বড়দিনে গির্জায় গির্জায় প্রার্থনা
ডেল্টা টাইামস ডেস্ক:
|
রাজধানীর বিভিন্ন গির্জায় বড়দিন পালন করছেন খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীরা। খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিনে গির্জায় গির্জায় চলছে উৎসবের আমেজ। আজ সকালে গির্জাগুলোতে প্রার্থনার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে বড়দিনের আনুষ্ঠানিকতা। রাজধানীর কাকরাইল ও তেজগাঁওয়ের দুটি চার্চ ঘুরে দেখা যায়, খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীরা বড়দিন পালন করতে গির্জায় এসেছেন। তারা যিশুখ্রিষ্টের শান্তির বার্তা যেন নিজের মধ্যে ধারণ করতে পারেন সে কামনায় সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করছেন। প্রার্থনা উপলক্ষ্য হলেও অনেকে পরিবার, আত্মীয়-স্বজন বা বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে ঘোরাঘুরি ও আড্ডাতে মেতে ছিলেন। গির্জায় এসে প্রিয় মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি করে রাখছেন সবাই। তবে তরুণদের বেশিরভাগই সেলফিতে ব্যস্ত থাকতে দেখা গেছে। দুই সন্তান ও স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে কাকরাইলের সেন্ট মেরিস ক্যাথেড্রাল চার্চে এসেছেন স্পন্দন রোজারিও। তিনি সৃষ্টিকর্তার কাছে নিজের পরিবার এবং দেশের মানুষের কল্যাণে প্রার্থনা করেছেন। নির্বাচনকে সামনে রেখে সাধারণ মানুষ যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেই চাওয়াও ছিল তার। স্পন্দন বলেন, এ দিনটি আমাদের জন্য বিশেষ দিন। গডের কাছে চাওয়ার দিন। সন্তানরা যেন ভালো মানুষ হতে পারে গডের কাছে সে প্রার্থনা করেছি। দেশের মানুষের জন্য প্রার্থনা করেছি। নির্বাচন সামনে রেখে কোনো ধর্মের মানুষ যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেটাও প্রার্থনায় বলেছি। স্পন্দনের স্ত্রী প্রিয়াঙ্কা রোজারিও বলেন, খুব ভালো লাগছে। পরিবারে সবাই একসঙ্গে চার্চে এসেছি। সন্তানরাও খুব খুশি। রানী চৌধুরী মেয়ে সাফিয়া চৌধুরী ও দুই বোনকে নিয়ে গির্জায় এসেছেন। কাকরাইলের সেন্ট মেরিস ক্যাথেড্রাল চার্চে তাদের সঙ্গে কথা হয়। রানী বলেন, এ বিশেষ দিনে আমাদের চাওয়া হচ্ছে, দেশের উন্নতি হোক। আমাদের সব ধর্মকে শ্রদ্ধা ও সম্মান করা উচিত। গডের কাছে প্রার্থনা করেছি, সবাই যেন মিলেমিশে থাকি। আমার মেয়েটা যাতে ভালো করে পড়াশোনা করে। গডের কাছে এটাই আমার প্রার্থনা। তৃতীয় শ্রেণি পড়ুয়া সাফিয়া বলেন, গির্জায় এসে খুব ভালো লাগছে। আম্মু আছে, সবাই আছে। রমানা চার্চের প্রধান পুরোহিত ফাদার আলবার্ট রোজারিও বলেন, সকালে প্রার্থনা হয়েছে। পুণ্যার্থীরা চার্চে আসছে, গডের কাছে প্রার্থনা করছে। রাত আটটা পর্যন্ত লোকজন আসবে। দেশের কল্যাণে প্রার্থনা করা হচ্ছে গির্জাগুলোতে। আমাদের চাওয়া বাংলাদেশ যেন ভালো থাকে। আমাদের এখন আনন্দের মধ্যে একটা ভয় কাজ করে, কখন কোথায় বোমা ফাটায় সেই ভয়। বাসে, ট্রেনে কোথাও মানুষ নিরাপদ না। সবসময় একটা ভয় কাজ করে। মানুষ ভয়ের মধ্যে থাকে। আমরা সবাই প্রার্থনা করছি, বাংলাদেশে যেন শান্তি বজায় থাকে। নির্বাচনকে সামনে রেখে যেন কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা আর না ঘটে।
তেজগাঁওয়ের পবিত্র জপমালা রানীর গির্জায় আসা জেনিতা মারাক বলেন, অনেক ভালো লাগছে। সবাই গির্জায় প্রার্থনা করেছি। গডের কাছে মনের বাসনার কথা বলেছি। সামনের দিন যেন ভালো যায়। দেশের মানুষ যেন ভালো থাকে। কাকরাইল এবং তেজগাঁওয়ের চার্চের প্রবেশমুখে দেখা গেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীরা নিরাপত্তা নিশ্চিত করছেন। রমনা মডেল থানার এসআই আশিকুর রহমান বলেন, এ চার্চে নিরাপত্তায় ১৩ জন নারী পুলিশ সদস্য ও ২৩ জন পুরুষ পুলিশ সদস্য রয়েছেন। সব ধরনের নিরাপত্তা বাহিনী এখানে রয়েছে। সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আমরা কোনো ধরনের নেতিবাচক কিছুর আশঙ্কার দেখছি না। ডেল্টা টাইমস/সিআর/জেএইচ |
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |