সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত পাঁচ বন্ধুর দাফন সম্পন্ন
ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি
|
পাবনার ঈশ্বরদীতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত পাঁচ বন্ধুর জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হয়েছে। শুক্রবার (৫ জুলাই) বেলা ৩টার দিকে ঈশ্বরদী উপজেলার আজমপুর ও ভারইমারি গ্রামে জানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। পরে তাদের স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়। এদিকে নিহতের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা। সকালে নিহতদের বাড়ি ঈশ্বরদী উপজেলার আজমপুর ও ভারইমারি গ্রামে যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুবীর কুমার দাস ও দাশুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বকুল সরদার। এ সময় তারা নিহতের স্বজনদের গভীর সমবেদনা জানান এবং তাদের পাশে থাকতে সরকারি সহযোগিতার আশ্বাস দেন। এদিকে প্রাইভেটকার দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারে চলছে মাতম। এমন দুর্ঘটনা মেনে নিতে পারছেন না কেউ। অপরদিকে স্বজনদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ। সকাল ১০টার দিকে ঈশ্বরদী হাইওয়ে থানা থেকে মরদেহগুলো হস্তান্তর করা হয়। বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) দিনগত রাতে প্রাইভেটকার নিয়ে ঘুরতে বের হয়ে ঈশ্বরদীর দাশুড়িয়া চিনিকলের সামনে দুর্ঘটনায় মারা যান ৫ বন্ধু। এ ঘটনায় আহত ২ জন পাবনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। নিহতদের মধ্যে প্রাইভেটকার চালক বিজয় ঢাকায় গাড়ি চালান। আর বাকি চারজন স্থানীয় স্কুল শিক্ষার্থী। নিহতরা হলেন উপজেলার দাশুড়িয়া ইউনিয়নের আজমনগর গ্রামের রেজাউল হোসেনের ছেলে জিহাদ, কবির আনোয়ারের ছেলে বিজয়, ইলিয়াস হোসেনের ছেলে শিশির, মাসুম হোসেনের ছেলে সিফাত ও ভাড়ইমারী গ্রামের ওয়াজ আলীর ছেলে শাওন। আহতরা হলেন একই গ্রামের জেটুর ছেলে শাহেদ ও সুমন আলীর ছেলে নাঈম। নিহতের স্বজন ও স্থানীয়রা জানান, নিহতের মধ্যে বিজয় হোসেন ঢাকার একটি ব্যক্তি মালিকানাধীন কোম্পানির প্রাইভেটকার চালাতেন। ছুটিতে নিজ গ্রামের বাড়িতে বেড়ানোর উদ্দেশে গিয়ে সেই গাড়িতে আরও ছয় বন্ধুকে নিয়ে ঘুরতে বের হয়। উল্লিখিত সময়ে দাশুড়িয়া-পাবনা মহাসড়কের পাবনা সুগার মিলের সামনে পৌঁছালে প্রাইভেটকারটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এ সময় প্রাইভেটকারটি দুমড়ে মুচড়ে গেলে ঘটনাস্থলেই গাড়িতে থাকা জিহাদ, বিজয় ও শিশির নামে তিন বন্ধু নিহত হন। এ সময় আহত অবস্থায় চারজনকে উদ্ধার করে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সিফাত ও শাওনের মৃত্যু হয়। শাহেদ ও নাঈম নামে আরও দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক শামীম। ডেল্টা টাইমস্ / মো: আবু ওমর/ এমকে
|
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |