শনিবার ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২৩ ভাদ্র ১৪৩১

জাগ্রত হোক বিবেক জয় হোক মানবতার
রায়হান আহমেদ তপাদার
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ৮ আগস্ট, ২০২৪, ১০:৪৬ এএম | অনলাইন সংস্করণ

জাগ্রত হোক বিবেক জয় হোক মানবতার

জাগ্রত হোক বিবেক জয় হোক মানবতার

স্বাধীনতার ৫৩ বছরে আমাদের সমাজটা কতদূর এগিয়েছে। সামাজিক শৃঙ্খলা, সামাজিক মূল্যবোধ, নৈতিকতা আমাদের যাপিতজীবনে কতটা অর্জিত হয়েছে। সমাজে কতটা অপরাধ প্রবণতা কমেছে, শান্তিশৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সমাজটা কতটা নিরাপদ, সমাজ কাঠামো কতটা উন্নত হয়েছে, সার্বিক বিবেচনায় আমাদের সমাজটা নীতি, আদর্শ, মূল্যবোধের দিক থেকে কতটা এগিয়েছে আজ এ প্রশ্নগুলোর উত্তর বিচার বিশ্লেষণ করা খুবই জরুরি বলে মনে করি। সম্প্রতি শিক্ষার্থীদের বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে নির্যাতনের ভয়াবহ শিকার হয়ে সহীদ হয়েছেন  অনেক শিক্ষার্থী। যারা হতে পারতো দেশের ভবিষ্যত কর্ণধার। কিন্ত ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস তারা অকালেই চলে যেতে হলো ওপারে। আমাদের মনে রাখতে হবে,একটি সমাজ শুধু অর্থনৈতিক দিক থেকে, শিক্ষার প্রসার লাভ করলেই বা শিল্প স্বার্থের উন্নতি হলেই সব ঠিক আছে এমনটি ভাবার কোনো কারণ নেই। তবে এগুলো একটি দেশের অগ্রগতি, সমৃদ্ধির পরিচয় বহন করে। প্রকৃত বাস্তবতা হচ্ছে সমাজে বসবাসরত মানুষের মধ্যে মানবিক চেতনা জাগ্রত হয়েছে কিনা সামাজিক মূল্যবোধ শুভ বুদ্ধির উদয় হয়েছে কিনা সমাজের বখাটেদের উৎপাত বন্ধসহ সর্বোপরী মানবিক বোধসম্পন্ন সমাজ গড়ে উঠেছে কিনা এদিকগুলো অবশ্যই ভাবার বিষয়। কেন না এগুলোই সাধারণত একটি সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যায়, সমাজ কাঠামোকে শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড় করায়। গত মাসে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়েছিল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয়। পরবর্তী সময়ে এটা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয়ও ছড়িয়ে পড়ে। 

২০২৪ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা শুরু থেকেই সুসংগঠিত ও শান্তিপূর্ণ ছিলেন। তাঁদের আন্দোলনের গতি বাড়ছিল জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহ থেকেই। এর মধ্যে ১৪ জুলাই প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া একটি বক্তব্যকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়ে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটান একটি স্লোগানের মধ্য দিয়ে, যা কিছুক্ষণের মধ্যে বদলেও ফেলা হয়। সরকার আন্দোলনকে অপরাধীকরণের চেষ্টা করছিল। এ ঘটনায় সে রকম একটা সুযোগ তৈরি হয়। এরপর ছাত্রলীগ ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে সাধারণ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠি, রড ইত্যাদি নিয়ে হামলা চালায়। হামলায় অসংখ্য শিক্ষার্থী আহত হন। পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো দখলে রাখা ছাত্রলীগের নেতাদের বিভিন্ন হল থেকে বের করে দেওয়া শুরু হয়।বিশ্ববিদ্যালয় গুলো বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের এক অবৈধ ও এখতিয়ারবহির্ভূত নির্দেশ তাদের সিন্ডিকেটের মাধ্যমে পাস করিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেন। পুলিশ, র‍্যাব, বিজিবি দিয়ে টিয়ার গ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড মেরে শিক্ষার্থীদের সন্ধ্যার মধ্যে হলছাড়া করা হয়। বের হয়েই শিক্ষার্থীরা পড়েন অপেক্ষারত সন্ত্রাসীদের হাতে এবং পথে পথে নিপীড়নের শিকার হন।বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রশাসকেরা শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা না দিয়ে, তাদের নিরাপদে ক্যাম্পাস ছাড়ার সুযোগ সৃষ্টি না করে তাদের রক্ষায় সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছেন। যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের কক্ষ ভাঙচুর হয়েছে সে দায়ও প্রশাসনের। তারা যে বহু আগেই শিক্ষকদের হাতে থাকা উচিত এমন দায়িত্ব ছাত্রলীগের নেতাদের হাতে দিয়ে বসেছিলেন, এসব তারই ফলমাত্র। বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর প্রশাসকদের লজ্জা থাকলে তাদের ১৭ জুলাই পদত্যাগ করা উচিত ছিল। 

অন্যদিকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর প্রশাসন সত্যিকারের শিক্ষকসুলভ আচরণ করেছেন। প্রাণপণ চেষ্টা করেছেন তাদের শিক্ষার্থীদের জন্য ঢাল হয়ে দাঁড়াতে যা অত্যন্ত প্রশংসনীয় ও সাধুবাদযোগ্য। সাধারণত অগণতান্ত্রিক সরকারগুলো যেকোনো আন্দোলনকে রাষ্ট্রযন্ত্র এবং সরকারের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠন ব্যবহার করে আন্দোলন একেবারে নস্যাৎ করতে চায়। কারণ, তাদের ভয় থাকে যেকোনো প্রতিবাদ তাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারে। সরকারের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ঘায়েলের চেষ্টা ছাড়া গত কয়েক সপ্তাহ আমরা আর কিছুই দেখিনি। যেখানে নিহতের সংখ্যা গণনা শেষ হয়নি,হয়রানিমূলক মামলায় আন্দোলন কারীদেরই আটক করা হচ্ছে হাজার হাজার, আটকের ভয়ে হাসপাতাল ছাড়ছেন আহত শিক্ষার্থীরা, উঠিয়ে নিয়ে নিপীড়ন চালানো হচ্ছে আন্দোলনের সমন্বয়কদের। হেলিকপ্টার থেকে যেভাবে গুলি চালানো, আন্দোলনরত বেসামরিক নাগরিকদের ওপর গুলি ছোড়া, আহত মানুষকে কাছ থেকে গুলি করা, পথচলতি মানুষকে পেছন থেকে ঠান্ডা মাথায় গুলি করা, নির্মাণাধীন ভবনে ঝুলে থাকা তরুণকে ঠান্ডা মাথায় গুলি করতে করতে তাঁর মৃত্যু নিশ্চিত করার মতো ঘটনার ভিডিও দেখে আমরা স্তম্ভিত, হতবাক, বিক্ষুব্ধ।এটি তো কোনো যুদ্ধাবস্থা নয়, বেসামরিক নাগরিকেরা আন্দোলন করছিলেন। সেই আন্দোলন দমন করতে, এমন বল প্রয়োগের উদাহরণ ইতিহাসে নেই। এবারের এর কোটা সংস্কার আন্দোলনকে সমাজবিজ্ঞানের ভাষায় বলা যেতে পারে বিক্ষোভ যা পরবর্তীতে গণ-অভ্যুত্থানে রূপ নিয়েছে। পরপর তিনটি প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন করে ১৫ বছরের বেশি ক্ষমতায় থাকা সরকার, ছাত্রলীগ, পুলিশ, বিজিবি, র‍্যাব দিয়ে অতিরিক্ত ও অবৈধ শক্তি প্রয়োগ করেছে। কারফিউ জারি ও সেনা মোতায়েন করেও এ আন্দোলনকে দমন করা যায়নি। 

