রোববার ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২৩ ভাদ্র ১৪৩১

বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ এবং পরবর্তী চ্যালেঞ্জ
রায়হান আহমেদ তপাদার:
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ৬ আগস্ট, ২০২৪, ১০:৪৮ এএম | অনলাইন সংস্করণ

বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ এবং পরবর্তী চ্যালেঞ্জ

বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ এবং পরবর্তী চ্যালেঞ্জ

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন। বোন শেখ রোহানাকে নিয়ে দেশও ছেড়েছেন। ৫ আগষ্ট ২০২৪ সোমবার এমন তথ্য দিয়ে বিবৃতি দিয়েছে গোটা বিশ্বের বিভিন্ন গণমাধ্যম। বিবিসি জানিয়েছে, শেখ হাসিনা নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য একটি সামরিক হেলিকপ্টারে করে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়েছেন। তার সঙ্গে রয়েছেন শেখ রেহানা। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টারটি ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলার উদ্দেশ্যে উড়িয়ে নিয়ে গিয়েছেন এয়ার কমোডর আব্বাস। তিনি একশ এক স্কোয়াড্রনের সদস্য।একটি সূত্রের উল্লেখ করে খবরে বলা হয়, তার আগে বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর তরফে প্রধানমন্ত্রী হাসিনাকে সময় বেঁধে দেওয়া হয় ইস্তফা দেওয়ার জন্য। ৪৫ মিনিট সময় তাঁকে দেওয়া হয়েছিল বলে একটি সূত্রের দাবি। তবে অন্য একাধিক সূত্রের দাবি, পুরো বিষয়টিই হয়েছে সেনাবাহিনী এবং দিল্লির সঙ্গে আলোচনার সাপেক্ষে। তার পরেই হাসিনা ইস্তফা দিয়েছেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবির মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা টানা চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন এ বছরের ১১ জানুয়ারি। এর আগে ১৯৯৬ সালে সপ্তম জাতীয় সংসদে নির্বাচনের মাধ্যমে তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে জয়ী হয়ে প্রধানমন্ত্রী হন শেখ হাসিনা। এরপর ২০১৪ সালে দশম সংসদ নির্বাচন হয় একতরফা, যেখানে বিরোধী দলগুলো অংশ নেয়নি। ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়েও বিতর্ক রয়েছে। এই নির্বাচন আগের রাতেই ব্যালটে সিল মারার ব্যাপক অভিযোগ ছিল। এ নির্বাচন রাতের ভোট নামে পরিচিতি পায়।

আর চলতি বছরের জানুয়ারিতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে তিনি আবার প্রধানমন্ত্রী হন। তবে এ নির্বাচনও বিতর্কিত। এতেও প্রধান বিরোধী দলগুলো অংশ নেয়নি। নিজদলীয় নেতাদের স্বতন্ত্র প্রার্থী করে ডামি প্রতিদ্বন্দ্বিতার আয়োজন করা হয়। এ নির্বাচনটিকে বিরোধীরা ডামি নির্বাচন বলে আখ্যা দেন। ছয় মাসের মাথায় ব্যাপক ছাত্র ও গণবিক্ষোভের মুখে তিনি আজ পদত্যাগ করে হেলিকপ্টারযোগে দেশ ছেড়েছেন। কিন্ত দুঃখ জনক হলেও সত্য,গোটা দেশ দেখল মৃত্যুর মিছিল। প্রতিটি হত্যায় মানবিকতার পরাজয় ঘটে। সেটাই ঘটতে দেখলাম আমরা। এ বিপদসংকুল পথ কারও কাম্য হতে পারে না। দীর্ঘদিন ধরে বিভাজন নিজের পায়ে দাঁড়াতে দেয়নি দেশকে। পারস্পরিক সমঝোতাবোধ লোপ পেয়ে গিয়েছিল। শক্তির উন্মত্ত প্রকাশ ছোটই করছে। দ্বিধাহীনতা, উসকানি, বল প্রয়োগ কোনো সমাধান নয়। হত্যা, জাতির ক্ষয়, রাষ্ট্রের ক্ষতি। পাশবিকতা মানুষকে দুমড়ে-মুচড়ে দেয়। স্বল্পমেয়াদে নিজেকে জয়ী ভাবার প্রবণতা দীর্ঘ মেয়াদে পরাজয়ের শামিল। সেটি আবারও প্রতীয়মান হলো। বর্তমান রাজনৈতিক বন্দোবস্ত কাজ করছে না, সেটিই গোটা দেশের মানুষ দেখে আসছে। জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে প্রতিনিধিত্ব নাই। বৈধতাহীনতার সংকটে জরাগ্রস্ত হয়ে গেল সরকার। জনগণের কাছে জবাবদিহির দায় না থাকায় রাষ্ট্রযন্ত্রের শক্তিপ্রয়োগের ক্ষমতার ওপর ভিত্তি করে উন্নয়নের বার্তা ও রুল মডেল যোগসাজশে একচেটিয়া রাজনৈতিক বন্দোবস্ত তৈরি হয় একদলীয় রাষ্ট্র ব্যবস্থা। সাংবিধানিক ভাবে রাষ্ট্রের সংসদ, নির্বাহী ও বিচার, এই তিন বিভাগের মধ্যে চেক অ্যান্ড ব্যালান্স না থাকায় ক্ষমতার পৃথকী- করণের অনুপস্থিতি দেখা গেল। সকল ক্ষমতা হয়ে গেল এক ব্যক্তিতে কেন্দ্রীভূত। রাষ্ট্র জনগণের ইচ্ছাধীন থাকল না। জনগণের সার্বভৌমত্ব না থাকলে নাগরিক অধিকার নিশ্চিতি দুরূহ। সংবিধানে দলের বাইরে গিয়ে কারও ভোট দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

মৌলিক প্রশ্ন থেকেই যায়, জাতীয় বাজেট কার জন্য, কেন এবং কীভাবে নির্ধারিত হয়? জনগণের অর্থের নজরদারি ও জবাবদিহি কীভাবে হবে?এমনি নানা প্রশ্নে বিদ্ধ এই সংবিধান।একের পর এক সংশোধনীর মাধ্যমে কাটাছেঁড়া করে রক্তাক্ত করা হয়েছে। যেখানে রাষ্ট্রের সঙ্গে জনগণের সামাজিক চুক্তি ছিল না। আরেক বড় ব্যাধি,বাংলাদেশে কখনো কোনো রাজনৈতিক দল আরেক রাজনৈতিক দলের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে পারেনি। এক দলের শাসনের ধারাবাহিকতা রাজনৈতিক স্থিতিশীলতাও নয়। রাষ্ট্রের সঙ্গে নাগরিকের সামাজিক চুক্তির ভঙ্গুর দশা সরকারকে নাগরিক থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলছে। বর্তমান গণ-আন্দোলন শুধুমাত্র শিক্ষার্থীর মধ্যে থাকেনি; এই গণজাগরণ উক্ত তিন ব্যাধি থেকে মুক্তির সামাজিক সম্মতি হিসেবে রুপ পায়। আপামর জনতা ন্যায়ের দাবিতে সব সময়ই নিজেকে যুক্ত করেছে। তাঁরা দ্বন্দ্ব জিইয়ে রাখতে নারাজ।দ্বন্দ্বের মীমাংসা নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তে; নতুন সামাজিক চুক্তিতে অর্থাৎ নতুন সংবিধানে। এই চাওয়া মুক্তিযুদ্ধের মৌল ভিত্তি তথা সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচারেও প্রোথিত। এসব ঘটনা জাতি ও রাষ্ট্রকে জনগণ বারবার পরিবর্তিত করেছে। যেমন, ফরাসি দেশে পঞ্চম রিপাবলিক চলছে।  যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেত্রে 'আর্টিকেলস অব কনফেডারেশন' তরুণ জাতির চাহিদা পূরণে অকার্যকর প্রমাণিত হওয়ায় ১৭৮৭ সালের ফিলাডেলফিয়া কনভেনশন নতুন সংবিধান গৃহীত হয়। এটি বিশ্বের সবচেয়ে প্রাচীন লিখিত বলবৎ থাকা জাতীয় সংবিধান।উল্লেখ্য যে,প্রাথমিক ভাবে কনভেনশনের ম্যান্ডেট কনফেডারেশনের আর্টিকেলস গুলো সংশোধন করার হলেও ভার্জিনিয়া প্ল্যান, নিউ জার্সি প্ল্যান এবং তারপর কানেকটিকাট সমঝোতা তথা সংবিধান গৃহীত হয়। নতুন সংবিধান প্রণয়নে গ্রহণযোগ্য জাতীয় সরকার বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট বিবেচনায় নিয়ে কনভেনশন বা সংবিধান সভা বা উভয়ই গ্রহণ করতে পারেন।

প্রক্রিয়া নিয়ে আরও তর্ক-বিতর্ক হতে পারে।গ্রহণযোগ্য জাতীয় সরকার ব্যবস্থার নজির বাংলাদেশসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে আছে। জরুরি পরিস্থিতিতে একটি রাষ্ট্র বৈধভাবে এমনভাবে কাজ করতে পারে যা সাধারণত সংবিধান অনুযায়ী না হলেও আইনসম্মত হবে। ১৯৯১ সালে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে নজির আছে। কনভেনশন সামাজিক নিয়ম,একটি অলিখিত বোঝাপড়া; সর্বজনীন ভাবে পালন করা হয়। উদ্ভূত একটি নির্দিষ্ট পদ্ধতিগত সমস্যা সমাধানের জন্যই একটি নতুন কনভেনশনে সম্মত হয়। যাইহোক, দেশের অর্থনীতিতে বর্তমান চ্যালেঞ্জগুলো থেকে বেরিয়ে আসার পথ আছে। এখানে হতাশার জায়গা নেই। কিন্তু বর্তমান রাজনৈতিক বন্দোবস্ত সমাধানের ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। রাজনৈতিক প্রতিবেশের পরিবর্তন ছাড়া এই চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবিলা সম্ভব নয়। দেশের প্রতিষ্ঠানসমূহ স্থিতাবস্থার খাদে পড়ে গেছে। গোষ্ঠীতন্ত্রের দোর্দণ্ড প্রতাপে সৃজনশীল উপায়ে সমাধানের রাস্তায় যেতে পারছে না। একটি দেশের উন্নয়ননীতির মৌলিক নীতিগুলো সংশ্লিষ্ট দেশটির জনগণের সংগ্রামের মধ্য দিয়ে সৃষ্ট জন-আকাঙ্ক্ষা থেকে উদ্ভূত হয়। সেদিক থেকে বলা যায়, কোনো একটি দেশের মানুষ যে ধরনের সমাজে বাস করতে চায়, তাকে বোঝা ও মেনে নেওয়াই হলো উচ্চাকাঙ্ক্ষী উন্নয়ননীতি। এই সামাজিক রূপান্তর অর্থনীতি, সমাজ ও রাজনীতিতে গভীরভাবে প্রোথিত। তাই আকাঙ্ক্ষা ও আরোপণ- পরস্পরবিরোধী এই দুটি সত্তার মধ্যে আজন্মের দ্বন্দ্ব রয়ে গেছে। অর্থনীতি ক্রান্তিকালের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। সব সূচকের অবনতিই তার সাক্ষ্য। দীর্ঘস্থায়ী মূল্যস্ফীতির সঙ্গে প্রকৃত মজুরির ফারাক বেড়েই চলছে। দাম বাড়ার কশাঘাতে দারিদ্র্য সীমার নিচের পরিবার শুধু নয়, নিম্ন ও নির্দিষ্ট আয়ের মানুষও পর্যুদস্ত। বৈষম্যের জাঁতাকলে অধিকাংশ মানুষ জর্জরিত। নিম্নমধ্যবিত্ত ও মধ্য-মধ্যবিত্ত জনতার কর্মসংস্থানে,আয় ও সঞ্চয়ে বড় ধরনের আঘাত পড়েছে।

বিশেষত যুবকদের জনশক্তিতে রূপান্তর না করে অনিশ্চিত যাত্রায় ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। সমাজের মাঝখানের শ্রেণিগুলোতে ভাঙন ধরেছে।একইভাবে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান,বিশেষত ক্ষুদ্র উদ্যোগগুলোও মূল্যবৃদ্ধিতে আক্রান্ত। খাদ্যপণ্যের দাম বাড়লেও তার সুফল কৃষক পান না, পায় মধ্যস্বত্বভোগীরা। কৃষকেরা ঋণ করেই যাপিত জীবন চালায়। ঘরে ঘরে নগদ টাকায় টান পড়েছে। ঋণে জর্জরিত সরকারেরও অর্থাভাব প্রকট। আয় কম বলে পাওনা পরিশোধে হিমশিম অবস্থা। বৈদেশিক মুদ্রার মজুত ও সরবরাহ কম ও ডলারের বিপরীতে টাকার মানের টানা পতন অর্থনীতিতে গভীর নিম্নচাপের জন্ম দিয়েছে। আইএমএফের বেলআউট প্যাকেজের আওতায় অর্থনীতি আইসিইউতে আছে। এখন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোও উন্নয়ন বিস্ময় নিয়ে নীরব; বরং বিশ্বের বিভিন্ন ঋণমান পূর্বাভাসকারী প্রতিষ্ঠানগুলো দেশের ঋণমান নামিয়েই যাচ্ছে। দৃশ্যমান হাত-ক্ষমতা এবং কর্তৃত্ব-কেন্দ্রীভূত হওয়ায় বাজারের ‘অদৃশ্য হাত’ কাজ করতে পারছে না। রাজনৈতিক বন্দোবস্তে অধিকাংশ মানুষের অংশগ্রহণ না থাকলে অর্থনীতিতে একচেটিয়াবাদ ও রাজনীতিতে গোষ্ঠীতন্ত্র তৈরি হয়। অর্থনৈতিক উন্নয়ন সেখানেই টেকসই হয়, যেখানে জবাবদিহি এবং জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হয়। অন্যদিকে গোষ্ঠীতন্ত্র যখন সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করে, তখন অর্থনৈতিক উন্নয়নের সব কটি নির্দেশকই বিপরীতমুখী হবে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে তা ঘটেছে। এ ছাড়া দক্ষিণ-পূর্ব ও পূর্ব এশিয়ার কয়েকটি দেশ সম্পর্কে একটি মিথীয় ধারণার কথা বলে গণতন্ত্র ও উন্নয়নের মধ্যে একটিতে আপস করার কোনো দাবি তাত্ত্বিকভাবে অগ্রহণযোগ্য এবং তা প্রমাণে কোনো তথ্য ও উপাত্ত নাই। বরং সেখানে পাবলিক অর্ডার আছে। যদিও কাঠামোগত সংস্কার ছাড়া অর্থনীতি নিশ্বাস নিয়ে গতিপ্রাপ্ত হবে না।

একটি দেশ কখনোই বহিস্থ চাপ সামলাতে পারে না,যখন পৃষ্ঠপোষকতা নির্ভর স্বজনতোষী রাজনীতি ক্ষমতার অসামঞ্জস্যতা তৈরি করে অধিকাংশ জনগণকে বঞ্চিত করে ক্ষমতাসীন মহলের সুবিধা আদায়ের প্রবণতায় জরাগ্রস্ত হয়ে থাকে। ইতিহাসের অভিজ্ঞতায় দেখা যায়,বাধা অতিক্রমের নতুন সৃজনশীল কায়দা যুগে যুগে বের হয়েছে। বাংলাদেশ তার নিজস্ব পদ্ধতিতেই সমাধান খুঁজে বের করেছে এবং করবে। ধনবান ও নীতিপ্রণেতারা একাকার হয়ে গেলে গোষ্ঠীতান্ত্রিক বাজার তৈরি হয়। এই বাজার ভোক্তাদের ওপর অধিকতর জবরদস্তিই চাপিয়ে দেয়। রেগুলেটরি ব্যবস্থার আমূল সংস্কারই বাজারকে আস্থার প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে পারে।সর্বজন সর্বজনীন শিক্ষা, স্বাস্থ্যব্যবস্থা ও পূর্ণাঙ্গ জীবন-চক্র ভিত্তিক জাতীয় সামাজিক নিরাপত্তা থেকে বঞ্চিত। সর্বজনীন ও গুণগত শিক্ষা ও স্বাস্থ্যব্যবস্থা পুনরুদ্ধার কর্মসূচির মৌলিক স্তম্ভ।পূর্ণাঙ্গ জীবন-চক্র ভিত্তিক জাতীয় সামাজিক নিরাপত্তা তথা সর্বজনীন পেনশন  ভাতা, বেকার ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, শিশু প্রতিপালন ভাতা, আবাসন সুবিধা, আয় সহায়ক ভাতা ও স্বাস্থ্য ভাতা সামাজিক সংরক্ষণে প্রয়োজনীয়। কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য বিশিল্পায়ন ঠেকানো, রপ্তানি বহুমুখীকরণ, উৎপাদনশীলতা ও প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বৃদ্ধি পুনর্গঠনের মধ্যমেয়াদি কৌশল। বর্তমানের ভোগ ব্যয়কেন্দ্রিক জিডিপি বৃদ্ধির মডেল থেকে বেরিয়ে শোভন কর্মসংস্থান সৃষ্টিকারী দেশীয় ও বৈদেশিক বিনিয়োগকেন্দ্রিক টেকসই সবুজ প্রবৃদ্ধির কাঙ্ক্ষিত অগ্রযাত্রার অভীষ্ট লক্ষ্যমাত্রা। বিকাশমান বৈশ্বিক ব্যবস্থা জটিলতার মধ্যে দিয়ে চলছে। উন্নয়ন বিষয়ক আলোচনার পরিসরে ভূরাজনীতি এবং ভূ-অর্থনীতির সঙ্গে জানা এবং অজানার যোগসূত্র রয়েছে। এই চেনা-অজানার বিপত্তি বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতিও তৈরি করছে। জটিলতাগুলোকে লাগসইভাবে শনাক্ত করার ক্ষেত্রে রূপান্তর মূলক কৌশল অবলম্বন জরুরি।মনে রাখতে হবে, একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ব্যবস্থায় বাংলাদেশের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ।


লেখক: গবেষক ও কলামিস্ট, যুক্তরাজ্য।

ডেল্টা টাইমস/রায়হান আহমেদ তপাদার/সিআর/এমই

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
  এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ  
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. জাহাঙ্গীর আলম, নির্বাহী সম্পাদক: মো. আমিনুর রহমান
প্রকাশক কর্তৃক ৩৭/২ জামান টাওয়ার (লেভেল ১৪), পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত
এবং বিসমিল্লাহ প্রিন্টিং প্রেস ২১৯ ফকিরাপুল, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত।

ফোন: ০২-৪৭১২০৮৬১, ০২-৪৭১২০৮৬২, ই-মেইল : deltatimes24@gmail.com, deltatimes24@yahoo.com
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. জাহাঙ্গীর আলম, নির্বাহী সম্পাদক: মো. আমিনুর রহমান
প্রকাশক কর্তৃক ৩৭/২ জামান টাওয়ার (লেভেল ১৪), পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত
এবং বিসমিল্লাহ প্রিন্টিং প্রেস ২১৯ ফকিরাপুল, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত।
ফোন: ০২-৪৭১২০৮৬১, ০২-৪৭১২০৮৬২, ই-মেইল : deltatimes24@gmail.com, deltatimes24@yahoo.com