যানজট এড়াতে কতটা প্রস্তুত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে
শাহিদা আরবী
|
![]() যানজট এড়াতে কতটা প্রস্তুত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দেশের দক্ষিণ এবং দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলে, দেশের উত্তরাঞ্চল থেকে আসা যানবাহন গুলো খুব অল্প সময়ের মধ্যেই ঢাকাকে পাশ কাটিয়ে চলে যেতে পারবে। এতে বাজবে সময় তেমনি কমবে মূল সড়কে যানজট। ফলাফল দেশের প্রথম এই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার ক্ষেত্রে এক নতুন মাত্রা যোগ করবে। প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের মতে, যদি মোট যানবাহনের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ যানবাহন নিচ থেকে ওপরে অর্থাৎ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে নিয়ে আসা যায় তাহলে ঢাকা শহরে যানবাহন অনেকটাই কমে আসবে। তবে ঢাকা শহরের যানজট কমাতে তৈরি এই মেগা প্রকল্প শহরের মানুষের দুর্ভোগ কমাতে কতটা সহায়ক কিংবা কতটা সুফলের বার্তা আনতে পেরেছে এখন সেটি মুখ্য বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। টোল প্রদান কিংবা মূল সড়কে সঠিক নির্দেশনা না থাকায় বাইরে থেকে আসা অনেক চালক এই উড়াল সেতু ব্যবহারে অনীহা দেখাচ্ছেন। ফলাফল ওপরে যখন নির্ঝঞ্ঝাট যাতায়াত নিচে তখন যানজটের বেহাল দশা। তবে সময়ের বহমানতায় এই সমস্যার দ্রুত সমাধান হবে বলে আশা করা যায়। তবে এক্সপ্রেসওয়ে চালুর পরে সড়কে গাড়ির চাপ কমেছে একথা স্বীকার করছেন চালক যাত্রী সবাই। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, ঢাকার বুকে এ যেন এক নতুন সড়ক। মাথার ওপরে উত্তর দক্ষিনে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে যাত্রাবাড়ীর কুতুবখালী পর্যন্ত রেললাইন ধরে হচ্ছে এই পথ। এখন পর্যন্ত পুরোপুরি প্রস্তুত ফার্মগেট পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার। যদিও এর পেছনে যাত্রাটা খুব একটা মসৃণ ছিল না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জন্য। অর্থসংস্থানে জটিলতা, প্রকল্প ব্যয় বৃদ্ধি, মাঝে করোনার থাবা, সর্বোপরি এই ১২ বছরে কম ধাক্কা খায়নি ঢাকা শহরের এই মেগা প্রকল্প এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। ২০১১ সালে নেওয়া এই প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি এখন ৬৫ শতাংশ। কাজ বাকি আছে তেজগাঁও থেকে কুতুবখালী পর্যন্ত, এ যাত্রায় বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত অংশে পাঁচটি পয়েন্ট দিয়ে গাড়ি উঠতে ও নামতে পারবে। এক গবেষণায় উঠে এসেছে ঢাকা শহরের যানজটের জন্য কমপক্ষে প্রায় ৩২ লাখ কর্ম ঘন্টা নষ্ট হয়ে যায় শুধুমাত্র সড়কেই। যার বার্ষিক আর্থিক মূল্য দ্বারা ৫৬ হাজার কোটি টাকা। এমন কঠিন বাস্তবতায় শহর নিয়ে যারা ভাবেন নগর বিশেষজ্ঞ তারা বলছেন, " ঢাকাকে ঘিরে আরো যে একাধিক প্রকল্প আছে, সব প্রকল্পের কাজ শেষ হলে উন্নতি দৃশ্যমান হবে রাজধানীর বুকে। " ঢাকা দেশের কেন্দ্র বিন্দু হওয়ায় ঢাকাতে মানুষের চাপ বাড়ছে দিন দিন। সর্বোত্ত ছুটে চলা আর গতিময় এই নগরী ক্রমেই যেন তার গতি হারিয়ে ফেলছে যানজটের আড়ালে। শহরের গতি ফেরাতে নগরবাসীর কাছে নতুন এক আশার আলো এই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। দিন দিন সড়কের চলাচল গাড়ি সংখ্যা বাড়ার সাথে সাথে ঢাকাবাসীর দিনের অধিকাংশ সময় কেটে যায় রাস্তায়। সেই সাথে বাড়ছে দুর্ভোগ। এলিভেটেড এক্সপ্রেসের ফলে সড়কের চলাচল গাড়ি সংখ্যা কমে আসবে। ফলাফল কমবে যানজট বাজবে সময়। যানজট মুক্ত নতুন এক শহরের স্বপ্ন দেখছে নগরবাসী। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে এর হাত ধরে যানজট মুক্ত একটি সুন্দর নগরী হিসেবে গড়ে উঠুক ঢাকা। জীবনে ফিরুক গতি, হোক সময়ের সঠিক ব্যবহার। লেখক : শিক্ষার্থী,ইংরেজি সাহিত্য বিভাগ, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা ডেল্টা টাইমস/সিআর
|
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |