জি-২০ সম্মেলন
বৈশ্বিক সংকট সমাধানে প্রধানমন্ত্রীর ৪ প্রস্তাবনা
মোতাহার হোসেন
|
ভারতের মাটিতে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল বহুল প্রত্যাশিত জি-২০ সম্মেলন। এই সম্মেলনকে ঘিরে জি-২০ সদস্যভুক্ত দেশগুলো ছাড়াও বাংলাদেশসহ তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোরও আগ্রহ লক্ষণীয়। এর কারণ জি-২০ সদস্য রাষ্ট্রগুলো নিজেদের বহু পাক্ষিক বাণিজ্যিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সমস্যা সমাধানে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়। একই সঙ্গে বিশ্ব ব্যাপী চলমান সন্ত্রাস, জলবায়ুর অভিঘাত মোকাবিলার পাশাপাশি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে কার্যকর উদ্যোগের ওপর গুরুত্ব দেন সম্মেলনে অংশ নেয়া জি-২০ সদস্যভুক্ত রাষ্ট্রের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানরা। তার চেয়ে গুরুত্ব পূর্ণ বিষয় হচ্ছে, এবারের সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য। এবারের প্রতিপাদ্য হচ্ছে, ‘চেতনায় এক পৃথিবী এক পরিবার, এক ভবিষ্যৎ।’ মূলত: দীর্ঘদিন ধরেই বিশ্ব নেতাদের অনেকেই বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামের বৈঠকে ‘এক বিশ্ব, এক পরিবার, ভিসামুক্ত’ বিশ্ব গড়ার শ্লোগান দিয়ে আসছিল। এবার বিষয়টি সম্মেলনের প্রতিপাদ্য করে সামনে নিয়ে আসা হলো। আর এ কারণে পুরো বিশ্বের দৃষ্টি ও আগ্রহের কেন্দ্র এই সম্মেলন। ‘এক পৃথিবী, এক পরিবার, এক ভবিষ্যৎ’ স্লোগানে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে ৮ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয় ২ দিনের জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন। দিল্লির ঐতিহাসিক প্রগতি ময়দানের ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টার ‘ভারত মন্ডপম’-এ এবারের শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন জি-২০ এর সদস্যসহ বিশ্বের ৩০টিরও বেশি দেশের শীর্ষ নেতা। আমাদের সৌভাগ্য সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তাঁর বক্তব্যও বিশ্ব নেতাদের দৃষ্টি কেড়েছে। অন্যদিকে কনভেনশন সেন্টারের সামনেই স্থাপন করা হয়েছে বিশাল এক নটরাজ মূর্তি। জি-২০ সম্মেলনে বিদেশি রাষ্ট্রনেতাদের স্বাগত জানাতে ২৮ ফুট লম্বা এ নটরাজ মূর্তি তৈরি করা হয়েছে। জি-২০ এবারের সম্মেলন এমন একটি সময়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে, করোনা মহামারির ভয়াবহ বিপর্যয়ের পরপরই যখন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সারা বিশ্বে অর্থনৈতিক সংকট প্রবল হয়ে উঠেছে। জলবায়ু পরিবর্তন, সন্ত্রাসবাদ, বিভিন্ন মহামারিসহ ডিজিটাল ডিভাইসের কারণে সৃষ্ট বৈষম্যের পরিস্থিতিতে বিশ্বনেতারা কি বলেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে আছেন সারা বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ। সম্মেলনকে ঘিরে সদস্যভুক্ত দেশ ছাড়াও তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোও আগ্রহ সহকারে অনেক আশায় বুক বেঁধেছে। কারণ জি-২০ দেশগুলো তাদের নিজ নিজ দেশের অস্ত্র প্রতিযোগিতা বন্ধ, পারস্পরিক হিংসার ঊর্ধ্বে ওঠে অস্ত্রমুক্ত বিশ্ব গড়ার অঙ্গীকার এবং অর্থনৈতিক, বহু পাক্ষিক বাণিজ্যিক ব্যবস্থা, সামাজিক ও মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নতিকল্পে সংকল্প ব্যক্ত হয়। সম্মেলনে অংশ নিতে শুক্রবার নয়াদিল্লিতে আসেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ অন্য নেতারা। সম্মেলনের প্রাক্কালে নরেন্দ্র মোদি লিখেছেন, অনৈক্য উপেক্ষা করে একতা বজায় থাকবে এমন একটি পৃথিবী গড়ার লক্ষ্যে ভারত বিভেদ, বাধা দূর করে সহযোগিতার বীজ বপনে বদ্ধপরিকর। তিনি লিখেছেন, এবারের সম্মেলনের মাধ্যমে ভারত শেষ সীমানা পর্যন্ত পৌঁছাবে আর বিশ্বের কেউই পেছনে পড়ে থাকবে না। এতে ভৌগোলিক সীমানা, ভাষা এবং মতাদর্শকে ছাড়িয়ে ভারত এবার জি-২০ সম্মেলনের মাধ্যমে মানবকেন্দ্রিক অগ্রগতির আহব্বান জানাবে বলে মোদি উল্লেখ করেন। অনেকে মনে করছেন, এই মূর্তিটিই বিশ্বের দীর্ঘতম ও গুরুত্বপূর্ণ সময়। তাই তৈরি করা হয় দীর্ঘতম নটরাজ মূর্তি। এ ছাড়াও অভ্যাগতদের স্বাগত জানাবে এআই নির্মিত অবতারও। ‘মাদার অব ডেমোক্র্যাসি’ নামের এক প্রদর্শনী চলবে ভারত মন্ডপমে। সেখানে ভারতের গণতান্ত্রিক ঐতিহ্যকে তুলে ধরা হয়। একেবারে আদিম যুগ থেকে আধুনিক যুগ, সবটাই তুলে ধরা হবে ওই প্রদর্শনীতে। ১৬টি ভাষা ব্যবহৃত হবে প্রদর্শনীর অডিওতে। এর মধ্যে ইংরেজি ছাড়াও রয়েছে ফরাসি, ইটালিয়ান, কোরিয়ান ও জাপানি প্রভৃতি। সম্মেলন উপলক্ষে কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে রাজধানীকে। জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনকে সামনে রেখে কড়া নিরাপত্তাবেষ্টনী দিল্লিতে ঢেকে দেয়া হয়েছে। জি-২০ এর সদস্যসহ বিশ্বের ৩০টিরও বেশি দেশের শীর্ষ নেতা, ইউরোপীয় ইউনিয়নের শীর্ষ কর্মকর্তা, আমন্ত্রিত অতিথি দেশ এবং ১৪টি আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধানরসহ বিশ্বের প্রায় ১৪০ দেশ জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নেয়। জি-২০ এর সদস্য দেশের মধ্যে রয়েছে আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, চীন, ফ্রান্স, জার্মানি, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইতালি, জাপান, মেক্সিকো, কোরিয়া, রাশিয়া, সৌদি আরব, দক্ষিণ আফ্রিকা, তুরস্ক, ব্রিটেন, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ভারতীয় বংশোদ্ভূধ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ, জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা, জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ স্কোলজ এবং ইটালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির মতো পরিচিত রাষ্ট্রনেতারা সম্মেলনে যোগ দেন। অংশ নেন আরো বেশ কয়েকজন প্রেসিডেন্ট এবং প্রধানমন্ত্রী। সম্মেলনে ভারত হয়ে ইউরোপে নতুন অর্থনৈতিক করিডোর গড়ার অঙ্গীর করেন আয়োজক দেশ ভারত। এই প্রথমবারের মতো ভারত এত শক্তিশালী রাষ্ট্রনেতাদের আতিথেয়তার সুযোগ পেয়েছে। ভারতের সভাপতিত্বে এই অনুষ্ঠানের থিম রাখা হয়েছে ‘বসুধৈব কুটুম্বকম’। অর্থাৎ, গোটা বিশ্বই হলো একটি পরিবার। এবারের জি-২০ সম্মেলনে বহুপাক্ষিক প্রতিষ্ঠানগুলো উন্নয়নশীল দেশগুলোকে আরো বেশি ঋণ দেয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ক্রেডিট সিস্টেমের উন্নতি এবং ক্রিপ্টোকারেন্সির নিয়মগুলো নিয়েও আলোচনার হয়েছে। এ ছাড়াও খাদ্য ও জ্বালানি নিরাপত্তার ওপর ভূ-রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রভাব নিয়েও আলোচনা হয়েছে সাইড লাইনে। পর্যবেক্ষক দেশের প্রতিনিধিদের মধ্যে প্রথমেই রয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জি-২০র সদস্য না হলেও দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র দেশ হিসেবে বাংলাদেশ ২ দিনের এই শীর্ষ সম্মেলনে আমন্ত্রণ পেয়েছে। নাইজিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বোলা টিনুবুও যোগ দেন ‘আমন্ত্রিত’ হিসেবে। এই তালিকায় আরো রয়েছে নেদারল্যান্ডসের মার্ক রট, মিসরের আবদেল ফাতা, মরিশাসের প্রবীন্দ জগন্নাথ, ওমানের হাইতাম বিন তারিক, সিঙ্গাপুরের লি সেইন লং, কমোরোসের অসুমনি, সংযুক্ত আরব আমিরাতের মহম্মদ বিন জায়েদের মতো রাষ্ট্রনেতারাও। জি-২০ সম্মেলন উপলক্ষে বিশেষ লোগো প্রকাশ করে ভারত। লোগোতে সাত পাপড়ির এক পদ্মফুলের ছবি রয়েছে। পদ্ম ভারতের জাতীয় ফুল, ভারতের আধ্যাত্মিক ধারণাতেও এই ফুলটি পবিত্র বলে স্বীকৃত। জি-২০ সভাপতিত্বের লোগোতে পদ্মের চিহ্নকে তাই ভারতের সংস্কৃতি, আধ্যাত্মিকতা, সম্পদের প্রতীক বলেই জানিয়েছে ভারত। লোগো উন্মোচনের সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, পদ্মের সাতটি পাপড়ি পৃথিবীর সাতটি মহাদেশ এবং সংগীতের সাতটি সুরের প্রতিনিধিত্ব করছে। একইসঙ্গে লোগোতে রয়েছে গেরুয়া, সাদা, সবুজ ও নীল রঙের সংমিশ্রণ। অতিথি আপ্যায়নেও ভারত কমতি রাখেনি। আমন্ত্রিত অতিথিদের সোনা-রুপার বাসনে অতিথিদের ভোজের টেবিল সাজিয়েছেন। মধ্যাহ্নভোজ ও নৈশভোজে সেই বিশেষ বাসনেই খাবার পরিবেশন করা হয় রাষ্ট্রনেতাদের। আর সেই বাসনে খোদাই করা থাকছে ভারতবর্ষের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের নানা নিদর্শন। প্রসঙ্গত: ১৯৯৯ সালে এশিয়ার আর্থিক সংকটে পরে বিশ্বের ২০টি প্রধান দেশ একটি অর্থনৈতিক গোষ্ঠী গঠন করে, যা জি-২০ নামে পরিচিত। এই জোট বর্তমানে বিশ্বব্যাপী মোট জিডিপির ৮০ শতাংশ এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ৭৫ শতাংশ পরিচালনা করে। এখন পর্যন্ত ১৭টি জি-২০ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। আর এবারের ১৮তম জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলো নয়াদিল্লিতে। শীর্ষ সম্মেলনের আগে ভারতের ৬০টি শহরে অনুষ্ঠিত হয়েছে জি-২০র ২২০টি বৈঠক। এমন এক সময়ে জি-২০ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলো, যখন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সারা বিশ্বে অর্থনৈতিক সংকট প্রবল হয়ে উঠেছে। জলবায়ু পরিবর্তন, সন্ত্রাসবাদ, বিভিন্ন মহামারিসহ ডিজিটাল ডিভাইসের কারণে সৃষ্ট বৈষম্যের পরিস্থিতিতে বিশ্বনেতারা কি বলেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে আছেন সারা বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ। এ সম্মেলন উপলক্ষে নয়াদিল্লিকে কড়া নিরাপত্তার চাদরে পুরোপুরি মুড়ে ফেলা হয়। সারা বিশ্বের শীর্ষ রাষ্ট্রনেতারা এই সম্মেলনে যোগ দিতে ভারতে আসেন। তাই তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ভারত কোনো কমতি রাখেনি। সম্মেলন শুরুর প্রাক্কালে নরেন্দ্র মোদি লিখেছেন, অনৈক্য উপেক্ষা করে একতা বজায় থাকবে এমন একটি পৃথিবীর লক্ষ্যে ভারত বিভেদ, বাধা দূর করে সহযোগিতার বীজ বপনে বদ্ধপরিকর। দেশের শীর্ষ দৈনিকে প্রকাশিত সম্পাদকীয়তে মোদি লিখেছেন, এবারের সম্মেলনের মাধ্যমে ভারত শেষ সীমানা পর্যন্ত পৌঁছাবে আর বিশ্বের কেউই পেছনে পড়ে থাকবে না। এতে ভৌগোলিক সীমানা, ভাষা এবং মতাদর্শকে ছাড়িয়ে ভারত এবার জি-২০ সম্মেলনের মাধ্যমে মানবকেন্দ্রিক অগ্রগতির আহব্বান জানাবে বলে মোদি উল্লেখ করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে বিশ্বব্যাপী সংহতি জোরদার করার ও বৈশ্বিক সংকট মোকাবিলায় সমন্বিতভাবে প্রচেষ্টা গ্রহণের ওপর জোর দিয়েছেন। শনিবার শীর্ষ সম্মেলনে তার চার দফা সুপারিশে এই আহব্বান জানান তিনি। সম্মেলনে তিনি ‘ওয়ান আর্থ’ অধিবেশনে ভাষণ দেয়ার সময় তার সুপারিশের প্রথম পয়েন্টে বলেছেন, ‘এখানে জি-২০ এবং আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে ও বাংলাদেশ সংকট মোকাবিলায় কার্যকর সুপারিশ তৈরি করতে তাদের প্রচেষ্টাকে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত রয়েছে। দ্বিতীয় পয়েন্টে তিনি বলেন, মানবতার বৃহত্তর স্বার্থে এবং সারাবিশ্বে শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার জন্য বিশ্বব্যাপী সাহসী, দৃঢ় এবং সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে। বৈশ্বিক উন্নয়নের জন্য প্রধান অর্থনীতির দেশগুলোকে তাদের যথাযথ দায়িত্ব পালন করা উচিত। তৃতীয়ত, ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের সদস্য হিসেবে জলবায়ুজনিত অভিবাসন মোকাবিলায় অতিরিক্ত অর্থায়নের ব্যবস্থা করার জন্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ক্ষতি এবং ক্ষয়ক্ষতি তহবিল চালু করার অনুরোধ জানান। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, সব মানুষেরই উপযুক্ত জীবন-যাপনের সমান অধিকার থাকা উচিত। দুর্ভাগ্যজনকভাবে মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত নাগরিকদের তাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে বৈশ্বিক সম্প্রদায় ভুলবেন না এবং তাদের মানবিক সহায়তা অব্যাহত রাখতে হবে। প্রত্যাশা জি-২০ সম্মেলনে গৃহীত সিদ্ধান্ত এবং একই সাথে বৈশ্বিক সংকট নিরসনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রদত্ত সুপারিশগুলো বাস্তবায়নে সব সদস্যভুক্ত দেশ ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করলে স্বার্থক হবে এ সম্মেলন। লেখক : উপদেষ্টা সম্পাদক, দৈনিক ভোরের আকাশ এবং সাধারণ সম্পাদক বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরাম। |
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |