সুপ্রিম কোর্টে কেজরিওয়াল জামিন পেলেও মুক্তি মিলছে না
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
|
ভারতের দিল্লির কারাবন্দি মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে জামিন দিয়েছেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের দায়ের করা মানি লন্ডারিংয়ের মামলায় শুক্রবার (১২ জুলাই) এই জামিন দেন শীর্ষ আদালত। অবশ্য শীর্ষ আদালতে জামিন পেলেও এখনই মুক্তি মিলছে না কেজরিওয়ালের। শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্ট মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে দিল্লির মদ নীতির সাথে যুক্ত এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের একটি মানি লন্ডারিং মামলায় জামিন দিয়েছে। তবে জামিন পেলেও কেজরিওয়াল আপাতত কারাগারেই থাকবেন কারণ বর্তমানে সেন্ট্রাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই) একটি পৃথক মামলায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। শুক্রবার বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও দীপঙ্কর দত্তের বেঞ্চ এই রায় দেন। ইডির দায়ের করা আবগারি নীতির মামলায় অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেওয়ার সময় আদালত বলেছে, কেজরিওয়াল গত ৯০ দিনেরও বেশি সময় ধরে কারাভোগ করেছেন। তিনি নির্বাচিত নেতা এবং তিনি মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকায় থাকবেন কিনা তা তার ওপরই নির্ভর করে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, কেজরিওয়াল এখন সিবিআই হেফাজতে থাকায় সেই মামলায় পৃথক ভাবে জামিন নিতে হবে তাকে। আগামী ১৭ জুলাই সেই মামলার শুনানি হবে দিল্লি হাইকোর্টে। তার আগে কারাগার থেকে মুক্তি পাচ্ছেন না কেজরিওয়াল। প্রসঙ্গত, ইডির গ্রেপ্তারি বেআইনি দাবি করে দিল্লি হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন কেজরিওয়াল। কিন্তু হাইকোর্ট জানিয়ে দিয়েছিল, ইডির গ্রেপ্তারি বেআইনি নয়। উচ্চ আদালতের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আম আদমি পার্টির (আপ) এই প্রধান। শুনানি পর্বের শেষে গত ১৭ মে রায় সংরক্ষিত রেখেছিলেন দুই বিচারপতির বেঞ্চ। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে নির্দেশের পরে কেজরিওয়ালের আইনজীবী বিবেক জৈন বলেন, ‘আমরা শীর্ষ আদালতকে বলেছিলাম, প্রয়োজনীয় নথি ও তথ্য ছাড়াই গ্রেপ্তার হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট সেই যুক্তির ভিত্তিতেই অন্তর্বর্তী জামিন দিয়েছেন। ১৭ জুলাই দিল্লি হাইকোর্টকেও আমরা একই কথা বলব।’ এর আগে চলতি বছরের ২১ মার্চ আবগারি দুর্নীতি মামলায় কেজরিওয়ালকে গ্রেপ্তার করেছিল ইডি। তিনি মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেননি। ফলে ভারতের ইতিহাসে তিনিই প্রথম মুখ্যমন্ত্রী, যাকে পদে থাকাকালীন গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর লোকসভা ভোটের সময়ে তাকে কিছু দিনের জন্য অন্তর্বর্তী জামিন দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। সেই জামিনের মেয়াদ শেষ হলে আবারও জেলে গিয়ে আত্মসমর্পণ করেছিলেন কেজরিওয়াল। এরপর গত ২০ জুন দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত কেজরিওয়ালের স্থায়ী জামিনের আবেদন মঞ্জুর করে। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে দিল্লি হাইকোর্টে আবেদন করেছিল মামলার তদন্তকারী সংস্থা ইডি। আবগারি দুর্নীতিতে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ১০০ কোটি টাকার ঘুষ চেয়েছিলেন বলেও হাইকোর্টকে জানায় ইডি। পরে গত ২৫ জুন ইডির আবেদন মেনে বিচারপতি সুধীরকুমার জৈন এবং বিচারপতি রবীন্দ্র দুদেজার অবকাশকালীন বেঞ্চ কেজরীর জামিন খারিজ করে দেয়। এরপরে গত ২৫ জুন কারাগারে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পরে কেজরিওয়ালকে রাউস অ্যাভিনিউ আদালতের অনুমোদনে হেফাজতে নেয় আবগারি মামলার আর এক তদন্তকারী কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআই। সিবিআই হেফাজতকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তিনি আদালতে আবেদন জানালেও তা খারিজ হয়ে যায়। তারপর দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন কেজরিওয়াল। আগামী ১৭ জুলাই সেই মামলার শুনানি হবে দিল্লি হাইকোর্টে। ডেল্টা টাইমস/সিআর/এমই
|
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |