ফ্রি ট্রেড অ্যাগ্রিমেন্ট ও ভিয়েতনামের উন্নয়ন ডাইমেনশন
রায়হান আহমেদ তপাদার
|
ফরাসি ঔপনিবেশিক শাসনের সময় কৃষির আধিপত্য বজায় থাকলেও সাধারণ চাষাবাদের চেয়ে কৃষিদ্রব্য রপ্তানির ওপর জোর দেয়া হয়। এ কারণে ধানের পাশাপাশি কফি, চা, রবার এবং অন্যান্য ক্রান্তীয় শস্য উৎপাদন শুরু হয়। বড় শহরগুলোতে ক্ষুদ্র শিল্প ও বাণিজ্য খাতের বিকাশ ঘটে কিন্তু ফ্রান্সের সঙ্গে প্রতিযোগিতার সৃষ্টি হবে বলে ফরাসি ঔপনিবেশিক শাসকেরা এগুলোকে তেমন উৎসাহিত করেননি। ১৯৫৪ সালের দেশ বিভাগের পর উত্তর ও দক্ষিণ ভিয়েতনামের সরকার নিজ নিজ অর্থনীতি বিকাশে আলাদাভাবে মনোযোগ দেয়। তারা পৃথক অর্থনৈতিক সম্পদের ওপর ভিত্তি করে পৃথক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ও বাণিজ্য অংশীদার নিয়ে যাত্রা শুরু করে। উল্লেখ্য যে, প্রথমে ফরাসিদের আগ্রাসন, তারপর নিজেরাই দুই ভাগে বিভক্ত। পরবর্তী কালে ১৯৭৬ সালে মার্কিনিদের নাকানি-চুবানি খাইয়ে উত্তর ও দক্ষিণ ভিয়েতনাম এক হয়ে গঠিত হয় স্বাধীন ভিয়েতনাম। তবে বহির্বিশ্বের কাছে দীর্ঘদিন ধরে যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ হওয়ার অপবাদ বয়ে বেড়াতে হয়েছে তাদের।তবে এখন তারা জানান দিচ্ছে নিজেদের অর্থনৈতিক শক্তিমত্তার। তৈরি পোশাক খাতে বিশ্বে তৃতীয়, ধান উৎপাদনে প্রথম, কফি উৎপাদন ও রপ্তানিতে দ্বিতীয়, মৎস্য প্রাণী আহরণে তৃতীয় ভিয়েতনাম। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) পরিসংখ্যান বলছে, ভিয়েতনাম গত দুই দশকে ব্যবধান গড়ে নিয়েছে। ২০০০ সালে বৈশ্বিক পোশাক রপ্তানিতে দেশটির হিস্যা ছিল দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ। সে সময় বাংলাদেশের হাতে ছিল ২ দশমিক ৬ শতাংশ বাজার। পরের এক দশকে ভিয়েতনামের বাজার হিস্যা তিন গুণ বাড়লেও আমাদের দেশের মাত্র দেড় গুণের একটু বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে বৈশ্বিক তৈরি পোশাকের বাজারে ৬ দশমিক ৪ শতাংশ হিস্যা ভিয়েতনামের দখলে।
গত ১০ বছরে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে ভিয়েতনাম গড়ে ১১ শতাংশ ও বাংলাদেশ ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করে।উন্নয়ন অর্থনীতিতে চারটি দেশকে এশিয়ান টাইগার নামে অভিহিত করা হয়। আর সেগুলো হচ্ছে-সিঙ্গাপুর, তাইওয়ান, দক্ষিণ কোরিয়া ও হংকং। উন্নয়ন অর্থনীতিবিদেরা ভিয়েতনামকে ইতিমধ্যেই এশিয়ান টাইগার আখ্যায়িত করা শুরু করেছেন। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ভবিষ্যতের প্রশ্নে ভিয়েতনামের উদীয়মান অর্থনীতির গতিপ্রকৃতি বোঝা দরকার।১৯৭৫ সালের সেপ্টেম্বরে সমাজতান্ত্রিক ভিয়েতনাম যখন স্বাধীন দেশ হিসেবে যাত্রা শুরু করেছিল, তখন জ্বলে পুড়ে মরে ছারখার, তবু মাথা নোয়াবার নয়। ভিয়েতনাম কখনোই কোনো দেশের কাছে মাথা নত করেনি, ভিক্ষার জন্য হাত পাতেনি। এমনকি অনুদান ও সফট লোনের আশায় জাতিসংঘের স্বল্পোন্নত দেশের ক্যাটাগরিতে অন্তর্ভুক্ত হতেও আবেদন করেনি। অথচ ভিয়েতনামের জনগণের মাথাপিছু জিডিপি ১৯৭৪ সালে ছিল মাত্র ৬৫ ডলার। ১৯৮৫ সালে ছিল ২৮৫ ডলার, জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ছিল মাত্র ২ দশমিক ৪ শতাংশ। ২০২২ সালে আইএমএফের প্রাক্কলন মোতাবেক ভিয়েতনামের মোট জিডিপি ৪৩৩ বিলিয়ন ডলার। ২০২৩ সালে ভিয়েতনামের মাথাপিছু নমিনাল জিডিপি ৪ হাজার ৩১৬ ডলারে পৌঁছে গেছে, যেটিকে বলা হচ্ছে অলৌকিক। ক্রয়ক্ষমতার সমতার ভিত্তিতে ভিয়েতনামের মাথাপিছু জিডিপি ২০২২ সালে পৌঁছে গেছে ১২ হাজার ৮১০ পিপিপি ডলারে।ভিয়েতনামের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ২০০৫ সালে সর্বোচ্চ ৮ দশমিক ৫ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছিল। এক দশক ধরে তা ৬ দশমিক ৫ থেকে ৭ দশমিক ৫ শতাংশের মধ্যে রয়ে গেছে। শেষ ২০২৩ সালে ভিয়েতনামের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৬ দশমিক ৫ শতাংশ।২০২৩ সালে ভিয়েতনামের মাত্র ২ শতাংশ জনগণ দারিদ্র্যসীমার নিচে অবস্থান করেছে। ২০২২ সালের মানব উন্নয়ন সূচকের বিশ্ব পরিমাপে ভিয়েতনামের অবস্থান ছিল ১০৭ নম্বরে, বাংলাদেশের অবস্থান ১২৯ নম্বরে। ২০২২ সালে ভিয়েতনামের সাক্ষরতার হার ছিল ৯৬ শতাংশ আর বাংলাদেশের ৭৩ শতাংশ। ভিয়েতনামের রাষ্ট্রনেতারা এখনো তাঁদের রাষ্ট্রকে সমাজতান্ত্রিক ভিয়েতনাম হিসেবেই অভিহিত করে থাকেন। কিন্তু ১৯৮৬ সালে রিনোভেশন সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়ন শুরু হওয়ার ৩৮ বছর পর এখন পাশ্চাত্যের অর্থনৈতিক উন্নয়ন-চিন্তকেরা ভিয়েতনামের অর্থনীতিকে সোশ্যালিস্ট ওরিয়েন্টেড মার্কেট ইকোনমি হিসেবে বর্ণনা করছেন। রিনোভেশন কর্মসূচিতে কালেকটিভ ফার্মিং নিষিদ্ধ হয়েছে, জমির ওপর জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং অর্থনীতিতে ব্যক্তিগত ও রাষ্ট্রীয় উভয় উদ্যোগকে উৎসাহিত করা হয়েছে। রিনোভেশন অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংস্কারের প্রধান ডাইমেনশন হলো:অত্যন্ত শক্তহাতে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য উদারীকরণ, অত্যন্ত দ্রুত অভ্যন্তরীণ অর্থনীতির বিনিয়ন্ত্রণ ও সরকারি হস্তক্ষেপ হ্রাসের মাধ্যমে ব্যবসা করার খরচ ও বাধাবিঘ্ন কমিয়ে ফেলা এবং রাষ্ট্রীয় খাতের বিনিয়োগ প্রবলভাবে জোরদার করার মাধ্যমে মানব উন্নয়ন ও ভৌত অবকাঠামোর উন্নয়নকে প্রথম অগ্রাধিকারে পরিণত করা।বিশেষত, প্রাথমিক শিক্ষা ও বৃত্তিমূলক শিক্ষাকে সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার দিয়ে ভিয়েতনাম ২০০০ সালের মধ্যেই পুরো জনসংখ্যাকে শতভাগ শিক্ষিত করে তুলেছে এবং জনগণের বিশাল একটি অংশকে প্রযুক্তিগত দক্ষতা অর্জনে সফল করে তুলেছে।একইভাবে উল্লেখযোগ্য যে ভিয়েতনাম তার শিক্ষা ও স্বাস্থ্যব্যবস্থায় বৈষম্য বাড়তে দেয়নি। ভিয়েতনামের জনগণের ৯১ শতাংশ ২০২১ সালে স্বাস্থ্যবিমার আওতায় সেবা পেয়েছে। আয় ও সম্পদ বৈষম্যের ক্ষেত্রেও ভিয়েতনাম বৈষম্য বৃদ্ধির প্রবণতাকে প্রতিরোধ করে যাচ্ছে। আয়বৈষম্য পরিমাপক জিনি সহগ ২০১৬ সালে ভিয়েতনামের ছিল মাত্র শূন্য দশমিক ৩৫৩ আর বাংলাদেশের জিনি সহগ ২০১৬ সালে ছিল শূন্য দশমিক ৪৮৩ এবং ২০২২ সালে হয়ে গেছে শূন্য দশমিক ৪৯৯।বাংলাদেশ ধনকুবের প্রবৃদ্ধির হারে ২০১৭ সালে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ অর্জন করলেও ভিয়েতনাম সক্রিয়ভাবে ধনাঢ্য ব্যক্তি সৃষ্টিকে নিরুৎসাহিত করে চলেছে। অর্থনৈতিক উন্নয়নের সুফলকে কয়েকটি নগরে কেন্দ্রীভূত না করে ভিয়েতনাম গ্রামীণ জনগণের মধ্যে উন্নয়নের সব ডাইমেনশনকে পৌঁছে দিতে বদ্ধপরিকর। একদা চরম শত্রু যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ২০০০ সালে এবং পরবর্তী সময়ে গণচীন, ভারত, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়াসহ এক ডজনের বেশি দেশের সঙ্গে ‘ফ্রি ট্রেড অ্যাগ্রিমেন্ট’ করেছে ভিয়েতনাম, যার ফলে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে এসব দেশ থেকে বিপুল শুল্ক হ্রাস ও সহজ প্রবেশাধিকার সুবিধা পেয়ে যাচ্ছে দেশটির পণ্য। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সদস্য হতে ভিয়েতনামকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে। বৈদেশিক বিনিয়োগকে প্রবলভাবে উৎসাহিত করে চলেছে ভিয়েতনাম। স্যামসাং, এলজি, অলিম্পাস, পাইওনিয়ার ইত্যাদি কোম্পানির দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় হাব এখন ভিয়েতনামে।এখন ভিয়েতনামে প্রতিবছর বৈদেশিক বিনিয়োগের প্রবাহ দাঁড়াচ্ছে ২০ থেকে ৩০ বিলিয়ন ডলার, যেখানে বাংলাদেশে বৈদেশিক বিনিয়োগ এখনো তিন বিলিয়ন ডলারের নিচে থাকছে। ২০২২ সালে ভিয়েতনামে ২৭ দশমিক ২২ বিলিয়ন ডলার বৈদেশিক বিনিয়োগ এসেছে। বিশ্বব্যাংকের ‘ইজ অব ডুয়িং বিজনেস’ র্যাঙ্কিংয়ে ভিয়েতনামের অবস্থান ২০০৭ সালের ১০৪তম থেকে ২০১৭ সালে ৬৮তম অবস্থানে উন্নীত হয়েছে। ভিয়েতনামের ব্যাংকিং ব্যবস্থা এখনো রাষ্ট্রীয় মালিকানায় রয়ে গেছে।কিন্তু ব্যাংকঋণে উদ্যোক্তাদের অভিগম্যতা উল্লেখযোগ্য ভাবে সহজ ও বহুল বিস্তৃত করা হয়েছে, বিশেষত গ্রামীণ এলাকায়। গত এক দশক ধরে চীনের বিরুদ্ধে পশ্চিমা পুঁজিবাদী দেশগুলো নানা রকম বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাধানিষেধ আরোপের কারণে ভিয়েতনাম অনেক রকম সুবিধা পেয়ে যাচ্ছে চীনের বিকল্প হিসেবে। তৈরি পোশাক রপ্তানিতে ভিয়েতনাম এখন বাংলাদেশকে হটিয়ে মাঝেমধ্যে গণচীনের পর বিশ্বের দ্বিতীয় অবস্থানটি দখল করে নিচ্ছে। ইলেকট্রনিকস পণ্য রপ্তানিতে এখন সিঙ্গাপুরের পর ভিয়েতনাম দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় দ্বিতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে। চাল রপ্তানিতে থাইল্যান্ডকে হটিয়ে ভিয়েতনাম ভারতের পর বিশ্বের দ্বিতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে। রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে বাংলাদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্রের চর্চা দুর্বল হলেও তা ভিয়েতনামের একদলীয় সরকারব্যবস্থার চেয়ে বিশ্বের কাছে অনেক বেশি গ্রহণ যোগ্য বিবেচিত হতো। কিন্তু কেন জানি, আমরা আমাদের গণতান্ত্রিক পরিচয় আমরা হারিয়ে ফেলতে বসেছি। ভিয়েতনাম থেকে রাজনীতির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ শিক্ষা নিতে পারে প্রতিনিধিত্বমূলক স্থানীয় সরকারব্যবস্থা প্রবর্তনের বিষয়টিতে। উৎপাদনের সব ক্ষেত্রে সমবায় ব্যবস্থার মাধ্যমে শ্রমজীবী জনগণের ক্ষমতায়ন ও গ্রাম সমবায়ের ক্ষেত্রেও ভিয়েতনাম বাংলাদেশকে পথ দেখাতে পারে। ভিয়েতনামের ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক গতিশীলতার পেছনের চাবিকাঠি হলো দুর্নীতির প্রকোপ অনেক কম। ভিয়েতনামের শ্রমশক্তি ও মানবপুঁজি বাংলাদেশের চেয়ে অনেক শিক্ষিত, দক্ষ ও পরিশ্রমী। ভিয়েতনামের ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন চমকপ্রদ। বন্দর, মহাসড়ক ও সুলভ গণপরিবহনের ক্ষেত্রে ভিয়েতনাম দ্রুত আধুনিকায়নে সফল একটি দেশ। গত ৩০ বছরে মানবসম্পদ উন্নয়ন ও অবকাঠামোগত উন্নয়নে ব্যাপক বিনিয়োগ করেছে ভিয়েতনাম। দ্রুত বর্ধমান জনসংখ্যার মুখোমুখি হয়ে বর্তমানে ভিয়েতনামের জনসংখ্যা সাড়ে ৯ কোটি। যার অর্ধেকই ৩৫ বছরের কম বয়সী। ১৯৮৬ সালে দেশটির জনসংখ্যা ছিল ৬ কোটি। বলা হয়, যত বেশি জনসংখ্যা, তত বেশি কর্মসংস্থানের চাহিদা। তবে ভিয়েতনাম অবকাঠামো খাতে প্রচুর পরিমাণে বিনিয়োগ করেছে। ফলে জনসংখ্যা কোনো সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়নি দেশটির জন্য। জনসাধারণের জন্য ইন্টারনেট সস্তা হয়েছে। চতুর্থ শিল্পবিপ্লব দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটির দরজায় কড়া নাড়ছে এবং সেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে আইটি অবকাঠামো স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা। প্রয়োজনীয় অবকাঠামো এবং বাজারবান্ধব নীতির কারণে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বিদেশি বিনিয়োগ এবং উৎপাদনকেন্দ্র হিসেবে পরিণত হয়েছে ভিয়েতনাম। বিশ্বের কাছে ইকোনমিক আলৌকিক নামে খ্যাত ভিয়েতনাম উন্নয়ন আজ আমাদের জন্য অনুসরণীয় ও শিক্ষণীয়। মিশ্র সমাজতান্ত্রিক বাজার অর্থনীতি, বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি ও সুষ্ঠু পরিকল্পনা মাপিক দূরন্ত গতিতে এগিয়ে চলা ভিয়েতনামের উন্নয়ন দেখে আমরা অনেক কিছু শিখতে পারি, জানতে পারি। উৎপাদনশীলতা ও কর্মদক্ষতায় ভিয়েতনামকে আজ এ পর্যায়ে নিয়ে গেছে। ভিয়েতনামে ঈর্ষণীয় অর্থনীতি উত্থান বিশ্বকে হতবাক করে দিয়েছে। মানবসম্পদ উন্নয়ন ভিয়েতনামের অর্থনীতির ভিতকে মজুবত করেছে। বিশ্বের বহুজাতিক কোম্পানিগুলো ভিয়েতনামমুখী করেছে, অধিকন্তু দুর্নীতিমুক্ত ভিয়েতনামের এ উন্নয়ন মডেল বিশ্বের কাছে গ্রহণযোগ্যতা লাভ করেছে এবং তা বিশ্বনন্দিত হয়েছে। লেখক: গবেষক ও কলামিস্ট, যুক্তরাজ্য। ডেল্টা টাইমস/রায়হান আহমেদ তপাদার/সিআর |
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |