খাদ্যের ছয়টি উপাদানের ভূমিকা
ইয়াসমিনা হক ইমন
|
খাদ্য যখন দেহের সুস্থতা আনে তখন বলা হয় পুষ্টিসাধন হয়েছে। এই পুষ্টি উপাদানগুলোই শরীরের বিপাক সচল রাখে।সর্বোপরি কাজের শক্তি যোগায় এবং শরীর সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। শরীর সুস্থ রাখার ছয়টি উপাদান হলো : ১. কার্বোহাইড্রেট বা শর্করা। ২.প্রোটিন বা আমিষ। ৩. ভিটামিন। ৪.মিনারেল বা খনিজ। ৫. ফ্যাট বা স্নেহ। ৬. পানি।পুষ্টি বিজ্ঞানের প্রধান ছয়টি খাদ্য উপাদান। একটি সুস্থ জাতি বহন করে সফলতা, উচ্চতা শারীরিক গঠন খাদ্য উপাদানের উপর নির্ভর করে। আজ জাপানকে বলা যাবে না তারা বেটে বা খাটো জাতি। বৈজ্ঞানিক কৌশল কাজে লাগিয়ে এবং সঠিক খাদ্যাভ্যাস মেনে আজ তারা পশ্চিমা বিশ্বের সমান শারীরিক উচ্চতার অধিকারী। যে কোন পর্যায়ে নিজের খাদ্য চাহিদা আর খাদ্য অভ্যাস ঠিক রাখতে পারলে তা সহজেই নিজের শারীরিক গঠন এবং সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে সাহায্য করে। শারীরিক সুস্থতার পাশাপাশি মানসিক সুস্থতা অনেক বেশি জরুরি। তখন সব নিয়মকানুন মেনে চলা ব্যক্তি কেনো হঠাৎ কোন শারীরিক অসুস্থতার শিকার হয় তা বুঝতে সহজ হয়। রোগ বালাই প্রকৃতির হাতে। তবুও চেষ্টায় থাকা মানসিক সুস্থতার প্রতি যত্নবান হওয়া, আমাদের মনের প্রভাব পুরোপুরি ই শরীরকে পরিচালিত করে, একজন শারীরিক সুঠামদেহী ব্যক্তি মানসিক অবসাদের কারণে কর্ম ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। মন সতেজতা আনে এই ধরনের খাদ্য গুলো সব সময় নিজের সঙ্গী করে নেওয়া প্রয়োজন। এখন বাংলাদেশের ঋতু অনুযায়ী যে মৌসুমি ফল সবজি পাওয়া যাচ্ছে তার মধ্যে আমড়া, টমেটো,গাজর প্রতিদিন নিজের মনের তৃপ্তির জন্য গ্রহণ করা যেতে পারে। নিজেকে নিয়ে সব সময় সহজ উপায়ে আরামদায়ক চিন্তা করতে হবে। আরেকজনের পেরেশানির প্রভাব পুরোপুরি আচ্ছন্ন হয়ে থাকা মানে নিজের মানসিকতা হারিয়ে যাওয়া। ছোট একটা খাদ্য রুটিন বা তালিকার সহজ অভ্যাস নিজের শক্তিতে পরিণত হয়। ডেল্টা টাইমস্/ইয়াসমিনা হক ইমন/সিআর/এমই
|
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |