বই উৎসব উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
ডেল্টা টাইমস্ ডেস্ক:
|
নতুন বছরের পাঠ্যবই বিতরণের কার্যক্রম উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১ জানুয়ারি সব শিক্ষার্থীর মাঝে বিতরণ হবে নতুন পাঠ্যবই। এরইমধ্যে সরকারের দেয়া বিনামূল্যে এসব বই বিতরণের সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। স্কুলে স্কুলে পৌঁছ গেছে বিভিন্ন শ্রেণির নতুন পাঠ্যবই। শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার পর প্রধানমন্ত্রী তার কার্যালয় থেকে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এ সময় শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেনসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে মাধ্যমিক পর্যায়ের বই উৎসব গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে আয়োজন করা হবে। আর প্রাথমিক পর্যায়ের বইয়ের কেন্দ্রীয় উৎসব হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠে। অনুষ্ঠানে দুই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, সচিবসহ বিশিষ্ট ব্যক্তি, কর্মকর্তা, শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত থাকবেন। এবারো ১ জানুয়ারির আগেই ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষার্থীর জন্য মোট ৩৩ কোটি ৯৬ লাখ ৯ হাজার নতুন বই ছাপানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল সরকার। তবে বই ছাপানোর কার্যাদেশ দিতে দেরি করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড। পাশাপাশি কাগজ ও বিদ্যুৎ সংকটের কারণে বই উৎসবের মাত্র একদিন বাকি, এখনো ছাপার কাজই শেষ হয়নি। কার্যাদেশ দিতে দেরির বিষয়টি স্বীকার করে এনসিটিবি বলছে, কাগজ সংকট ও বিদ্যুৎ সমস্যার কারণে ভোগান্তিতে তারা। তবে ১ জানুয়ারি ৮০ শতাংশ বই দিয়ে উৎসব পালনে আশাবাদী প্রতিষ্ঠানটি। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান ফরহাদুল ইসলাম বলেন, আমরা যথাযথ ও আড়ম্বরভাবে আগামী ১ জানুয়ারি পাঠ্যপুস্তক উৎসব একযোগে করতে পারব। তবে মুদ্রণসংশ্লিষ্টরা বলছেন ভিন্ন কথা। প্রথম, দ্বিতীয়, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির বই ছাপানোর জন্য এনসিটিবির কার্যাদেশের মেয়াদই ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত। তাহলে ১ জানুয়ারি কীভাবে বই পৌঁছানোর কথা বলছে এনসিটিবি - এমন প্রশ্ন মুদ্রণসংশ্লিষ্টদের। সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ বই পৌঁছানোর চেষ্টায় তারা। বাংলাদেশ পাঠ্যপুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সভাপতি তোফায়েল খান বলেন, আমাদের ১৯ জানুয়ারির মধ্যে বই পৌঁছানোর তারিখ দেয়া হয়েছে। আমরা অষ্টম, নবম ও তৃতীয় শ্রেণির ৮০ শতাংশ বই দিতে পারব। প্রথম ও দ্বিতীয় এবং ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির ৫০ শতাংশ দিতে পারব। ডেল্টা টাইমস্/সিআর/একে |
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |