বৃষ্টি উপেক্ষা করে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অবরোধ
সানজিদা আক্তার, খুবি:
|
কোটা বাতিলের দাবিতে মুষলধারে বৃষ্টি উপেক্ষা করে তীব্র বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৪টায় শিক্ষার্থীরা খুলনা নগরীর জিরোপয়েন্টের চতুর্দিকের সড়ক অবরোধ করেন। এতে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়, ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রী ও যানবাহন চালকরা। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ‘একাত্তরের পথ ধরো, বাংলা ব্লকেড সফল করো’, ‘ব্লকেড ব্লকেড, বাংলা ব্লকেড’, ‘দফা এক দাবি এক, কোটা নট কাম ব্যাক’, ‘দালালি না রাজপথ, রাজপথ রাজপথ,’ ‘আঠারোর হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার’, ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’, ‘আমার সোনার বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন। এবিষয়ে খুবি শিক্ষার্থী নুসরাত সুলতানা বলেন, কোটা একধরনের বৈষম্য। আমাদের যাদের মেধা আছে কিন্তু কোটা নাই তাদের ভবিষ্যৎ কি হবে? মেধাবীদের প্রাপ্য অধিকারও যদি কোটাধারীদের দখলে থাকে তাহলে আমরা তো অধিকার বঞ্চিত হলাম। তাই কোটাবিরোধী আন্দোলন চলছে চলবে। আরেক শিক্ষার্থী সঞ্চিতা সরকার বলেন, ২০১৮ সালে কোটার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের দাবি ছিলো কোটা ব্যবস্থার সংস্কার করার কিন্তু তখন আদালত সম্পূর্ণ কোটা ব্যবস্থা তুলে নেয়। ২০২৪ সালে আবারও আদালত কোটা ব্যবস্থা পূর্ণবহাল করায় আমরা রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছি। স্বাধীন দেশে এমন পরাধীনতার বৈষম্য আমি মানতে পারছি না। অনতিবিলম্বে প্রতিবন্ধী এবং উপজাতি কোটা ব্যতীত সকল কোটা সংস্কার করা উচিত। আমাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার দৃঢ় প্রতিজ্ঞা করছি। সাহেবী ইকরাম রেদোয়ান বলেন, চাকুরীতে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা পূরণ না হলে সেই শূন্যস্থান নিয়ে চলছে কোটা বাণিজ্য। যে-ই এই চলমান ব্যবস্থার বিরোধিতা করবে সে-ই হয়ে যাবে রাজাকার, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী! কতদিন এই চেতনা বিক্রি করে খাবেন? চেতনা বিক্রি করতে করতে আপনারা যে পচে গেছেন। যখন ২০১৫ সালে আমাদের উপর আঘাত এসেছে, ২০১৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের উপর গুলি চলেছে, আমরা ক্রুদ্ধ হয়েছি। আমরা রাজপথে নেমেছি। এই সংগ্রাম একটি মহান নৈতিক সংগ্রাম। এই সংগ্রাম কেবল আকাশের রক্তিম সূর্যকে চিনে। যে ছাত্রছাত্রীরা আজ একত্রিত হয়েছে, যে বন্ধনে আজ সকলে আবদ্ধ আমরা, কী করে ভাবলেন পালিত সন্ত্রাসবাহিনী আর পুলিশের দ্বারা সে বন্ধনকে ভেঙ্গে ফেলবেন? ডেল্টা টাইমস/সিআর
|
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |