স্কুলছাত্রের বেপরোয়া গাড়ি চালানোর ভিডিও ভাইরাল
ডেল্টা টাইমস ডেস্ক :
|
![]() স্কুলছাত্রের বেপরোয়া গাড়ি চালানোর ভিডিও ভাইরাল যে বাড়ির সামনে দুর্ঘটনাটি ঘটে, ওই বাড়ির সামনে থাকা ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরায় ধারণ করা ৫১ সেকেন্ডের ওই ভিডিও এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে দেখা যায়, একটি রিকশা সড়কের এক পাশ দিয়ে চলছিল। অপরদিক থেকে আসা একটি দ্রুতগতির প্রাইভেটকার রাস্তার মোড় ঘুরেই ভুল লেনে এসে রিকশাকে ধাক্কা দেয়। এতে রিকশাসহ গাড়িটি অপর পাশের ফুটপাতে উঠে সেখানে থাকা গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে রিকশাচালক ও যাত্রীরা গাড়ির নিচে চাপা পড়েন। আর আফরোজা গুরুতর আহত হয়ে এখন আইসিইউতে। আহতের স্বজন ও স্থানীরা জানান, ইমরান রেজা ও আফরোজা আহমেদ মোহাম্মদপুরে থাকেন। আফরোজা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ করে একটি বেসরকারি ব্যাংকে চাকরি করছেন। তার স্বামী ইমরান পেশায় প্রকৌশলী। ঘটনার দিন তারা চিকিৎসকের কাছ থেকে রিকশায় বাসায় ফিরছিলেন। রিকশাটি সড়কের এক পাশ দিয়ে চলছিল। তারা বাসার কাছাকাছি ছিলেন। এ সময় অপরদিক থেকে আসা একটি গাড়ি তাদের বহনকারী রিকশাকে চাপা দেয়। এতে যাত্রী ইমরান রেজা (৩৮), স্ত্রী আফরোজা আহমেদ (৩৪) ও রিকশাচালক হাবিবুর রহমান (৪৫) গুরুতর আহত হন। এ সময় তাদের সঙ্গে থাকা আফরোজা ও ইমরানের তিন বছর বয়সি মেয়ে এনায়া রেজাও আহত হয়। এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি মামলা করেছেন আহত ইমরানের বাবা রফিকুল ইসলাম। ঘটনার পরই স্থানীয়রা গাড়িতে থাকা দুজনকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। পুলিশ জানিয়েছে, গাড়িটি চালাচ্ছিল অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক কিশোর। সালমান হায়দার নামে এক তরুণ তাকে গাড়ি চালাতে দিয়েছিলেন। সালমানের বাসা মোহাম্মদপুরের ইকবাল রোডে। আর কিশোরটির বাসা মোহাম্মদপুরের শের শাহ শূরি রোডে। এদিকে দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত রিকশাচালক হাবিবুর রহমানকে (৪৫) গাজীপুরের
বোর্ডবাজারে তার বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাঁর মাথা ফেটেছে। ডান হাতসহ
শরীরের কয়েকটি জায়গার হাড় ভেঙে গেছে। ঢাকায় রেখে চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব নয়, এ
কারণে তাঁকে সেখানে নেওয়া হয়। হাবিবুর রহমানের স্ত্রী জানান, তিন ছেলেসহ
তাঁরা বোর্ডবাজারে থাকেন। মাঝেমধ্যে স্বামী ভোরে ঢাকায় আসেন রিকশা চালাতে।
তিনি মোহাম্মদপুর ও ধানমন্ডি এলাকায় রিকশা চালাতেন। জানা গেছে, দুর্ঘটনার সময় প্রাইভেটকারটি চালাচ্ছিলেন এক কিশোর (১৫)। যাত্রীর আসনে ছিলেন সালমান হায়দার নামে এক তরুণ। তিনি ঢাকার এক কাউন্সিলরের ছেলে। দুর্ঘটনার পর স্থানীয়রা ওই কিশোর ও তরুণকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন। এ ঘটনায় তাদের আসামি করে মামলা হয়। পরে ওই কিশোরকে সংশোধনাগারে এবং তরুণকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আফরোজার বোন আফসানা আহমেদ বলেন, আফরোজা ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ করে একটি বেসরকারি ব্যাংকে চাকরি করছেন।
তার স্বামী ইমরান পেশায় প্রকৌশলী। তাদের সাত বছর ও তিন বছর বয়সী দুই সন্তান
রয়েছে। তারা মোহাম্মদপুরে বসবাস করেন। ঘটনার রাতে হাসপাতাল থেকে বাসায়
ফিরছিলেন তারা। পরিবারের সঙ্গে মোহাম্মদপুরের ইকবাল রোডে বসবাস করেন সালমান। আর কিশোরটির বাসা মোহাম্মদপুরের শের শাহ শুরি রোডে। প্রাইভেটকারটি সালমানের এক বন্ধুর। তাদের বাসা লালমাটিয়ায়। তার ওই বন্ধু গাড়িটি সালমানের বাসার গ্যারেজে রাখতেন। সালমান গাড়িটি বিভিন্ন সময় নিজেই চালাতেন। কিশোরের বাবা সৌদিপ্রবাসী। সে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। তাকে প্রাইভেটকার চালানো শেখানোর সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে। ডেল্টা টাইমস/সিআর
|
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |