গোপালগঞ্জে নির্বাচনী সংঘর্ষে পুলিশের গুলিতে শ্রমিক নিহত
গোপালগঞ্জ থেকে:
|
গোপালগঞ্জে ইউপি নির্বাচনে ভোট গনণায় গড়মিলের ঘটনা নিয়ে পুলিশ ও গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘষে ইয়াছিন শেখ নামে এক শ্রমিক গুলিতে নিহত। নিহতর স্ত্রী শ্রাবনীর দাবি পুলিশ ইয়াছিনকে মাটিতে ফেলে পা দিয়ে চেপে ধরে গুলি করে হত্যা করেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে গোপালগঞ্জ জেলারে সদর থানার লতিফপুর ইউনিয়নের চরমানিকদাহ গ্রামের কাজীর বাজারে। নিহত ইয়াছিন চরমানিকদাহ গ্রমের রাজ্জাক শেখের ছেলে। ইয়াছিন পেশায় একজন ট্রলিচালক ছিলেন। নিহত ইয়াছিনের স্ত্রী শ্রাবনী বলেন, সোমবার (২০ মার্চ) রাতে সদর উপজেলার লতিফপুর ইউনিয়নের চরমানিকদাহ গ্রামের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাজীর বাজার এলাকায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট গননায় গড়মিল হয়। বিষয়টি সংশোধন না করেই এ দিন সন্ধ্যায় প্রিজাইডিং অফিসার সাবু মোল্লাকে মেম্বার ঘোষণা করেন। এ সময় প্রতিদ্বন্দ্ধী তিন মেম্বার প্রার্থী মতিয়ার রহমান ফকির, পলু মোল্লা ও ইব্রাহিম কাজী আপত্তি জানান এবং পুনরায় ভোট গননা করে ঘোষণা দেওয়ার জন্য প্রিজাইডিং অফিসারকে অনুরোধ করেন। সে এতে রাজী না হওয়ায় এ নিয়ে পুলিশের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন প্রতিদ্বন্দ্ধী তিন মেম্বার প্রার্থী ও তাদের সমথকরা। এসময় উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। এ সময় পুলিশ আমার স্বামী ইয়াছিনকে মাটিতে ফেলে পাড়ায়ে ধরে গুলি করে হত্যা করে। আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচার চাই। তবে থানার ওসি মো, জাভেদ মাসুদ বলেছেন ভিন্ন কথা। তিনি বলেন, সোমবার (২০ মার্চ) রাতে সদর উপজেলার লতিফপুর ইউনিয়নের চরমানিকদাহ ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাজীর বাজার এলাকার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট গননা শেষে সন্ধ্যায় সাবু মোল্লাকে মেম্বার ঘোষণা করেন প্রিজাইডিং অফিসার। ঘোষণার পর নির্বাচনী সরঞ্জাম নিয়ে আইনশৃংখলা বাহিনী ও নির্বাচনী কর্মকর্তারা জেলা সদরে ফিরছিলেন। এ সময় পরাজিত তিন মেম্বার প্রার্থী তাদের দলবল নিয়ে নির্বাচন বাতিলের দাবি জানায় এবং একপযায়ে হামলা চালিয়ে নির্বাচনী সরঞ্জাম ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। এ নিয়ে আইনশৃংখলা বাহিনীর সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ শুরু হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে পুলিশ গুলি ছোঁড়ে। এ সময় ইয়াছিনসহ ৩ জন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়। গুরুত্বর আহত ইয়াছিনকে ঢাকার একটি প্রাইভেট হাসপাতালে ভতির পর মঙ্গলবার মারা যায়। সদর থানার (এসআই) গণেশ বিশ্বাস বাদী হয়ে পুলিশের ওপর হামলা ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার দায়ে অজ্ঞাত ৪–৫’শ জনকে আসামি করে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। ডেল্টা টাইমস্/সিআর/আসাদুজ্জামান বাবুল/একে |
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |