ডেঙ্গুতে ৩ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৯৭
ডেল্টা টাইমস্ ডেস্ক:
|
দেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতি ক্রমেই প্রাণঘাতী রূপ ধারণ করছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে নতুন করে আরও তিনজন এডিস মশাবাহিত রোগটিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। এ সময় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৯৭ জন। রোববার (৪ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমারজেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের ইনচার্জ ডা. মো. জাহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, শনিবার (৩ জুন) সকাল ৮টা থেকে রোববার (৪ জুন) একই সময়ের মধ্যে সারাদেশে নতুন করে আরও ৯৭ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। নতুন ভর্তি হওয়া রোগীদের মধ্যে ৮৭ জন ঢাকায় চিকিৎসাধীন। বাকি ১০ জন রাজধানীর বাইরে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এই সময় আরও তিনজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এতে মৃত্যু বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ জনে। বর্তমানে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে সর্বমোট ৩৮৭ জন ভর্তি আছেন। তাদের মধ্যে ঢাকার ৫৩টি ডেঙ্গু ডেডিকেটেড হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৩৩৮ জন। এছাড়া ঢাকার বাইরে ৪৯ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, চলতি বছরের প্রথম দিন (১ জানুয়ারি) থেকে ৪ জুন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন মোট দুই হাজার ৩৭৬ জন। এরমধ্যে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন এক হাজার ৯৭৩ জন। চলতি বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ১৬ জন। প্রতিবছর বর্ষাকালে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন শহরে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয়। ২০১৯ সালে দেশব্যাপী ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছিলেন এক লাখ এক হাজার ৩৫৪ জন। ওই সময়ে চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীসহ প্রায় ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। ২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গুর সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারাদেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। ওই বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এছাড়া ২০২২ সালে ডেঙ্গু নিয়ে মোট ৬২ হাজার ৩৮২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। এরমধ্যে গত বছর মশাবাহিত রোগটিতে আক্রান্ত হয়ে ২৮১ জন মারা গেছেন। গত বছরের তুলনায় এবার সারাদেশে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা পাঁচ গুণ বেশি বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। এজন্য সবাইকে সচেতন হওয়ার তাগিদ দিয়েছেন মন্ত্রী। গত ২৯ মে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ায় যথেষ্ট ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। হাসপাতালগুলোকে প্রস্তুতি রাখতে বলা হয়েছে। চিকিৎসক এবং নার্সদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। হাসপাতালে করোনা এবং ডেঙ্গুর জন্য আলাদা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এরই মধ্যে আড়াই হাজার চিকিৎসক-নার্সকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। ডেল্টা টাইমস্/সিআর/এমই |
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |