যন্ত্রপাতি থাকলেও ইবির মেডিকেলে নেই দক্ষ টেকনিশিয়ান
ইবি প্রতিনিধি:
|
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) মেডিকেল সেন্টারে যন্ত্রপাতি থাকলেও লোকবল সংকটের কারণে চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। দীর্ঘদিন ধরে অব্যবহৃত থাকায় মরচে ধরেছে এক্সরে মেশিনে, নষ্ট হয়ে পড়েছে আলট্রাসনোগ্রাফি মেশিন। এছাড়া আরও অন্যান্য চিকিৎসা সারঝঞ্জাম থাকলেও দক্ষ টেকনিশিয়ানের অভাবে সেগুলোর যথাযথ ব্যবহার নেই বলে জানিয়েছে মেডিকেল কর্তৃপক্ষ। মেডিকেল কর্তৃপক্ষ সূত্রে, ইসিজি ও প্যাথলজি বিভাগে দুইজন দক্ষ টেকনিশিয়ান এবং চক্ষু বিভাগে একজন এ্যাসিসট্যান্ট টেকনিশিয়ানের প্রয়োজন। এছাড়াও এক্সরে, প্যাথলজি, ডেন্টালসহ বিভিন্ন সেক্টরে পর্যাপ্ত টেকনিশিয়ান, নার্স, পরিচ্ছন্নতা কর্মী ও পিওনের সংকট রয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা। সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোতে দক্ষ কোন টেকনিশিয়ান না থাকার কারণে প্রয়োজনমতো চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেনা শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এতে সঠিক চিকিৎসা সেবা ব্যহত হচ্ছে বলে অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের। এছাড়া ডেন্টাল বিভাগে স্থায়ী কোন সার্জন না থাকায় বাইরের একজনকে দিয়ে কাজ চালানো হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র মেডিকেলে এমন অবস্থায় দেখে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে। শিক্ষার্থীরা বলেন, ইবির মেডিকেল নিয়ে আমাদের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। এখানে কয়েকটি ছোট খাট টেস্ট করানোর ব্যবস্থা হলেও বেশির ভাগ টেস্ট এখানে হয় না। টেস্ট করাতে হয় প্রাইভেট হাসপাতাল থেকে। বাহিরে টেস্ট করাতে গেলে ব্যয় অনেক বেড়ে যায়, যা আমাদের জন্য কঠিন। মেডিকেলে সমস্যার নিরসন হোক এবং প্রত্যেক শিক্ষার্থী সঠিক চিকিৎসা পাক কর্তৃপক্ষের কাছে সকলের এই দাবি। ইবি ছাত্র মৈত্রীর সাধারণ সম্পাদক ইয়াসিরুল কবির বলেন, অবকাঠামোগত ভাবে উন্নয়ন হলেও চিকিৎসা সেবায় কোনো অগ্রগতি হয়নি আমাদের মেডিকেল সেন্টারে। চিকিৎসার জন্য কয়েকটি বিভাগ থাকলেও সেগুলোর কার্যক্রম চোখে পড়ার মতো না। মামুলি রোগের চিকিৎসায়ও শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসের বাইরে ছুটতে হয়। চিফ মেডিক্যাল অফিসার ডা. সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমাদের দপ্তরে লোকবল সংকটের বিষয়টি প্রশাসনকে অবহিত করেছি। একাধিকবার নোটও দিয়েছি, কিন্তু তেমন লাভ হয়নি। এর আগে মেডিকেল কেন্দ্রিক সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য একটি ‘মেডিকেল উপদেষ্টা কমিটি’ ছিল, কিন্ত বর্তমানে সেটি নেই। এই কমিটির কাছে আমাদের সমস্যাগুলো তুলে ধরলে তাদের সুপারিশক্রমে সমাধান পাওয়া যেত। সেরকম ব্যবস্থা আবারও চালু করলে ভালো হয়। ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান বলেন, ইউজিসি কর্তৃক নিয়োগ না দিলে আমাদের কিছু করার নেই। আমরা ইউজিসির সঙ্গে কথা বলেছি, তারা বললেই আমরা নিয়োগ দিয়ে দিব। তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে ৩ জন লোক নিয়োগের জন্য লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। ভাইভায় যারা উত্তীর্ণ হবে তাদের নিয়োগ দেওয়া হবে। এছাড়া আরো ৪ জন নিয়োগের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। ডেল্টা টাইমস্/রাকিব মিয়া রিফাত/সিআর/এমই
|
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |