ডিপফেইক পর্নোগ্রাফির জন্য দ. কোরিয়ার কাছে ক্ষমা চেয়েছে টেলিগ্রাম
ডেল্টা টাইমস ডেস্ক:
|
নিজেদের প্ল্যাটফর্মে ডিপফেইক পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে পড়ায় দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে ক্ষমা চেয়েছে টেলিগ্রাম। দেশটিতে চলমান ডিজিটাল যৌন অপরাধের সংকটের মধ্যে দুঃখ প্রকাশ করেছে তারা। বিবিসি বুধবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। পর্নোগ্রাফিক কন্টেন্ট ছড়িয়ে দেওয়ার অপরাধে সহায়তার অভিযোগে কয়েক দিন আগে দক্ষিণ কোরিয়ার পুলিশ টেলিগ্রামের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে এমন অনেক টেলিগ্রাম চ্যাটরুম পাওয়া গেছে, যেগুলোর বেশিরভাগই কিশোরদের দ্বারা পরিচালিত। এসব গ্রুপে তরুণীদের ছবি বিকৃত করে যৌন উত্তেজক ডিপফেইক তৈরি করে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। দ. কোরিয়া কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, টেলিগ্রাম ইতিমধ্যেই তাদের প্ল্যাটফর্ম থেকে এসব ভিডিও সরিয়ে ফেলেছে। তবে এই ঘটনার প্রেক্ষিতে টেলিগ্রামকে কঠোর সমালোচনার সম্মুখীন হতে হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ায় ডিজিটাল যৌন অপরাধের ক্রমবর্ধমান এই সংকট মোকাবিলায় আরো কঠোর পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার কমিউনিকেশন স্ট্যান্ডার্ড কমিশনের (কেসিএসসি) কাছে এক বিবৃতিতে টেলিগ্রাম বিষয়টিকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ বলে উল্লেখ করেছে এবং যদি কোনো ধরনের ভুল বোঝাবুঝি হয়ে থাকে, তবে ক্ষমা প্রার্থনা করেছে। টেলিগ্রাম নিশ্চিত করেছে যে কেসিএসসির অনুরোধে তারা এমন ২৫টি ভিডিও তাদের প্ল্যাটফর্ম থেকে সরিয়ে ফেলেছে। সর্বশেষ বিবৃতিতে টেলিগ্রাম ভবিষ্যতে নিয়ন্ত্রকের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য একটি বিশেষ ই-মেইল প্রস্তাব করেছে। কেসিএসসি টেলিগ্রামের এই পদক্ষেপকে ‘খুবই দূরদর্শী’ বলে প্রশংসা করেছে। ডিপফেইক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে তৈরি করা হয়। এটি একজন ব্যক্তির মুখকে নকল একটি দেহের সঙ্গে মিলিয়ে দেয়। সাম্প্রতিক সময়ে দক্ষিণ কোরিয়াতে ডিপফেক সঙ্কট নিয়ে আলোচনা সমালোচনা হয়েছে। দেশের প্রধান দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ে যখন পুলিশ ডিপফেইক পর্নোগ্রাফি নিয়ে তদন্ত করে তখনই বিষয়টি সাংবাদিকদের মাধ্যমে আলোচনায় আসে। পরে জানা যায়, গত পাঁচ দিনে পুলিশ এমন ১১৮টি ভিডিওর অভিযোগ পেয়েছে। গত সপ্তাহে সাতজন সন্দেহভাজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে, যাদের মধ্যে ছয়জনই কিশোর। ডেল্টা টাইমস/সিআর
|
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |