৈতিক টানাপোড়েন দেখা দিয়েছে। ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যের জলন্ধরের ভার সিং পুরা গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন হরদীপ সিং নিজ্জর। ওই গ্রামেই জন্ম তাঁর। স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে কানাডায় বসবাস করতেন তিনি। পাঞ্জাব থেকে ১৯৯৭ সালে তিনি কানাডায় পাড়ি জমান।সেখানে মিস্ত্রির কাজ করতেন।ভারতের অভিযোগ হরদীপ সিং খালিস্তান আন্দোলনের একজন নেতা।

খালিস্তান আন্দোলনকারীরা ভারতের চোখে বিচ্ছিন্নতা বাদী। খালিস্তানিদের সংগঠন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে যুক্ত এবং কানাডা বরাবরই খালিস্তানিদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে আসছে বলেও অভিযোগ দিল্লির। ১৮ সেপ্টেম্বর কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো কানাডায় অবস্থানরত এক কূটনীতিকের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনার পর থেকে ভারতের সঙ্গে দেশটির সম্পর্ক ক্রমান্বয়ে অবনতির দিকে যাচ্ছে। চলতি বছর জুনে কানাডার এক গুরুদুয়ারার বাইরে শিখ নেতা ও কানাডার নাগরিক হরদীপ সিং নিজ্জরকে হত্যা করা হয়। ১৯ সেপ্টেম্বর কানাডার প্রধানমন্ত্রী ভারতীয় এক কূটনীতিককে বহিষ্কারের নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছেন, ভারত সরকার যেন বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে। অবশ্য ভারত এ অভিযোগ প্রথম থেকেই অস্বীকার করে আসছে। তারাও কানাডার এক কূটনীতিককে ভারত থেকে বহিষ্কার করেছে। মূলত খালিস্তান ইস্যু নিয়ে কয়েক বছর ধরেই দুই দেশের সম্পর্ক তলানিতে রয়েছে।প্রশ্ন হচ্ছে, খালিস্তান আন্দোলন মূলত কী, কেনইবা এটি দুই দেশের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির পাল্লা বাড়িয়ে চলেছে।২০২০ সালে ভারতীয় সরকার নিজ্জরকে জঙ্গি হিসেবে আখ্যায়িত করে। মূলত ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশকে স্বাধীন করে শিখ ধর্মাবলম্বীদের আলাদা রাষ্ট্র খালিস্তান গড়ার আন্দোলনে সম্পৃক্ত ছিলেন তিনি। খালিস্তান আন্দোলনের ইতিহাস একটু জটিল। শিখদের নিজস্ব রাষ্ট্র গড়ার এ আন্দোলন শুরু হয় ১৯৮০-এর দিকে। ভারত স্বাধীন হওয়ার পর শিখদের একাংশ আর্থসামাজিক এবং রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সন্তুষ্ট হতে পারছিল না। বিশেষত ১৯৪৭ সালে পাঞ্জাব পাকিস্তান ও ভারতের অংশে ভাগ হয় যা শিখ সম্প্রদায়ের মধ্যে উদ্বেগ ও অসন্তুষ্টি বাড়ায়। দেশভাগের ফলে মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ পাকিস্তান এবং হিন্দুশাসিত ভারতে পাঞ্জাব ভাগ হয়ে যাওয়ায় শিখদের কণ্ঠস্বর দমে যাচ্ছে, এমন একটি ভাবনা ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে।

১৯৬৬ সালে পাঞ্জাবকে আবার ভাগ করা হয় ভাষার ভিত্তিতে। হিন্দি ভাষাভাষী অঞ্চল হিসেবে পাঞ্জাব থেকে হরিয়ানা নামক আরেকটি প্রদেশ করা হয়। ১৯৬০-এর দশকে ভারতের কৃষি উৎপাদন বাড়ানোর জন্য সবুজ বিপ্লব চালু করা হয়। এ লক্ষ্যমাত্রার মাধ্যমে অর্থনৈতিক ভাবে ভারত উপকৃত হলেও শিখ সম্প্রদায়ের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। সম্পদের অসম বণ্টন এবং অকৃষিভিত্তিক অবকাঠামো নির্মাণের ফলে শিখ সম্প্রদায় রাষ্ট্রকাঠামোর ওপর নেতিবাচক মনোভাব পোষণ করতে শুরু করে। তাদের ধারণা, কৃষি উৎপাদনের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকার এক ধরনের মনোপলি চালু করে রেখেছে। শিখ সম্প্রদায়ের ক্ষোভের আরেকটি বড় কারণ সুতলেজ নদের পানি বণ্টন। এ নদের পানি হরিয়ানা ও রাজস্থানে সরবরাহের ব্যবস্থা নেওয়ার ফলে পাঞ্জাবে অবস্থানরত শিখ সম্প্রদায়ের সমস্যা দেখা দেয়। শিখদের ক্ষোভ মূলধারায় উচ্চারিত হতে শুরু করে ১৯৭০-এর দিকে। জার্নাইল সিং ভিন্দ্রানওয়ালে নামক এক ধর্মপ্রচারক দাবি করেন, ভারতীয় প্রশাসন ইচ্ছাকৃতভাবে শিখ সম্প্রদায়ের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করছে। ভিন্দ্রানওয়ালে শিগগিরই পাঞ্জাবের অন্যতম প্রণিধান যোগ্য নেতা হয়ে ওঠেন। অমৃতসরের গোল্ডেন টেম্পল কমপ্লেক্সে তিনি বসবাস শুরু করেন। এটি শিখদের অন্যতম পবিত্র স্থান। সেখানে অস্ত্র সংগ্রহের মাধ্যমে তিনি ছায়া সরকার কাঠামো গড়ে তোলেন। গোল্ডেন টেম্পল থেকে ভিন্দ্রানওয়ালে এবং উগ্রবাদীদের হটানোর জন্য ভারতীয় সেনাবাহিনী ১৯৮৪ সালের জুনে অপারেশন ব্লুস্টার পরিচালনা করে। এ অভিযানের পর শিখ সম্প্রদায় আরও বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। সারা বিশ্বে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা শিখ ডায়াসপোরা সম্প্রদায় সংগঠিত হতে শুরু করে। শিখদের ক্ষোভ পরিস্থিতি আরও অবনতির দিকে ঠেলে দেয়।

১৯৮৪ সালের নভেম্বরে ভারতের তদানীন্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী তার দেহরক্ষীর হাতে নৃশংসতার শিকার হওয়ার পর নয়াদিল্লিতে বিক্ষুব্ধ দাঙ্গায় ২ হাজার ৭০০ শিখ নিহত হয়। পাঞ্জাব অঞ্চল এ সময় অস্থিতিশীল হয়ে পড়ে। ২০২০-২১ সালে পাঞ্জাবে কৃষকের সম্মিলিত বিপ্লবের পেছনেও শিখ সম্প্রদায়ের বড় ভূমিকা রয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে এ আন্দোলন খালিস্তান আন্দোলনকে আবার মানুষের সামনে তুলে আনে।পাঞ্জাবের সমর্থকরাও এ আন্দোলনের পুনর্গঠনের বিষয়ে আগ্রহী হয়ে ওঠে। তখন থেকেই প্রশাসনিক পর্যায়ে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ওপর কড়া নজর রেখে চলেছে ভারত। ভারতীয় সরকার কয়েক বছর ধরে এ আন্দোলনের পেছনে পাকিস্তানের মদদ রয়েছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে আসছে। চলতি বছর অমৃতপাল সিং নামে স্বঘোষিত ধর্মপ্রচারককে আতঙ্ক এবং সহিংসতা ছড়ানোর অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে গ্রেপ্তারের পর বিষয়টির পক্ষে-বিপক্ষে বহু তর্ক দেখা দেয়। খালিস্তান আন্দোলন শুরু থেকেই ভারতে সীমাবদ্ধ ছিল না। ১৯৮৪ সালে ভারতীয় সেনাদের অভিযানের পর শিখদের সংকট ভারতের সীমানা পেরিয়ে যায়। কানাডা, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়ায় শিখদের ডায়াসপোরা গড়ে উঠতে শুরু করে। দেশের বাইরে এ ডায়াসপোরা কমিউনিটির মধ্যে খালিস্তান আন্দোলন ভিন্ন রূপ পেতে শুরু করে। ভারতের পর কানাডায় শিখ সম্প্রদায় সংখ্যাগরিষ্ঠ। টরন্টো থেকে লন্ডনের পথে যাত্রাকারী এয়ার ইন্ডিয়া ফ্লাইটে বোমা হামলার দায় কানাডায় অবস্থিত শিখ সংগঠনের ওপর দেওয়া হয়। ওই হামলায় ৩২৯ বিমান যাত্রী নিহত হন। চলতি বছর জুনে নিজ্জর আততায়ীর গুলিতে নিহত হন। গত বছর তার কাছাকাছি এলাকায় আরেকজন শিখ নিহত হয়েছিলেন। ভারত সরকার প্রথম থেকেই খালিস্তান আন্দোলন সংগঠনকারী উগ্রবাদী সংগঠনের ঘাঁটি হিসেবে কানাডাকে দায়ী করে আসছে।

বিশেষত ২০১৯ সালে কানাডার নিরাপত্তা হুমকির প্রতিবেদন থেকে শিখ উগ্রবাদী নানা সংগঠনকে সরিয়ে ফেলার ঘটনায় ভারত প্রশাসন চটে যায়। সম্প্রতি কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাজ্যে খালিস্তান আন্দোলনের প্রতি জনসমর্থনের বিষয়টিও ভারতকে অস্বস্তিতে ফেলেছে। বিভিন্ন পরিস্থিতি ভারত-কানাডা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক তলানির দিকে ঠেলে দিচ্ছে। জি-২০ সম্মেলনে জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এ বিষয়ে আলোচনা হলেও ইতিবাচক সমাধান মেলেনি। মানবাধিকার লঙ্ঘন বিষয়ে যেকোনো সমালোচনা এড়ানোর ক্ষেত্রে ভারত পর্যাপ্ত সতর্কতা অবলম্বন করছে। যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া এবং ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের অন্য রাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নের ক্ষেত্রে এমন সতর্কতা তাদের অবলম্বন করতেই হচ্ছে। নিজ্জর হত্যা প্রসঙ্গে ট্রুডোর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অস্ট্রেলিয়া ইতোমধ্যে তাদের উদ্বেগ জানিয়েছে। যুক্তরাজ্যের প্রশাসনিক উচ্চপদস্থ এক কর্মকর্তাও এ অভিযোগকে গুরুতর বলে আখ্যায়িত করেছেন। আগামী কয়েক মাসে পরিস্থিতি ভিন্ন দিকে মোড় নেবে-এমন আশংকাও রয়েছে। কানাডা ও ভারতের কূটনীতি এখন হরদীপ সিং নিজ্জর হত্যাকাণ্ড নিয়ে চরম উত্তপ্ত। এই হত্যার পেছনে ভারতের সংশ্লিষ্টতা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। বিশেষজ্ঞদের ভাষ্য, ভারতের সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত হলে, তা বিদেশের মাটিতে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড হিসেবে ধরা হবে। তখন তা আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন হিসেবে বিবেচিত হবে।গত ১৮ জুন কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়া প্রদেশে একটি শিখ মন্দিরের বাইরে শিখ সম্প্রদায়ের খালিস্তান আন্দোলনের নেতা হরদীপ সিংকে গুলি করে হত্যা করা হয়। বিষয়টি নিয়ে সোচ্চার কানাডা সরকার।

নয়াদিল্লির সঙ্গে চলমান উত্তেজনার মধ্যে নানা পদক্ষেপও নিয়েছে দেশটি। কানাডার আন্তর্জাতিক অপরাধবিষয়ক আইনজীবী আমান্ডা ঘাহরেমানি বলেছেন, হরদীপ হত্যা নিয়ে কানাডা যেভাবে এগোচ্ছে, তা থেকে বোঝা যায় বিষয়টিতে তারা কতটা গুরুত্ব দিচ্ছে। আন্তর্জাতিক অপরাধবিষয়ক আইনজীবী আমান্ডা ঘাহরেমানি বলছিলেন, হরদীপ হত্যাকাণ্ডে যদি ভারত জড়িত থাকে, তাহলে তা হবে জাতিসংঘ সনদের লঙ্ঘন। সনদে স্পষ্ট বলা আছে, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বজায় রাখতে কোনো দেশের আঞ্চলিক অখণ্ডতা ও রাজনৈতিক স্বাধীনতার বিরুদ্ধে শক্তি খাটানো এবং হুমকি হয়ে দাঁড়ানো থেকে সব সদস্যদেশকে বিরত থাকতে হবে।

লেখক: গবেষক ও কলাম লেখক



ডেল্টা টাইমস/সিআর

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
  এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ  
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. জাহাঙ্গীর আলম, নির্বাহী সম্পাদক: মো. আমিনুর রহমান
প্রকাশক কর্তৃক ৩৭/২ জামান টাওয়ার (লেভেল ১৪), পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত
এবং বিসমিল্লাহ প্রিন্টিং প্রেস ২১৯ ফকিরাপুল, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত।

ফোন: ০২-৪৭১২০৮৬১, ০২-৪৭১২০৮৬২, ই-মেইল : deltatimes24@gmail.com, deltatimes24@yahoo.com
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. জাহাঙ্গীর আলম, নির্বাহী সম্পাদক: মো. আমিনুর রহমান
প্রকাশক কর্তৃক ৩৭/২ জামান টাওয়ার (লেভেল ১৪), পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত
এবং বিসমিল্লাহ প্রিন্টিং প্রেস ২১৯ ফকিরাপুল, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত।
ফোন: ০২-৪৭১২০৮৬১, ০২-৪৭১২০৮৬২, ই-মেইল : deltatimes24@gmail.com, deltatimes24@yahoo.com