দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তেঁতুলিয়ায় ১০.৪ ডিগ্রি
তেঁতুলিয়া (পঞ্চগড়) প্রতিনিধি:
|
এক সপ্তাহের ব্যবধানে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা আরও কমেছে। বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস। সপ্তাহজুড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ থেকে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে উঠানামা করছিল। বুধবার দিনের তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বুধবার গভীর রাত থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টা পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় ডুবে ছিল এলাকা। সাথে উত্তরের হিমশীতল বাতাসে শীতের প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে সকাল ৯ টার দিকে সূর্যের আলো ছড়িয়ে পড়লেও উত্তাপ ছিল না। ঘন কুয়াশার কারণে সকাল ৯ টা পর্যন্ত হেড লাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। কনকনে শীতের সাথে দূর্ভোগ বেড়েছে রিকশা- ভ্যানচালক আর খেটে খাওয়া মানুষের। বিশেষ করে ভোর থেকে মাঠে কাজ করা শ্রমিকদের দূর্ভোগ বেড়েছে। স্থানীয়দের আশঙ্কা, কয়েক দিনের মধ্যে শীতের তীব্রতা আরও বৃদ্ধি পাবে। চা-শ্রমিক নায়েম-বিপ্লব-আলী হোসেন জানান, কয়েকদিন ধরে কনকনে শীত অনুভূত হচ্ছে। সকালে চা-বাগানের পাতা তুলতে গিয়ে হাত-পাতা অবশ হয়ে আসে। তারপরও কাজ করতে হচ্ছে। পাথর শ্রমিক জরিনা, সমিলা সহ কয়েকজন নারী শ্রমজীবি নারী জানান, আমরা ফজরের আজানের পর পরই ঘুম থেকে উঠি। কদিন ধরে খুব ঠান্ডা। ভোরে উঠে ঘরের মেঝে, আসবাবপত্র সব বরফের মতো লাগে। তারপরও কাজ শেষ করে পেটের দায়ে পাথরের কাজে যেতে হচ্ছে। তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাসেল শাহ বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টায় সর্বনিম্ন ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। প্রায় ১৫ দিন ধরে তাপমাত্রা ১১ এবং ১২ এর মধ্যেই উঠানামা করছিল। বুধবার দিনে ২৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। চলতি সপ্তাহে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। পঞ্চগড় পৌর মেয়র জাকিয়া খাতুন বলেন, কয়েকদিন ধরেই শীতের তীব্রতা বেড়েছে। আমাদের এলাকায় প্রতি বছর ঘনকুয়াশা আর কনকনে শীতে ছিন্নমুল ও খেটে খাওয়া মানুষের মধ্যে দূর্ভোগ দেখা দেয়। আমরা সরকারি বরাদ্দের পাশাপাশি শীতবস্ত্র বিতরণসহ সহায়তা করে যাচ্ছি। ডেল্টা টাইমস্/মো. আব্দুল কুদ্দুস/সিআর/এমই
|
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |