টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিতে জনগণের সম্পৃক্ততা জরুরি
রায়হান আহমেদ তপাদার
|
এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এই কথাটি সাম্প্রতিক সময়ে বহুল উচ্চারিত, বহুল শ্রুত। এটা আমরা যেমন বলি, বিদেশিরাও বলে। আসলে এই কথাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই কথায় যে বাস্তবাতা প্রতিফলিত, তার জন্য আজ আমরা গর্বিত এবং আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে বাংলাদেশ নন্দিত। বস্তুত আর্থসামাজিক দৃষ্টিকোণ থেকে বাংলা দেশেরর অবস্থান আজ অভূতপূর্ব উচ্চতায় এবং যথেষ্ট স্বস্তির জায়গায়। সংবিধানের আলোকে মানুষকে কেন্দ্র করে ন্যায়বিচার-ভিত্তিক উন্নয়নের পথ রচনার সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছিল বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে স্বাধীনতার প্রথম বছর গুলোতে। চিত্র পাল্টে যায় ১৯৭৫-এর আগষ্ট মাসের পর অর্থাৎ স্বাধীনতাবিরোধী দেশি-বিদেশি বিপথগামী ও চক্রান্তকারীদের দ্বারা সেই মহান নেতাকে নির্মমভাবে হত্যার পর। সাম্প্রতিক সময়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনীতি কীভাবে চলছে, সাধারণ জনগণের পক্ষ তা বলা সম্ভব নয়। তবে ব্যক্তি অর্থনীতি কীভাবে চলছে, তা তারা ভালোভাবে বুঝতে পারে। আয়-ব্যয়ের খরচ ও প্রাত্যহিক মূল্যস্ফীতি কোন পর্যায়ে আছে, বাজারে গেলে সে সবচেয়ে ভালো বুঝতে পারে। ফলে সত্তর শতাংশ মানুষ যে বলছে অর্থনীতি ভুল পথে চলছে, তা বাস্তবভিত্তিক একটি পরিসংখ্যান হিসেবেই উঠে এসেছে। মানুষ সেটি কেন মনে করছে, তা তো জরিপেই উঠে এসেছে। তবে এর আরেকটি দিক আছে, এই পরিস্থিতিকে ঠিক করার উদ্দেশ্য বা ইচ্ছা আছে কি না। সেখানেও জনগণ এই ইচ্ছার অনুপস্থিতি দেখতে পাচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে এই মূল্যস্ফীতির একটি বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট ছিল, যেটি প্রযোজ্য ছিল হয়তো বছরখানেক আগে, এ মুহূর্তে তা এত বেশি প্রযোজ্য নয়। বিশ্বের অনেক জায়গায় এই সংকটে পড়া দেশগুলোয় মূল্যস্ফীতি কমে এসেছে। কিন্তু বাংলাদেশে হয়নি। কেন হয়নি? তার যে উত্তর জনগণ দিচ্ছে, তাতে একটি রাজনৈতিক বক্তব্যও প্রকাশ পাচ্ছে। সামষ্টিক অর্থনীতির ক্ষেত্রে, বিশেষ করে আর্থিক খাত খুবই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে, পরিসংখ্যান গুলোই তা বলছে। টাকার মান কমে গেছে, ডলার-সংকট তৈরি হয়েছে, আমদানিও কমিয়ে দিতে হয়েছে। আমাদের প্রবৃদ্ধি এখন প্রশ্নের মধ্যে পড়ে গেছে, রিজার্ভ কমে গেছে এবং ঋণ পরিশোধের বোঝাগুলো আরও ভারী হয়ে উঠছে। মধ্যম অর্থনীতির পর্যায়ে, শিক্ষিত তরুণদের বেকারত্ব বিশাল আকার ধারণ করেছে। কর্মসংস্থানের দিকে তাকালে খুবই ধাঁধার মতো লাগে। দুই হাজার ষোল ও দুই হাজার বাইশ সালের শ্রম জরিপে দেখা যাচ্ছে, এ সময়কালে শিল্প ও সেবা খাতে কর্মসংস্থান কমে গেছে। বেড়েছে কৃষি খাতে। প্রবৃদ্ধির বিষয়টি আসলে কী হচ্ছে, কোথায় হচ্ছে-এর ব্যাখ্যা আমাদের খুঁজতে হবে। এখানে ব্যবসায় মন্দাভাব দেখা দিয়েছে, বেসরকারি বিনিয়োগ কমে গেছে। আবার অনেক প্রবৃদ্ধিও হয়েছে, কিন্তু এর ফসল কার ঘরে গেছে।সব মিলিয়ে বাংলাদেশ বড় ধরনের একটি অর্থনৈতিক নিরাপত্তা ঝুঁকিরমধ্যে পড়েছে।অথচ কর্তৃত্ববাদী রাজনীতি এবং অর্থনীতি-এর সমীকরণ গুলো কিন্তু একমাত্রিক নয়। বিভিন্ন দেশে সেটি বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। কিন্তু আমাদের দেশে কী হচ্ছে? গোষ্ঠীস্বার্থকে প্রাধান্য দেওয়া এবং তার ফলে মূল্যস্ফীতি কমছে না-এটি হচ্ছে কর্তৃত্ববাদী রাজনীতির সরাসরি ফসল। এখানে এক দলের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা হয়েছে এবং জনস্বার্থের কথা ভাবা হচ্ছে না।আর্থিক খাতে,ব্যাংকিং খাতে কেন এত বিশৃঙ্খলা ঘুরেফিরে ননপারফর্মিং লোনের এমন অবস্থা কেন? ব্যাংকগুলোর মালিকানা বা পরিচালনা বোর্ডের বিষয় গুলো তো সরাসরি রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। অর্থনীতির পরিচালনায় এখানে বাংলাদেশ ব্যাংক কতটুকু কার্যকর ভূমিকা রাখছে? জনগণের প্রাত্যহিক জীবন যেমন বড় সংকটে পড়েছে, তেমনি সার্বিকভাবে সুষম উন্নয়নের ভিত্তিতে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রাও ব্যাহত হয়েছে। দলের কর্তৃত্বের সঙ্গে অর্থনীতির দুর্দশা সম্পর্ক অবশ্যই আছে। এখানে নীতি প্রণয়নই করা হচ্ছে দুর্নীতির স্বার্থে। যেমন ব্যাংকের জন্য আইনগুলো করা হচ্ছে গোষ্ঠীস্বার্থকে প্রাধান্য দিতে। আরেকটি হচ্ছে আমাদের দেশে অবকাঠামোর প্রয়োজন আছে, এটি অনস্বীকার্য। কিন্তু একটি প্রবণতা গত এক দশকে বিশেষ করে দেখা যাচ্ছে এবং তা হচ্ছে মেগা প্রজেক্ট বা অবকাঠামো নিয়ে বেহিসাবি ও উচ্চমাত্রার পাবলিক ব্যয়। এই ব্যয় ঋণনির্ভর এবং সুদের হারও উচ্চ। বড় ধরনের দুর্নীতির ক্ষেত্র হয়ে উঠেছে এ ধরনের প্রকল্প। বহু অবকাঠামো আছে, যেগুলোর ক্ষেত্রে তাড়াহুড়া করে প্রকল্প নির্বাচন ও বাস্তবায়ন করা হয়েছে। সম্ভাব্যতা যাচাই ও মনিটরিংয়ের নামে বেহিসাবি অর্থ খরচ করা হয়েছে। কোন প্রকল্প অগ্রাধিকার দিতে হবে, তা মানা হয়নি। আগে আমরা দুর্নীতি বলতে বুঝতাম কিছু টাকা সরিয়ে রাখা। এখন নীতি প্রণয়নই করা হচ্ছে দুর্নীতির উদ্দেশ্যে। এখন বিশ্বে দ্রুত ঋণ পাওয়ার অনেক সহজ উৎসও তৈরি হয়ে গেছে, যারা ঋণ দিচ্ছে সেই টাকা দিয়ে কী করা হচ্ছে, তা নিয়ে তারা চিন্তিত নয়। ফলে একশ টাকার প্রকল্প এক হাজার টাকায় করা হচ্ছে। এখানে নিশ্চয়ই ভাগ-বাঁটোয়ারার বিষয় আছে। কিন্তু এই ঋণের টাকা তো ভবিষ্যতে আমাদের শোধ করতে হবে। আরেকটি বিষয়, প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য কাদের নির্বাচন করা হচ্ছে। আমরা ভেবেছিলাম ই-টেন্ডারের মাধ্যমে একটি বড় পরিবর্তন আসবে। কিন্তু ঘুরেফিরে তো কিছু নামই আসছে। দেখতে হবে, বিদেশি চাপের সঙ্গে দেশের জনগণের চাহিদার মিল আছে কি না। দেখা যাচ্ছে এর মধ্যে জনগণের চাহিদার প্রতিফলন রয়েছে। এখন এ চাপের কারণে কী সংকট তৈরি হতে পারে, তা বলার আগে জনগণের চাহিদাকে গুরুত্ব দিয়ে আমরা সমস্যাগুলোর সমাধান কেন করছি না, সেই প্রশ্ন তুলতে হবে। জবাব খুঁজতে হবে জনগণের চাহিদার দিকে কেন আমরা আগে নজর দিচ্ছি না? গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের যেসব ইস্যুতে পশ্চিমা চাপ আসছে, সেগুলোর সঙ্গে অর্থনীতিও যুক্ত হয়ে পড়েছে। আরও বড় আলোচনা হচ্ছে, এই যে অর্থনীতি ভুল পথে চলছে, সেটিকে ঠিক পথে আনতে রাজনৈতিক যে সংস্কার দরকার, তা আমরা করছি না কেন। কিন্ত গণতন্ত্রের জন্য তো বটেই, অর্থনীতির প্রয়োজনেই এখন রাজনৈতিক সংস্কার অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। নীতি হয়তো অন্য জায়গায় তৈরি হচ্ছে। ফলে তাদের মধ্যে ওই তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না। এখানে কর্তৃত্বপরায়ণ শাসন কীভাবে পরিচালিত হচ্ছে, সেই আলোচনা করা দরকার। দেখা যাচ্ছে, এখানে সেটি এক্সট্রিম সেন্ট্রালাইজেশনের দিকে গেছে। মানে গুটিকয় ব্যক্তির দিকনির্দেশনায় হচ্ছে সবকিছু। দৃশ্যত যাঁরা দায়িত্বে আছেন। তাঁরা তো শুধু নিজেদের মধ্যে বুদ্ধি-সলাপরামর্শ করবেন না, রাষ্ট্রের ভেতরে-বাইরে যেসব ফোরাম আছে, তাদের সঙ্গেও আলাপ-আলোচনা করবেন। দুঃখজনক হচ্ছে, ফোরাম গুলোতে প্রতিনিধিত্বমূলক কণ্ঠস্বর অনুপস্থিত হয়ে গেছে। অর্থনীতি ও বাণিজ্যসংক্রান্ত ফোরামগুলোতে সমঝোতার ভিত্তিতে নেতৃত্ব নির্বাচন হচ্ছে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই কার্যকর আলোচনার সব প্রতিষ্ঠান অকার্যকর হয়ে যাচ্ছে। প্রতিষ্ঠান ও ফোরামগুলোর শানশওকত বাড়ছে। কিন্তু নীতি পরিচালনায় তারা অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়ছে। অর্থনীতি পরিচালনার ক্ষেত্রে ক্ষুদ্র ব্যক্তিস্বার্থের বিরুদ্ধে যাওয়ার ইচ্ছার অনুপস্থিতি দেখা যাচ্ছে। সারা দেশের মানুষ একটি বাস্তবতা দেখছে আর রঙিন চশমা পরা কর্তৃত্বপরায়ণ শাসকগোষ্ঠী অন্য আরেকটা বাস্তবতা দেখছে, যেখানে সবকিছু ভালো, সেখানে কোনো ভিক্ষুক নেই, কারও কোনো সমস্যা নেই, শহরগুলো বিশ্বের অন্যান্য উন্নত শহরগুলোর সঙ্গে তুলনীয় হয়ে উঠছে। দেশকে সঠিক অর্থনৈতিক রাস্তায় আনতে হলে এই রঙিন চশমা খোলাটাই হচ্ছে অন্যতম জরুরি রাজনৈতিক দায়িত্ব। উন্নয়নের জন্য সরকারের ধারাবাহিকতা অপরিহার্য কি না-এই প্রসঙ্গে আমরা তাত্ত্বিক আলোচনায় না গিয়ে পরিসংখ্যানগতভাবে বিষয়টি দেখতে পারি। গত এক দশকে প্রবৃদ্ধির সঙ্গে দারিদ্র্য বিমোচনের সম্পর্কটা নাজুক হয়েছে, বেকারত্ব ও দুর্নীতি বেড়েছে, এটি অন্য আলাপ। কিন্তু গত ৫২ বছরের ইতিহাসে খাদ্য উৎপাদন, দারিদ্র্য বিমোচন, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি, প্রবৃদ্ধির ধারাবাহিক যে উন্নতি ঘটেছে; তাতে দেখা যাচ্ছে, সরকারের ধারাবাহিকতা অপরিহার্য তো নয়ই, এটি গুরুত্বপূর্ণ কোনো বিষয়ও নয়। মূল বিষয়গুলো হচ্ছে একটি প্রতিযোগিতামূলক অর্থনীতির বাস্তবতা এখানে আছে কি না। এবং সেটি নিশ্চিত করার জন্য প্রতিযোগিতামূলক রাজনীতির বাস্তবতা এখানে আছে কি না। বাংলাদেশের এই অগ্রগতির পেছনে আসলে মূল শক্তি হিসেবে কাজ করেছে জনগণ মানে নারী, পুরুষ, কৃষক, শ্রমিক, উদ্যোক্তা সবাই। উন্নয়নের জন্য সরকারের ধারাবাহিকতা থাকা দরকার, এটি মূলত ক্ষমতাসীনদের স্বার্থভিত্তিক বক্তব্য, যা পরিসংখ্যান বা অর্থনীতির তত্ত্বের সঙ্গেও যায় না। প্রাকৃতিক বা রাজনৈতিক ঝুঁকি বা দুর্যোগ মোকাবিলা করে সামনে এগোনোটাই হচ্ছে বাংলাদেশের ইতিহাসের একটি চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য। তবে গত অর্থবছরের খারাপ পরিস্থিতি ও সামনে ঋণ পরিশোধের বিষয়গুলো বিবেচনায় নিলে বলতে হয়, সামনের দিনগুলোতে সংকট আরও ঘনীভূত হবে। ইউএসএইডের প্রতিবেদন বলছে, ১০ লাখ টনের মতো চাল আমাদের আমদানি করতে হবে। খাদ্য উৎপাদন বাংলাদেশের গত ৫১ বছরের অগ্রযাত্রার রক্ষাকবচ ছিল। নানা পরিস্থিতির মধ্যেও আমাদের খাদ্যনিরাপত্তার জায়গাটি মজবুত ছিল। এখন এ জায়গা নিয়েও একটি প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি এখানে এমন একটি রাজনৈতিক পরিবেশ তৈরি হয়েছে, যেখানে মানুষের ভোটের মূল্য কমে গেছে, বলা যায় একেবারে শূন্যে চলে এসেছে। একটি প্রতিযোগিতামূলক, অবাধ ও বিশ্বাসযোগ্যভাবে ভোট দেওয়ার পরিবেশ নিয়ে বড় ধরনের অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। এখন একদিকে বাংলাদেশ যে অর্থনৈতিক ঝুঁকির মধ্যে ঢুকেছে এবং অন্যদিকে সাধারণ মানুষের চাহিদা বা আশা-আকাঙ্ক্ষা পদদলিত হয়েছে। রাজনৈতিক নবায়ন ছাড়া এমন একটি পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের কোনো পথ নেই। অর্থনৈতিক বিপর্যয় এড়ানোর জন্যই সেই রাজনৈতিক নবায়ন হতে হবে, সেটি গণতন্ত্রের জন্যও। এখন এই রাজনৈতিক নবায়ন ক্ষমতাসীনদের হাত দিয়েও হতে পারে। রাজনৈতিক এই নবায়নের বিষয়টি এখন আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। সেটি আছে, তবে তা আরও জোরালোভাবে আনতে হবে। বিশেষজ্ঞদের মতে বাংলাদেশ এখন আর্থসামাজিক অগ্রগতির এমন এক পর্যায়ে পৌঁছেছে যেখানে থেকে উন্নয়নের উচ্চতর সড়কে আরোহন করে দ্রুততর গতিতে এগিয়ে যেতে পারে। অবশ্য এগিয়ে চলা যে কোনো দেশ বা অর্থনীতিতে আগে থেকে বিদ্যমান থাকা কিছু সমস্যা থাকতে পারে এবং সময় সময় নতুন সমস্যা দেখা দিতে পারে। এগুলো চিহিৃত করে কার্যকর সমাধানে সচেষ্ট হওয়া জরুরি। আবার টেকসই উন্নয়ন অভিযাত্রায় কিছু বিশেষ করণীয় রয়েছে। বাংলাদেশে এ যাবৎ অর্জিত উন্নয়ন সুসংহত করতে টেকসই অগ্রগতি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কিছু বিষয়ে বিশেষভাবে নজর দিতে হবে। যেমন-টেকসই ও ত্বরান্বিত উন্নয়ন নিশ্চিত করতে দক্ষতা বৃদ্ধির প্রয়োজন মানসম্মত শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে খাতওয়ারী দক্ষ জনবল তৈরিতে আরো জোরদার পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন। ব্যাংকিংখাতে সংস্কার, আয় বৈষম্যহ্রাস, অবকাঠামো উন্নয়ন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুপ প্রভাব ও পারি সমস্যা নিরসন, বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন সমস্যা সমাধানে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে তৎপরতা বৃদ্ধি, যথাসময়ে বাজেট বাস্তবায়নে নজরদারী-এসব বিষয়ে সরকার সক্রিয় রয়েছে। এ তৎপরতা জোরদার এবং অব্যাহত রাখা জরুরি। দেশে উল্লেখযোগ্য আর্থসামাজিক অগ্রগতি হয়েছে এবং আরো হচ্ছে বলে আত্মতুষ্টির অবকাশ নেই। আত্মতুষ্টির ফলে গাফলতি বাড়ে। সমস্যার চিহিৃতকরণ ও সামধান বাধাগ্রস্থ হয়। সুতরাং আত্মতুষ্টি ও গাফলতি সচেতনভাবে বর্জন করে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যয়ে জনগণকে সম্পৃক্ত করতে হবে। লেখক: গবেষক ও কলামিস্ট, যুক্তরাজ্য। ডেল্টা টাইমস্/রায়হান আহমেদ তপাদার/সিআর/এমই |
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |