ভর্তি-ইচ্ছুদের সেবায় ইবি ছাত্রলীগের নানা কর্মসূচি
ইবি প্রতিনিধি:
|
![]() ভর্তি-ইচ্ছুদের সেবায় ইবি ছাত্রলীগের নানা কর্মসূচি সোমবার (৫ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়টির স্বতন্ত্র ইউনিট 'ডি' এর মাধ্যমে এবারের ভর্তি পরিক্ষা শেষ হয়। এর আগে গত ২০ মে, ২৭ মে এবং ৩ জুন গুচ্ছভুক্ত যথাক্রমে 'এ', 'বি' এবং 'সি' ইউনিটের ভর্তি পরিক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে ভর্তিচ্ছুদের সাহায্যার্থে এগিয়ে এসেছে ইবি শাখা ছাত্রলীগ। সাহায্যমূলক কর্মসূচীর মধ্যে ছিল জয় বাংলা বাইক সার্ভিস, সুপেয় পানির ব্যবস্থা, অভিভাবকদের বিশ্রাম কেন্দ্র, প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের জন্য প্রয়োজনীয় লজিস্টিক সরবরাহ কেন্দ্র, প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্র, বিনামূল্যে কলম ও মাস্ক বিতরণ। জয় বাংলা বাইক সার্ভিসের মাধ্যমে পিছিয়ে পড়া ভর্তিচ্ছুদের পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছে দেন শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এছাড়া মেইন গেট, ঝাল চত্বর ও পরীক্ষাকেন্দ্রগুলোর সামনে সুপেয় পানি বিতরণ করেন তারা। তাছাড়া মেইন গেটের দক্ষিণ পাশে অভিভাবকদের বিশ্রামকেন্দ্রসহ, কলম ও মাস্ক ছেড়ে আসা পরীক্ষার্থীদের বিনামূল্যে মাস্ক প্রদান এবং প্রতিবন্ধীদের লজিস্টিক সার্ভিস প্রদান করেন নেতাকর্মীরা। হৃদয় নামের এক ভর্তিচ্ছু বলেন, জ্যামের কারণে পৌঁছাতে দেরি হওয়ায় খুবই চিন্তা হচ্ছিল। ঠিক তখনই এমন বাইক সার্ভিস পেয়ে খুবই ভালো লেগেছে। বাইক সার্ভিস দেওয়া মেজবাহুল ইসলাম বলেন, আমি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের একজন ক্ষুদ্র কর্মী। ভর্তিচ্ছুদের সহযোগিতায় বাইক সার্ভিস নিয়ে পাশে থাকতে পেরে নিজের কাছে খুবই ভালো লাগছে। ওরা বিশ্বদ্যিালয়ে ভর্তির সুযোগ পেলে সারাজীবন ছাত্রলীগের সহযোগিতার কথা মনে রাখবে, এটাই বড় প্রাপ্তি। ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু থেকে আসা আরিফ নামে এক অভিভাবক বলেন, ছেলে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে, তার সাথে আমি এসেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে দেখি নানা মুখী সেবায় নিয়োজিত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। তাদের এমন কার্যক্রমে আমরা মুগ্ধ। এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয় বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের অধিকার সংক্রান্ত পদক্ষেপে ছাত্রলীগ সবসময় সামনের সারি থেকে নেতৃত্ব দেবে। আমরা আমাদের সাধ্যের মধ্য থেকে চেষ্টা করেছি ভর্তিচ্ছু ও অভিভাবকদের পাশে থেকে সহায়তার করার। আমাদের এই চেষ্টার ধারা যুগ যুগ ধরে অব্যাহত থাকবে। এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত বলেন, ছাত্রলীগ সবসময় শিক্ষার্থীদের পাশে ছিল এবং থাকবে। আমাদের দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে ভর্তিচ্ছুদের মাঝে সহায়তা নিয়ে হাজির হয়েছি। এতে ভর্তিচ্ছুরা উপকৃত হয়েছে এবং কর্মীরাও অনুপ্রাণিত হয়েছে। সামনের ভর্তি পরীক্ষা গুলোতে আরো বৃহৎ পরিসরে সহায়তার চেষ্টা থাকবে। ডেল্টা টাইমস্/ইদুল হাসান ফারহান/সিআর/এমই
|
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |