কমিউনিটি ভিত্তিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সচেতনতা মূলক কর্মসূচির তাগিদ
নিজস্ব প্রতিবেদক:
|
দূষন মুক্ত ঢাকা সিটি বির্নিমাণে কঠিন
বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত বিদ্যমান আইনগুলো প্রয়োগ এবং আইনী সমাধানের
উদ্যোগ গ্রহণ তাগিদ অনুভব করছেন বিশিষ্টজনেরা। একই সাথে কমিউনিটি ভিত্তিক বর্জ্য
ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলার লক্ষে সচেতনতা মূলক কর্মসূচি গ্রহণ করার প্রয়োজন বলেও মনে করেন তারা। বুধবার (৩১ মে) রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ডিনেটের হল রুমে হেলথ ইমপেক্ট স্ট্যাডি এবং পলিসি ব্রিফ এর ফাইন্ডিংন্স এর উপর দিনব্যাপি
মতবিনিময় সভায় বক্তারা এ অভিমত ব্যক্ত করেন। বর্জ্য মুক্ত সমাজ গঠনে সচেতনতাই হল মূল চাবি কাঠি, যা শুরু করতে হবে পরিবার থেকে শুরু করতে হবে জানিয়ে বক্তারা আরও বলেন,নগরদূষণের বড় কারণ কঠিন বর্জ্য। সরকার কঠিন বর্জ্য
ব্যবস্থাপনা বিধিমালা-২০২১ করেছে। কিন্তু তা বাস্তবায়নে কোনো নীতিমালা করা
হয়নি। ফলে এ ধরনের বর্জ্য নিয়ে অব্যবস্থাপনা হচ্ছে। তা ছাড়া, ঢাকার অধিকাংশ
বস্তি এলাকায় এখনো সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নেই। এতে পরিবেশদূষণের মাত্রা
বাড়ছে। ঢাকা কলিং এর প্রজেক্ট ম্যানেজার মাহবুবুল হকের সঞ্চালনায় মত বিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন আমিনুর রসুল উপদেষ্টা, মানবধিকার উন্নয়ণ কেন্দ্র, স্ট্যাডি রির্পোট উপস্থাপন করেন সানজিদা জাহান আশরাফী, কনসোর্টিয়াম কো-অডিনেটর, ডিএসকে, আলোচনায় অংশ গ্রহন করেন নিগার রহমান, ম্যানেজার ইনসাইটস, সিনিয়র সাংবাদিক নিখিল ভদ্র, গাজী শাহ্ নেওয়াজ, শাকিলা পারভিন, রফিকুল ইসলাম আজাদ, আমিনুল হক ভূইয়া, সাইফুল মাসুম এবং বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন এর যুগ্ন-সম্পাদক মিহির বিশ্বাস, বাংলাদেশ নদী ও পরিবেশ বাচাও আন্দোলন এর সাধারণ সম্পাদক সীমান্ত সিরাজ। এছাড়াও এনজিও কর্মী, সিভিল সোসাইটি ও গণমাধ্যম কর্মীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। দেশে অনেক বড় বড় কোম্পানী রয়েছে যারা বর্জ্য উৎপাদনের সঙ্গে সরাসরি জড়িত। তাদের মোড়কজাত পন্যের বর্জ্যে সয়লাব হয়ে যায় নগরীর ড্রেন ও খাল। যা নগরীর দূষণ ও জলাবন্ধতার জন্য অনেকাংশে দায়ী। এর ফলে ওই কোম্পানী গুলোকে দায়বদ্ধ হতে হবে, সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় তাদেরকেই ভূমিকা রাখতে হবে। সভাপতির বক্তব্যে আমিনুর রসুল বলেন, ‘বর্জ্যের যে অর্থনৈতিক ভ্যালু আছে এটা আমরা অনেকে জানি না। এ বিষয়ে পলিসির জায়গা গুলোতে কাজ করতে হবে। দেশের অনেক বড় বড় প্রতিষ্ঠান বর্জ্য উৎপাদন করে কিন্তু তারা বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িত হতে চান না। যারা বর্জ্য উৎপাদন করেন তাদের দায়িত্ব রয়েছে বর্জ্য রিসাইকেলিং করা। এ বিষয়ে গণ্যমাধ্যমের ভূমিকা অনেক বেশি। মতবিনিময় সভাটি আয়োজন করেন, ইউএসএইড এর আর্থিক সহযোগিতায় এবং কাউন্টারপার্ট ইন্টারন্যাশনালের কারিগরি সহযোগিতায় ডিএসকে কনর্সোটিয়াম তার কনসোর্টিয়াম সদস্য সংস্থা সমূহ (বারসিক, কাপ ও ইনসাইটস) কর্তৃক বাস্তবায়িত ঢাকা কলিং প্রকল্পের উদ্যোগে সভার আয়োজন করা হয়। ডেল্টা টাইমস্/সিআর/এমই
|
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |