তামাক নিয়ন্ত্রণে শক্তিশালী আইন প্রণয়নের আহ্বান
নিজস্ব প্রতিনিধি:
|
![]() তামাক নিয়ন্ত্রণে শক্তিশালী আইন প্রণয়নের আহ্বান বুধবার (৩০ নভেম্বর) রাজধানীর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে বেসরকারি সংগঠন উন্নয়ন সমন্বয় আয়োজিত ‘তামাক বিরোধী সমসাময়িক আন্দোলন ও নাগরিক ভাবনা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এ মতামত তুলে ধরেন। সভায় উল্লেখযোগ্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ফজলে হোসেন বাদশা এমপি (রাজশাহী-২), এসএম শাহজাদা এমপি (পটুয়াখালী-৩), বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. অরুপরতন চৌধুরী, বিশিষ্ট অভিনেতা আবুল হায়াত, বিশিষ্ট চলচ্চিত্র অভিনেতা এবং নিরাপদ সড়ক সড়ক চাই এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন, সাবেক তারকা ফুটবলার আশরাফ উদ্দিন আহমেদ চুন্নু, সাংবাদিক সুশান্ত কে. সিনহাসহ আরও অনেকে। সভায় সভাপতিত্ব করেন উন্নয়ন সমন্বয়ের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. আতিউর রহমান। মতবিনিময় সভায় বিভিন্ন নাগরিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। উন্নয়ন সমন্বয়ের প্রোজেক্ট কোঅর্ডিনেটর শাহীন উল আলমের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভার শুরুতে ড. আতিউর রহমান বলেন, দেশে তামাকের ব্যবহার কমিয়ে আনতে শুধু নাগরিক সমাজই নয়, নীতি-নির্ধারকরাও ইতিবাচক ভূমিকা পালন করছেন এবং তারা তামাক বিরোধী সামাজিক আন্দোলনে সমস্ত ধরনের সহায়তা প্রদান। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রæত স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হলে তামাক নিয়ন্ত্রণে শক্তিশালী আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে নাগরিক সমাজ, নীতিনির্ধারক সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে। ![]() তামাক নিয়ন্ত্রণে শক্তিশালী আইন প্রণয়নের আহ্বান সভায় বাংলাদেশ ওয়াকার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা এমপি বলেন, তামাকের বিপক্ষে সাধারণ মানুষের মাঝে একটি ইতিবাচক মনোভাব তৈরি হয়েছে। তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালী হলে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন আরও এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে। এসএম শাহজাদা এমপি বলেন, দেশে ভোট এলে তামাকে ব্যবহার বেড়ে যায়। ভোটের সময় বিড়ি-সিগারেট দিয়ে ভোটারদের প্রলোভন দেওয়ার যে প্রথা রয়েছে তা বন্ধ করার উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। বিশিষ্ট অভিনেতা আবুল হায়াত বলেন, ধূমপান স্ট্যাটানস বাড়ায় না, এটি ক্ষতিকর বিষয়। শর্তসাপেক্ষ্যে নাটক-সিনেমাতে ধূমপানের দৃশ্য দেখানোর ক্ষেত্রে যে বিকল্প পথ দেওয়া আছে সেটি অবশ্যই বদলে বলতে হবে। নাটক-সিনেমার কোথাও কোনো ধরনের ধূমপানের দৃশ্য দেখানো যাবে না এই আইনের প্রচলন করতে হবে। একুশে পদক প্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. অরুপরতন চৌধুরী বলেন, জাতিসংঘ পর্যন্ত বলছে বিড়ি-সিগারেট-ই সিগারেটের মতো বিষাক্ত পদার্থ অবশ্যই বর্জন করতে হবে। করোনার চেয়ে তামাকের কারণে আমাদের বেশি মানুষ মারা গিয়েছে এটি আমাদের উপলব্ধিতে এনে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন আরও শক্তিশালী করার সময় এসেছে। বিশিষ্ট চলচ্চিত্র অভিনেতা এবং নিরাপদ সড়ক সড়ক চাই এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, শক্তিশালী আইন না হলে আমরা কিছু করতে পারব না। আগামী জাতীয় নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশনকে সুস্পষ্টভাবে বলতে হবে যারা নির্বাচনের সময় বিড়ি-সিগারেট বিলি করবে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত ফুটবলার আশরাফ উদ্দিন চুন্নু বলেন, তামাক ব্যবহারের কারণে শরীরের ক্ষয় হয়, নিজের শরীর সুরক্ষার জন্য প্রয়োজন সব ধরনের ধূমপান বর্জন করা। ডেল্টা টাইমস্/সিআর/এমই
|
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |