ধরাছোঁয়ার বাইরে স্বর্ণ পাচারে জড়িত বিমানের অধিকাংশ কেবিন ক্রু
ডেল্টা টাইস ডেস্ক :
|
![]() ফাইল ছবি গত রোববার রাতে জেদ্দা থেকে ঢাকার উদ্দেশে বিজি ১৩৬ নম্বর ফ্লাইট ছাড়ার আগমুহূর্তে সে দেশের কাস্টমস কেবিন ক্রু জিয়াউল হাসানের ব্যাগ স্ক্যানিং করে বিপুল পরিমাণ সোনার উপস্থিতি দেখতে পায়। এর পর তাকে পুলিশের হেফাজতে রেখে প্রায় দেড় ঘণ্টা পর ফ্লাইটটি ঢাকার উদ্দেশে উড়াল দেয়। এ খবর পেয়ে বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিউল আজিম অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। গত মঙ্গলবার জিয়াউল হাসান জেদ্দা থেকে ঢাকায় এসে পৌঁছার পর বিমানের নিরাপত্তা কর্মীরা তাকে আটক করে বিমানবন্দর থানাপুলিশের হাতে তুলে দেয়। এরপর তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়। জিয়াউল হাসানের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিমানবন্দর থানার ওসি আজিজুল হক মিঞা। তাকে বুধবার সিএমএম আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড চাইলে বিচারক একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা এসআই এনামুল হক জানান, রিমান্ডে জানা যাবে বিমানের আর কে কে স্বর্ণ পাচারে জিয়াউলের সহযোগী হিসেবে কাজ করছে। জানা গেছে, জিয়াউলকে গ্রেপ্তারের পর মঙ্গলবার রাতে তার স্ত্রী বিমানবন্দর থানায় গিয়ে তার সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা চালান। সাক্ষাতের অনুমতি না দেওয়ায় তিনি সে সময় চিৎকার করে বলতে থাকেন, ‘শুধু আমার স্বামী কেন? বিমানের অন্যরা কেন ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাবে? আমি সব জানি, সব ফাঁস করে দেব। সোনা পাচারে শুধু আমার স্বামী একা জড়িত নয়।’ সূত্র জানিয়েছে, জিয়াউল দীর্ঘদিন ধরেই জেদ্দা, রিয়াদ ও শারজাহর মতো স্বর্ণ চোরাচালানের রুটে দাপটের সঙ্গে ফ্লাইট করে আসছেন। শিডিউল শাখার নথিপত্রে দেখা যায়, গত মে মাসেই তাকে নিজ বরাদ্দের বাইরে রিয়াদ রুটে ৩ বার, জেদ্দা রুটে ২ বার ও শারজাহ রুটে ১ বার করে ফ্লাইট দেওয়া হয়েছে। ডিউটি রোস্টার নীতিমালা ভঙ্গ করে শিডিউল শাখা তাকে এ সুবিধা দেওয়ায় সাধারণ কেবিন ক্রুদের মাঝে চরম অসন্তোষ দেখা দেয়। কীভাবে বারবার তাকে এসব ফ্লাইটে দেওয়া হয়? এমন প্রশ্ন করা হলে বিমানের নিরাপত্তা বিভাগের মহাব্যবস্থাপক মেজর হাসান বলেন, আমরা এসব অভিযোগ পাইনি। যদি কেউ অভিযোগ করে তখন খতিয়ে দেখা যাবে। তিনি জানান, এ বিষয়টি দেখে থাকে সেন্ট্রাল অ্যাডমিন (কেন্দ্রীয় প্রশাসন)। ডেল্টা টাইমস/সিআর
|
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |