শিক্ষার্থীর আশার আলো শিক্ষক
মো. আরফাতুর রহমান:
প্রকাশ: শনিবার, ৫ অক্টোবর, ২০২৪, ১০:৩০ এএম

শিক্ষার্থীর আশার আলো শিক্ষক

শিক্ষার্থীর আশার আলো শিক্ষক

শিক্ষক মানে কী?
ছাত্র জীবনে আমরা অধিকাংশরাই বুঝতে পারি না শিক্ষকের গুরুত্ব। কিন্তু জীবনযুদ্ধে যখন কর্মজীবনে আমরা প্রবেশ করি, তখন বুঝি আমাদের অলক্ষ্যে কোন শক্তিকে আমাদের মধ্যে সফল্ভাবে পুড়িয়ে দিয়েছেন শিক্ষকরা।

তবে অল্প সময়ের শিক্ষকতা জীবনে শিখতে পারি নি কিছুই, কিন্তু বাস্তবতা দেখেছি অনেক কিছু। আমার প্রভাবে কারো আচরণের পরিবর্তন হয় নি হয়তো বা! কিন্তু যেটা সত্য ও ন্যায় বলার চেষ্টা করছি। কাউকে ভালোবাসতে পারি নি হয়তো তাদের মতো করে! কিন্তু সবার অফুরন্ত ভালোবাসা পেয়েছি যার জন্য আমি চির ঋণী থাকব সকলের কাছে।

তাই তো সব সময় আমি ভাবি, আমি কি সত্যিকারের শিক্ষক হতে পেরেছি! সত্যিকারের শিক্ষক তো তিনিই, যিনি আমাদের ভাবতে, চলতে, চিন্তা করতে এবং একজন ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে সর্বদা সাহায্য করেন।  

আমি আমার জীবনে চলার পথে বহু শিক্ষকের সংস্পর্শ পেয়েছি। যাদের মধ্যে কয়েকজন অসাধারণ শিক্ষক ছিলেন। তাদের আমি সারা জীবন শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি। যাদের ছাড়া আজ আমি শিক্ষক হিসেবে নিজেকে পরিচয় করাতে পারি না। তাদের অবদান আমি যতদিন বেঁচে থাকব ততদিন শ্রদ্ধার সাথে সাথে স্মরণ করে যাব। ধন্যবাদ, আমার সেই সকল ওস্তাদ ও গুরুদের যাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের কারণে আমি আজকের শাওন স্যার।   

শিক্ষকদের দায়িত্ব হলো ছাত্রদের সাথে এমনভাবে মেশা যেভাবে একজন ছাত্র তার শিক্ষককে পরম আপনজন ভাবতে বাধ্য থাকে। সে যেকোনো বিষয়ে আনন্দ পেতে পারে, একজন পরম আস্তাভাজন ব্যক্তি হিসেবে পাশে পেতে পারে। শিক্ষক শুধুই শিক্ষা প্রদান করেন এমনটা কিন্তু না! সে ভবিষ্যৎ জাতির উজ্জ্বল শিখাটাকে প্রস্তুত করেন। যে তার আলতে পুরো বিশ্বটাকে আলোকিত করেন। তিনি সব সময় শিক্ষার্থীর মধ্যে আশার আলো হিসেবে জেগে থাকেন।

তবে পরিতাপের বিষয় হচ্ছে আমাদের দেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে শিক্ষকদের মর্যাদার কথা বললেও বাস্তবের চিত্র সম্পূর্ণ উল্টো। শিক্ষকের মর্যাদার চেয়ে যেকোনো মূর্খ নেতার মর্যাদা বেশি। শিক্ষার্থীরা এগুলো দেখে এবং তা থেকে শিক্ষা নেয়। বেতনের জন্য শিক্ষকদের দিনের পর দিন রাজপথে শুয়ে থাকতে হয়। তবুও রাষ্ট্র নিরুপায় হয়ে দেখেই যায়। এই সভ্য সামাজে শিক্ষকের অধিকারের জন্য অনেক সময় লাঞ্চিত হতে হয়। এক্ষেত্রে মুষ্টি কয়েক যোগ্য শিক্ষকদের সত্যের পথে লড়াকু সৈনিকের মত লড়াই চালিয়ে যেতে হয় বাধ্য হয়ে। এগুলোর শেষ কোথায়?জাতির কাছে প্রশ্ন? এখন সময় এসেছে এগুলোর উত্তরের যথার্থ সমাধান হওয়ার।       

সর্বশেষে বলতে চাই, “Young Teacher: The Future of the profession.” অর্থাৎ তরুণ শিক্ষক, পেশের ভবিষ্যৎ। সরকারের দায়িত্ব শিক্ষকতায় নতুনদের আগমন এবং তাদের জন্য ক্যারিয়ারের পথ তৈরি করা। এই পথ সহজ করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনী শক্তি জাগ্রত করতে মেধাবি, সৎ, যোগ্য ও দেশপ্রেমিক শিক্ষকদের জায়গা সৃষ্টি করতে পারলেই জাতির প্রকৃত উন্নয়ন সম্ভব। জাতির কান্ডারী, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের বাইঘর, এমন শিক্ষক খুঁজে বের করার দায়িত্ব আমার, আপনার ও সকলের। 

লেখক:  শিক্ষক ও কলামিস্ট


ডেল্টা টাইমস্/মো. আরফাতুর রহমান/সিআর/এমই

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
  এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ  
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. জাহাঙ্গীর আলম, নির্বাহী সম্পাদক: মো. আমিনুর রহমান
প্রকাশক কর্তৃক ৩৭/২ জামান টাওয়ার (লেভেল ১৪), পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত
এবং বিসমিল্লাহ প্রিন্টিং প্রেস ২১৯ ফকিরাপুল, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত।

ফোন: ০২-৪৭১২০৮৬১, ০২-৪৭১২০৮৬২, ই-মেইল : deltatimes24@gmail.com, deltatimes24@yahoo.com
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. জাহাঙ্গীর আলম, নির্বাহী সম্পাদক: মো. আমিনুর রহমান
প্রকাশক কর্তৃক ৩৭/২ জামান টাওয়ার (লেভেল ১৪), পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত
এবং বিসমিল্লাহ প্রিন্টিং প্রেস ২১৯ ফকিরাপুল, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত।
ফোন: ০২-৪৭১২০৮৬১, ০২-৪৭১২০৮৬২, ই-মেইল : deltatimes24@gmail.com, deltatimes24@yahoo.com