আবৃত্তির পিঠা উৎসবে আমরা
তামান্না ইসলাম
|
আসুন আমরা শুদ্ধতার চর্চা করি- এই স্লোগান কে সামনে করে এগিয়ে চলেছে আবৃত্তি আবৃত্তি পরিবার। শীতের আগমনে শীত কে বরণ করতে শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) আমাদের "আবৃত্তি আবৃত্তি" পরিবারে পিঠাপুলির উৎসব হয়। সকাল ৮ টার সময় সকল সদস্য আমাদের ভার্সিটির টি এস সি সি তে এসে উপস্থিত হয়। ছেলেরা পাঞ্জাবী এবং মেয়েদের শাড়িতে দেখা যায় সেখানে। সকলে মিলে শীত কে বরণ করে নেওয়ার জন্য পিঠাপুলির উৎসবে সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে একে অপর কে সাহায্য করে চলছিল। সংগঠনের সভাপতি হায়াতে জান্নাত আপু সবাইকে দিকনির্দেশনা দিচ্ছিলেন এবং বাকি সদস্যদের মতো তিনিও সকলের সাথে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করে চলছিলেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই সকলের মধ্যমনি আবৃত্তি আবৃত্তি'র উপদেষ্টা নিলা আপু ও মনির ভাইয়া আমাদের মাঝে উপস্থিত হলেন। সকলে তাদের পেয়ে খুশিতে আত্মহারা হয়ে ওঠে। ভাইয়া এবং আপুও আমাদের সাথে পিঠা বানাতে সামিল হয়। পায়েশ, পাটিসাপটা, পাকান পিঠা, মোমো, তেল পিঠা, কলার বড়া পিঠা, ঝাল পাকান, দুধে ভেজা পিঠা এমনকি চাটনির ও আয়োজন করা হয়েছিল। আমাদের উৎসবে ভার্সিটির অনেকেই সামিল হয়েছিলেন। পরিবেশটা ছিল সম্পুর্ণ উৎসব মুখর। নিলা আপু আমাদের জন্য অদ্ভুত সুন্দর একটি পিঠা নিজ হাতে বানিয়েছিলেন। যেটার স্বাধ ছিল অতি মিষ্টি এবং খেতে খুব ই নরম। ছোট বড় সকলে মিলে শীত কে বরণ করে নেওয়ার উৎসব টাকে রঙিন করে তুলেছিল। ছেলেরা জুম্মার নামায আদায় করে আসলো। ভার্সিটির বিভিন্ন সাংবাদিকগণ সেখানে উপস্থিত হলেন। তারা আমাদের সুন্দর মুহুর্তের সাক্ষী হলেন। সেখানে আমার রোভার স্কাউট এর সদস্য গার্ল ইন রোভার তাজমিন ও উপস্থিত ছিলেন তার বাচ্চাকে নিয়ে। সবাই তাকে নিয়ে উৎসবে মেতে উঠলো। তার পায়ে আলতা পরিয়ে দিলো সাথে নিজেরাও সেজে উঠলো আলতার রঙে। অবশেষে ৩ টার দিকে আমরা সকলে হাতে হাতে পিঠা সাজিয়ে পিঠা পরিবেশন শুরু করলাম। সকলে মিলে পিঠা খেলাম, অনেক হৈ হুল্লোড় আড্ডা আনন্দে মেতে উঠলো আমাদের ' আবৃত্তি আবৃত্তি ' পরিবার। ৪ টার দিকে আমি আর তাজমিন হলে চলে আসছিলাম ওর বাচ্চাকে নিয়ে। পরে আবার আমরা বাইরে বের হলাম। হাটতে হাটতে আমাদের রোভার ডেনে আসলাম। এসে দেখি আমাদের ইউনিট কাউন্সিলের সভাপতি মুসা হাসেমি ভাই বসে কম্পিউটারে কাজ করছেন। ভাই কে আমরা জোর করে ইবির ফুটবল মাঠে নিয়ে এলাম। ভাই আমাদের চা খাওয়ালেন। অনেক জোর করায় ভাই আমাদের সুন্দর একটি গান শোনালেন। এতো ভালো একজন মানুষকে মেন্টর হিসেবে পেয়ে নিজেকে ধন্য মনে হলো আরো একবার । অনেক সুন্দর ভাবে বিকাল টা অতিবাহিত হয়ে গেলো। ছোট ভাই সহচর মুহিবুল্লাহ তাজমিন ও তার বাচ্চাকে এগিয়ে দিতে গেলো। এদিকে আমি, মুসা ভাইয়া এবং তাওসিফের সাথে আগালাম। হলে আসতে যদিও সন্ধ্যা হয়ে গেছিল তবুও সব শেষে দিন টি অসম্ভব সুন্দর ছিল এবং রোমাঞ্চকর। লেখক : শিক্ষার্থী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া। |
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |