জাবিতে অনশনকারী প্রত্যয়ের উপর হামলা
জাবি প্রতিনিধি:
|
![]() জাবিতে অনশনকারী প্রত্যয়ের উপর হামলা মঙ্গলবার (৬ জুন) রাত ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হলের সামনে এ ঘটনা ঘটে। অর্ধশতাধিক ছাত্র এ ঘটনার সাথে জড়িত। প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্যমতে, রাত ১১ টায় লোডশেডিং চলাকালে অন্ধকারে গৌতম কুমার দাস, গোলাম রাব্বির (ইংরেজি ৪৫ ব্যাচ) নেতৃত্বে অর্ধশতাধিক ছাত্র প্রত্যয়ের উপর হামলা চালায়। এসময় তারা প্রত্যয়কে অনশনে বসার জন্য জবাবদিহিতা চায়। একইসাথে তারা সেখানে অবস্থানরত প্রগতিশীল শিক্ষার্থীদের উপর হামলা ও নারী শিক্ষার্থীদের শ্লীলতাহানি করেন। অনশনরত প্রত্যয়কে সেখান থেকে তুলে দেয়ার জন্য জোরপূর্বক এম্বুলেন্সে করে চিকিৎসাকেন্দ্রে পাঠান মদদদাতা গৌতম। শ্লীলতাহানির ভুক্তভোগী সৃষ্টি (মার্কেটিং ৪৭ ব্যাচ) বলেন, হলের সামনে আমরা যখন প্রত্যয়ের অনশনস্থলে গেলাম, সেখানে লোডশেডিং হওয়ার সাথে সাথে ৫০/৬০ জন বিশাল মব সৃষ্টি করে হামলা চালায়। এসময় আমাকে হেনস্তা করা হয়। প্রশাসনের কেউ সেখানে উপস্থিত ছিল না। এ ঘটনায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান বলেন, আমি সবার বডিগার্ড না, সবার পাহারাদার না। আমাদের একজন এসিসট্যান্ট প্রক্টর এখানে দাঁড়ানো ছিল। কিন্তু একটা মবে আমাদের কি করার আছে। এটা একমাত্র এলিয়েন বিশ্ববিদ্যালয়। এখানে কেউ নিয়ম মানে না। এর প্রতিবাদে তৎক্ষনাৎ বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে রাত ১২ টায় উপাচার্য ভবনের সামনে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। উপাচারে্যর বাসভবনের সামনে প্রায় দুই ঘন্টা অবস্থান শেষে শিক্ষার্থীরা পাঁচ দফা দাবি উত্থাপন করেন। দাবিগুলো হলো- মীর মশাররফ হলের সকল অবৈধ ছাত্রকে হল থেকে বের করা, হামলাকারীদের চিহ্নিত করে বহিষ্কার ও রাষ্ট্রীয় আইনে মামলা, দায়িত্ব থেকে প্রক্টর ও প্রভোস্টকে অব্যাহতি দেয়া, গণরুম- গেস্টরুম বন্ধ করা এবং প্রথম বর্ষ থেকে বৈধ সিটের ব্যবস্থা করা। শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নূরুল আলম বলেন, আগামীকাল সকাল ১১ টায় ডিসিপ্লিনারি বোর্ডের সভা বসবে। সভায় আমরা জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিব। আর প্রক্টর ও প্রভোস্টের ব্যাপারে প্রশাসনিক ফোরামে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। হামলার ঘটনায় জড়িতরা হলেন গোলাম রাব্বি (ইংরেজি ৪৫ ব্যাচ), মুরাদ (আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ৪৬), মনোজ (গণিত ৪৬), তানভীর (৪৬ ব্যাচ), রায়হান (প্রাণরসায়ন ৪৬ ব্যাচ), রাহাত (জার্নালিজম ৪৭ ব্যাচ), তারেক মীর (৪৬ ব্যাচ), ফাহাত (রসায়ন ৪৭), নাফিস (অর্থনীতি ৪৬ ব্যাচ), সজীব (৪৫ ব্যাচ), সোহেল (ইংরেজি ৪৬ ব্যাচ), তুষার (ফার্মেসি ৪৫), ফেরদৌস (ফার্মেসি ৪৫) প্রমুখ। উল্লেখ্য, গণরুম বিলুপ্তি, মেয়াদোত্তীর্ন ছাত্রদের অবিলম্বে হল ত্যাগ ও বৈধ শিক্ষার্থীদের হলে সিট নিশ্চিত করার দাবিতে গত বুধবার(৩১ মে) সন্ধ্যা থেকে অনশনে ছিলেন ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের শিক্ষার্থী সামিউল ইসলাম প্রত্যায়। ডেল্টা টাইমস্/আয়েশা সিদ্দিকা/সিআর/এমই
|
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |