প্রকৃতি ও ঐতিহ্যের পূজারী শীত
মো. জিল্লুর রহমান
প্রকাশ: বুধবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৩, ১০:৪৯ এএম আপডেট: ২৭.১২.২০২৩ ১০:৫৮ এএম

প্রকৃতি ও ঐতিহ্যের পূজারী শীত

প্রকৃতি ও ঐতিহ্যের পূজারী শীত

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি বাংলাদেশ। ষড়ঋতুর এমন দেশে প্রত্যেক ঋতু তার নিজস্ব বৈশিষ্ট্য নিয়েই আবির্ভূত হয়। পৌষ ও মাঘ মাস শীতকাল হলেও অগ্রহায়ণ মাস থেকেই শীতের সূচনা শুরু হতে থাকে। এমন শীতের আগমন পত্রকুঞ্জে এবং জলে-স্থলে সর্বত্রই যেন পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। আসলেই হেমন্তের প্রৌঢ়ত্বের পরে আসে জড়তা গ্রস্ত শীত ঋতুর "নির্মম বার্ধক্য"। শুষ্ক কাঠিন্য এবং রিক্ততার বিষাদময় প্রতি মূর্তি রূপেই শীতের আবির্ভাব ঘটে। তবুও এ শীতের শুভ্রতার প্রকৃতি অনেকেরই ভালো লাগে, মন ছুয়ে যায়। বাংলাদেশের ঋতুচক্রে অন্য ৫টি ঋতু থেকে শীতকালের বৈশিষ্ট্য সম্পূর্ণ ভিন্ন। শীতের অবস্থান হেমন্তের পরে এবং বসন্তের আগে। মূলত শীত শুষ্ক চেহারা আর হিমশীতল অনুভব নিয়ে আসে। এ সময় গ্রামবাংলা যেন শীতের চাদর মুড়ি দেয়। ভোরবেলা ঘন কুয়াশার ধবল চাদরে ঢাকা থাকে। হিমেল হাওয়ায় হাড় কাঁপিয়ে শীত জেঁকে বসে। শীতের দাপটে প্রকৃতি নীরব হয়ে যায়। সবুজ প্রকৃতি রুক্ষ মূর্তি ধারণ করে। শীতের শুষ্কতায় অধিকাংশ গাছপালার পাতা ঝরে পড়তে থাকে। শীত তার চরম শুষ্কতার রূপ নিয়ে প্রকৃতির ওপর জেঁকে বসে। রুক্ষতা, তিক্ততা ও বিষাদের প্রতিমূর্তি হয়ে শীত আসে। শীতের তান্ডবে প্রকৃতি বিবর্ণ হয়ে পড়ে।

শীতের সকাল কনকনে ঠান্ডা আর ঘন কুয়াশায় ঢাকা থাকে। সবকিছু জড়সড় হয়ে আসে, সামনের কোনোকিছু ঠিকমতো দেখা যায় না, সবকিছুই অস্পষ্ট মনে হয়। কখনো কখনো কুয়াশার স্তর এত ঘন থাকে যে, দেখলে মনে হয়, সামনে কুয়াশার পাহাড় দাঁড়িয়ে আছে। অনেক দেরিতে ওঠে সূর্য। প্রকৃতির ওপর সূর্যের নির্মল আলো ছড়িয়ে পড়ে। দেখে মনে হয়, সূর্যের আলোতে কোনো তেজ নেই। গভীর রাত থেকে গাছের পাতায় শিশির বিন্দু জমতে থাকে। আর ভোররাতে শিশিরকণা বড় বড় ফোঁটায় বৃষ্টির মতো ঝরতে থাকে। টিনের চালে, ঘরের চালে, পাতার ওপর টুপটাপ বৃদ্ধির মতো পড়তে থাকে। সকালে মাঠে মাঠে ঘাসের ডগায় বিন্দু বিন্দু জমে থাকা শিশির রোদের আলোয় ঝিকমিক করে। ধানক্ষেত-শাকসবজির ওপর টলমল করা শিশির বিন্দু সূর্যের সোনালি রশ্মিতে মুক্তার মতো ঝলমল করে। এ সময় গ্রামের খেতে খেতে ধান কাটা শুরু হয়। বাতাসে নতুন ধানের গন্ধ ভেসে বেড়ায়। শীতে এ সময় শহর-গ্রামের সবখানে চলে নবান্ন উৎসব।

শীতকালে পাকা ধানের সোনালি খেতের দৃশ্য দেখে চোখ ফেরানো যায় না। পাকা ধান কেটে ঘরে তোলার পরপরই কৃষকরা আবার বোরো আবাদে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। কুয়াশাচ্ছন্ন সকালে কৃষক লাঙল-জোয়াল কাঁধে গরু নিয়ে মাঠে চলে। যদিও এই দৃশ্য আজকাল খুব একটা চোখে পড়ে না, তবু কিছু কিছু এলাকায় গরুর লাঙল দিয়ে চাষাবাদ হচ্ছে। সারা দিনই কৃষকরা চাষাবাদে ব্যস্ত সময় পার করে। তারা বোরো বীজতলা, সদ্য রোপা বোরো আবাদ রক্ষা করতে সকাল-বিকেল পানি পরিবর্তন করে শীতের হাত থেকে ক্ষেত রক্ষা করতে পরিচর্যায় ব্যস্ত থাকে।

গ্রাম্য এলাকার শীতের সকাল ও বিকাল বড়ই চমৎকার। শীতের দীর্ঘ রজনী কম্বল-লেপ-কাঁথা মুড়ি দিয়ে জড়সড় হয়ে রাত কাটে। সকালে উঠে সূর্য ওঠার অপেক্ষায় সবাই উসখুস করতে থাকে। চায়ের দোকানগুলোতে চা পানের ধুম পড়ে যায়। সকালের মিষ্টি রোদে ছেলেমেয়েরা চিড়া, মুড়ি, খেজুরের পাটালি গুড় খেতে খেতে রোদ পোহাতে থাকে। শীতের দিনে বেলা ছোট হওয়ায় বেলা মাথার ওপর আসতে আসতে যেন সন্ধ্যা হয়ে যায়। এ সময় শীতের দাপট থেকে বাঁচতে সবাই জ্যাকেট, সোয়েটার, মাফলার এবং কোটসহ রং-বেরঙের বাহারি শীতবস্ত্র পরিধান করে। সাজপোশাকে আসে বৈচিত্র্য। বাহারি এসব পোশাক দেখে চোখ জুড়ায়। শীতে প্রকৃতি যেন ঝিমিয়ে পড়ে। শীতের শুষ্কতায় প্রকৃতি বিবর্ণ-রুক্ষ মূর্তি ধারণ করে। হাড় কাঁপানো শীতের দাপটে অনেক অস্বস্তিকর অনুভূতির মধ্যে একটি হলো ঠোঁট ও পা ফেটে যাওয়া। শীত থেকে রক্ষা পেতে বিভিন্ন প্রসাধনীর কদর বেড়ে যায়।

শীতের সকালে খেজুরের মিষ্টি রস সবার মন কাড়ে। শীত ছাড়া অন্য সময় খেজুরের রস পাওয়া যায় না। শীতে খেজুরের রস সংগ্রহের জন্য বিশেষ পদ্ধতিতে গাছ কাটে গাছিরা। হেমন্তের শুরুতেই খেজুরগাছ থেকে রস বের করার উপযোগী করে কাটা শুরু হয়। খেজুরগাছ কাটা ও তা থেকে রস বের করার মধ্যেও কিছু কৌশল আছে। যে কেউ ভালো করে গাছ কাটতে কিংবা রস বের করতে পারেন না। কখন, কিভাবে, কোনখানে কেমন করে কাটতে দিতে হবে এবং যার ফলে গাছ মারা যাবে না, অথচ বেশি রস পাওয়া যাবে তা একজন দক্ষ গাছিই ভালোই জানেন। শীত যতো বাড়তে থাকে খেঁজুর রসের মিষ্টতাও ততো বাড়ে। শীতের সাথে রয়েছে খেঁজুর রসের এক অপূর্ব যোগাযোগ। এ সময় গৌরব আর ঐতিহ্যের প্রতীক মধুবৃক্ষ থেকে সু-মধুর রস বের করে গ্রামের ঘরে ঘরে পুরোদমে শুরু হতো পিঠা, পায়েস ও গুড় পাটালী তৈরীর ধুম। গ্রামে গ্রামে খেজুরের রস দিয়ে তৈরি করা নলের গুড়, ঝোলা গুড়, দানা গুড় ও বাটালী গুড়ের মিষ্টি গন্ধেই যেন অর্ধভোজন হয়ে যেতো। খেজুর রসের পায়েস, রসে ভেজা পিঠাসহ বিভিন্ন সুস্বাদু খাবারেরতো জুড়িই ছিলোনা। কিন্তু কালের বির্ততনে প্রকৃতি থেকে আজ খেজুরের রস একেবারেই হারিয়ে যেতে বসেছে।

পিঠাবিহীন শীতকাল যেন কল্পনাই করা যায় না। তাই শীতকালকে পিঠার মৌসুমও বলা হয়ে থাকে। এই পিঠাপুলির প্রায় ১৫০টি রকমভেদ থাকলেও আমাদের বাংলাদেশে বর্তমানে মোটামুটি ৩০ প্রকারের পিঠার প্রচলন দেখা যায়। প্রতিটি পিঠা শুধু স্বাদেই অনন্য নয়, এদের এক একটি উপকরণে পরম মায়ার পরশ মাখা থাকে। গাঁয়ের কিশোরী মেয়ে বা লাজুক বধূর আলতা রাঙা পায়ে ঢেঁকি ভাঙানির গান এনে দেয় ধবধবে চালের গুঁড়া। শীতকালে সর্বত্র নানা রকম পিঠা তৈরি হয়। গ্রামে গ্রামে রং-বেরঙের পিঠা-ক্ষীর-পায়েস খাওয়ার ধুম পড়ে। বাড়ি বাড়ি পিঠাপুলি তৈরি হয়। রসের পিঠা, তেলে পিঠা, পাটিসাপটা এবং ভাপাসহ নানা রকম পিঠা, যা দেখলে সবার মন কাড়ে। এ সময় বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে শুরু হয় রকমারি পিঠা উৎসব। তা ছাড়া খেজুর রসের তৈরি পায়েস আর নানা রকম পিঠা নিয়ে পৌষ-সংক্রান্তির উৎসব জমে ওঠে। বাড়ি বাড়ি ছাড়াও সন্ধ্যায় হাট-বাজারে আতপ চালের গুঁড়া, নলেন গুড় এবং নারিকেল দিয়ে তৈরি গরম ভাপাপিঠা ও পাটিসাপটা খেতে ভারি মজা লাগে। অন্যকে খেতে দেখলে নিজের অজান্তেই জিহ্বায় পানি এসে যায়।

শীতকাল মানেই বাঙালির পিঠা-পুলির উৎসব। শীতের পিঠা-পুলি বাঙালির আদি খাদ্যসংস্কৃতির অংশ। বাংলার চিরায়ত লোকজ খাদ্য সংস্কৃতিতে পিঠা-পায়েস একটি বিশেষ স্থান দখল করে আছে। পৌষের হিমেল হাওয়া ছাড়া যেমন শীতকে কল্পনা করা যায় না, ঠিক তেমনি পিঠা ছাড়াও বাঙালির ঐতিহ্য ভাবা যায় না। শীতকালে দেশজুড়ে পিঠা তৈরির ব্যস্ততা চোখে পড়ে। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে প্রতিটা বাড়িতে বাড়িতে ধুম পড়ে যায় পিঠা বানানোর। সন্ধ্যায় গাঁয়ের বধূরা চুলা পাশে বসে পিঠা তৈরিতে কাটান ব্যস্ত সময়।

শীতকালের শাকসবজিতে খেত ভরে যায়। লালশাক, পালংশাক, শিম, বরবটি, লাউ, টমেটো, গাজর, শালগম এবং মুলাসহ নানা রকম সবজি শোভাবর্ধন করে, যা আমাদের খাবার হিসেবে আকৃষ্ট করে। সরিষাফুলের হলুদ খেত আর মৌমাছির গুঞ্জনের দৃশ্য না দেখলে এই দৃশ্য বোঝানো যাবে না। আর শীতকালের রং-বেরঙের ফুল গাঁদা, ডালিয়া, সূর্যমুখী, গোলাপ প্রভৃতি শোভাবর্ধন করে। ফুলের দোকানগুলো বাহারি ফুলে ভরে যায়। এ সময় বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অতিথি বরণ করতে ফুলের দোকানগুলোতে নানা রকম ফুলের ডালি, তোড়া ও মালাসহ সুসজ্জিত ফুলের উপকরণ বিক্রির হিড়িক পড়ে যায়।

শীতকালে অতিথি পাখির আগমন এক অন্য রকম রোমাঞ্চকর আকর্ষণ। পরিযায়ী পাখিরা বিভিন্ন শীতপ্রধান দেশ থেকে এসে আমাদের দেশের হাওর-বাঁওড় ও জলাশয়ে আশ্রয় নেয়। রং-বেরঙের পাখি দেখে মন ভরে যায় আর কলকাকলিতে এলাকা মুখরিত হয়। তবে এর মধ্যে কিছু দুষ্ট ব্যক্তি চুরি করে পাখি শিকার করে, যা আমাদের জন্য খুবই কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। শীতের অনুকূল আবহাওয়ায় দেশি-বিদেশি ভ্রমণবিলাসী পর্যটকের আগমন ঘটে। বিদেশি পর্যটকদের আগমনে আমাদের দেশের বৈদেশিক মুদ্রার আয় বেড়ে যায়। এতে অর্থনৈতিক খাত সমৃদ্ধ হয়। দেশের দর্শনীয় স্থান এবং পিকনিক স্পটগুলোতে ভ্রমণকারীদের ঢল নামে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো থেকে শিক্ষাসফর শুরু হয়। তা ছাড়া গ্রামের হাট-বাজার এবং উন্মুক্ত স্থানসহ সর্বত্র পিকনিকের আয়োজন বেড়ে যায়।

শীতের কনকনে ঠান্ডায় বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধরা শীতজনিত জ্বর, সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া এবং ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগে বেশি আক্রান্ত হয়। এ সময় হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা বেড়ে যায়। শীতে বিত্তহীন ও গরিব মানুষের জীবনে দুর্যোগ হয়ে দেখা দেয়। এ সময় তারা অনেকটা মানবেতর জীবনযাপন করে।

শীতের সকালে গ্রামে কনকনে ঠান্ডা আর ঘন কুয়াশা নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। শীতকালে মাঝে মাঝে শুরু হয় শৈত্যপ্রবাহ। আর এ সময় তাপমাত্রা খুব নিচে নেমে যায়। হাড় কাঁপানো শীতে মানুষ-জীবজন্তুর পাশাপাশি প্রকৃতি যেন অসাড় হয়ে পড়ে। শীতের হাত থেকে বাঁচতে মানুষ আপ্রাণ চেষ্টা চালায়। এ সময় শীতবস্ত্র কেনার ধুম পড়ে যায়। যে যার সাধ্যমতো গরম কাপড় কিনে নিজেকে শীত থেকে সুরক্ষার চেষ্টা করে। শীতের সকাল ও রাতে ছিন্নমূল মানুষ আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা চালায়। শীতের সকালে শহর-গ্রামে আগুনের কুন্ডলী তৈরি করে উত্তাপ নিতে দেখা যায় শিশু-বৃদ্ধসহ সব বয়সী মানুষকে। এই আগুন জ্বালিয়ে উত্তাপ নেওয়ার মধ্যে রয়েছে আলাদা এক অনুভূতি। ভবঘুরেরা হাট-বাজার, স্কুল-কলেজের বারান্দায় আশ্রয় খোঁজে। এ সময় সরকার, দানশীল ব্যক্তি এবং বিভিন্ন সংগঠন দুস্থ-গরিবদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ করে থাকে।

কনকনে শীত খুব কষ্টের কিন্তু লেপ মুড়ানোর উষ্ণতা খুবই আরামের ও উপভোগ্য। শীতের শুভ্রতা মনে আলাদা শিহরণ তৈরি করে। এজন্যই সকল শ্রেণির মানুষের মুখে হাসি এবং তারা শীতকালের বাহারি পোষাক পরেই ফুরফুরে মেজাজে থাকে। কবিরা কবিতায় বলেন-
শীত, শীত, শীত উমের চাদরে মায়ের মমতা মাখা,
আমার গাঁয়ের পথ চলে গেছে বহুদূর আঁকাবাঁকা।

                                                                                                                 লেখক : ব্যাংকার ও কলামিস্ট।

ডেল্টা টাইমস/মো. জিল্লুর রহমান/সিআর/জেএইচ

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
  এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ  
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. জাহাঙ্গীর আলম, নির্বাহী সম্পাদক: মো. আমিনুর রহমান
প্রকাশক কর্তৃক ৩৭/২ জামান টাওয়ার (লেভেল ১৪), পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত
এবং বিসমিল্লাহ প্রিন্টিং প্রেস ২১৯ ফকিরাপুল, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত।

ফোন: ০২-৪৭১২০৮৬০, ০২-৪৭১২০৮৬২, ই-মেইল : deltatimes24@gmail.com, deltatimes24@yahoo.com
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. জাহাঙ্গীর আলম, নির্বাহী সম্পাদক: মো. আমিনুর রহমান
প্রকাশক কর্তৃক ৩৭/২ জামান টাওয়ার (লেভেল ১৪), পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত
এবং বিসমিল্লাহ প্রিন্টিং প্রেস ২১৯ ফকিরাপুল, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত।
ফোন: ০২-৪৭১২০৮৬০, ০২-৪৭১২০৮৬২, ই-মেইল : deltatimes24@gmail.com, deltatimes24@yahoo.com