এমনকী ইন্টারনেট ব্ল্যাক আউট, ব্লক রেইড, গণগ্রেপ্তার ও হয়রানির ঘটনা ঘটেছে। এর পরও জনগণের প্রতিবাদ অব্যাহত রয়েছে। আন্দোলন গণ-অভ্যুত্থানে পরিণত হয়ে আজ বিশ্ব বিবেককে নাড়া দিয়েছে। বহির্বিশ্বে দেশের অর্থনৈতিক, কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক ভাবমূর্তির যে চিরস্থায়ী ক্ষতি এ সরকারের অদূরদর্শিতা ও হঠকারিতার জন্য সাধিত হলো তার প্রভাব হবে গভীর ও সুদূরপ্রসারী।দেশের শত শত মানুষের লাশের ওপর দাঁড়িয়ে আজ সরকারের রাষ্ট্রীয় শোক পালনের চেষ্টা এক ভয়ানক প্রহসন যা শিক্ষার্থীরা প্রত্যাখ্যান করেছেন। সরকারি বাহিনীর প্রতিটি মিথ্যাচার, প্রহসন, আর পি আর ক্যাম্পেইন এর বিরুদ্ধে শিক্ষার্থী-জনতার যে ঐক্য দাঁড়াচ্ছে,তার শক্তি সাধারণ নাগরিকেরা টের পাচ্ছেন; কিন্তু সরকার কি সেটা পাচ্ছে? পেলে তাদের দমন-পীড়ন বন্ধকরে শান্তির পথে,মিথ্যাচার বন্ধ করে ক্ষমা চাওয়ার পথে আসতে হবে। সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের পথে, মানবতার পথে আসতে হবে। নতুবা এ প্রজন্মের আস্থা তারা আর ফিরে পাবেন না। এখন আর এটা কোটা সংস্কার আন্দোলনে সীমাবদ্ধ নেই। এখন জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবি উঠেছে। এই পৃথিবীতে মানুষ যুদ্ধ চায় না, শান্তি চায়। এই স্লোগানে আমরা ইতোমধ্যে শান্তিপ্রিয় বিশ্ববাসীর নানা রকম কর্মসূচিও দেখেছি। ইরাক যুদ্ধ, সিরিয়া ও ফিলিস্তিন সংকট এবং সর্বোপরি ইউক্রেন সংকটসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে সৃষ্ট এমন পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে শান্তিপ্রিয় বিশ্ববাসী এই দাবি জানিয়েছে এবং এখনো এ দাবিতে শান্তিপ্রিয়রা সোচ্চার। কিন্তু মানুষের এই শুভ প্রত্যাশা বারবার হোঁচট খাচ্ছে। যুদ্ধ কিংবা দ্বন্দ্ব-সংঘাত নানা রকম ক্ষয়ক্ষতির চিত্রই স্ফীত করে। মানবতার পরাজয় ঘটায়।মানুষের পাশাপাশি সত্যেরও মৃত্যু হয়।আহত মানুষের আহাজারি বিশ্ব সম্প্রদায়ের বিবেকবান মানুষকে পীড়িত করে। চরম ভাবে আঘাত লাগে অর্থনীতিতেও। 

অথচ সুন্দর ও মানবিক জীবনযাপনের জন্য শান্তি মানুষকে সামনের দিকে অগ্রসর হওয়ার ক্ষেত্রে অদৃশ্য ভাবে প্রেরণা জোগায়। মানুষের বেঁচে থাকার জন্য যেসব মৌলিক বিষয় বিশেষ গুরুত্বের দাবিদার, এর মধ্যে শান্তি অন্যতম। বর্তমান বিশ্বে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অভূতপূর্ব উন্নতির এই যুগে সভ্যতার ক্রমসম্প্রসারণ ও মানুষের দর্শন-মনন-প্রজ্ঞার অপরিসীম বিস্তৃতি ঘটেছে বিপুলভাবে। এর পাশাপাশি মানুষে মানুষে হিংসা, দুর্নীতি, দুর্বৃত্তায়ন, অভাবনীয় স্খলন-পতন-বিভেদ- বিদ্বেষ-বিপর্যয়-বীভৎস কার্যকলাপ ইত্যাদি তামসিক উল্লাস প্রচণ্ডভাবে ব্যাহত করছে শুভচেতনা, নৈতিক মূল্যবোধ। মানুষ আজ দিশাহারা। এমনই এক পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে আমরা শঙ্কায় অতিক্রম করছি জীবনের প্রতিটি ক্ষণ। প্রতিটি দিনকে মনে হয় ভয়ঙ্করতম দিন। এমন আতঙ্ক ও সংকট যেন আগে কখনো প্রত্যক্ষ করিনি। প্রতিদিন মনে হয়-জীবনের নিরাপত্তা, শিক্ষা-সভ্যতার অস্তিত্ব বোধহয় শেষ কিনারায় এসে দাঁড়িয়েছে। ক্রমেই নিষ্ঠুরতম অমানবিক কর্মকাণ্ডে মানব জাতি বেশি পরিমাণে উৎসাহী হয়ে পড়েছে। রক্তলোলুপ জিঘাংসু বাহিনীর বর্বরোচিত সন্ত্রাস-প্রতিসন্ত্রাসে সভ্যতার শরীরজুড়ে রক্তের আল্পনা।প্রশ্ন জাগে মনে, আমরা কোন সভ্যতায় বসবাস করছি?একবিংশ শতকে আমরা কী এই আধুনিক প্রযুক্তি সমৃদ্ধ সভ্যতার কাছে চরম নৃশংসতা প্রত্যাশা করেছি। পৃথিবীর কোথাও না কোথাও যুদ্ধ, সংঘর্ষ বা রক্তপাত হচ্ছেই। বলা যায়, এটিই এখনো বিশ্বের বাস্তবতা। পৃথিবী জোড়া এখনো অশান্তি, উত্তেজনা, সহিংসতা ও সংঘর্ষের চিত্রই প্রত্যক্ষ করতে হচ্ছে। মানুষ যে শান্তিপূর্ণ বিশ্বের প্রত্যাশা করেছিল, তা এখনো সুদূর পরাহতই রয়ে গেছে। হিংসা, হানাহানিই এখনো পৃথিবীর বাস্তবে। এই চিত্র অস্বীকার করার উপায় নেই। এ জন্যই মনে হয়, এতকিছুর পরও ওই আঁধার যেন গেল না। 

শান্তির পথে বাধা তো আরও আছে-ক্ষুধা, দারিদ্র্য, অশিক্ষা, অপুষ্টি। এগুলোও শান্তির পথে কম বড় বাধা নয়। পৃথিবীতে একদিকে প্রাচুর্য ও অপচয়, অন্যদিকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্য দূর করা না গেলে বিশ্বে শান্তির সুবাতাস প্রত্যাশা করা যায় না। এ জন্যই ক্ষুধা ও দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে সংগ্রাম এত জরুরি।সাম্প্রতিক ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের বিষয়টি ঘুরেফিরে আসে। ইউরোপের কঠোর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রুশকে বাকি বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন করে তাদের কাছে ক্রেমলিনকে অবৈধ প্রতিপন্ন করা যাবে-পশ্চিমাদের এমন চিন্তার কার্যকারিতা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। ইউক্রেন যুদ্ধ বেধে যাওয়ার পর ওই যুদ্ধ মহড়ার চিন্তা কোনোমতেই এড়ানো যাচ্ছে না। কারণ তখনকার যুদ্ধের হুমকিকে অযৌক্তিক হুমকি বলেই মনে হতো। আলবেনীয়দের মতোই ইউক্রেনীয়রাও আন্তর্জাতিক ব্যবস্থায় অতিশক্তি প্রয়োগের রাজনীতির এক ভয়াবহ দাবা খেলার ঘুঁটিতে পরিণত হয়েছে। বর্তমান সময়ে চিন্তা করে দেখুন, ইসরায়েলের অমানবিক আচরণ ও বিবেকহীন কাজ বিশ্ব মানবতাকে নাড়া দিতে পারেনি।প্রকৃতপক্ষে আশা বসবাস করে ইচ্ছা ও বিশ্বাসের মধ্যে। আশার সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন হয় ঠিক তখনই-যখন বিশ্বকে আশাহীন মনে হয়। আশা পৃথিবীতে সহজলভ্য এবং আপনি চাইলেই পেয়ে যাবেন-এমন নয়। পৃথিবী বাসীর স্বস্তি, শান্তি, কল্যাণ ও প্রগতি ত্বরান্বিত এবং নিশ্চিত করার স্বার্থে শান্তিবাদী আঙ্গিকের একটি শুভতর প্রবর্তনার বিষয়টি অবশ্যই মানবিক বিবেচনায় রাখার উদ্যোগ ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। তবে এটি নির্ভর করে আমরা পরস্পরকে ধ্বংসের লক্ষ্যে দেখব, নাকি সমকক্ষ মানুষ হিসেবে দেখব-এ প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। তাই সময় এসেছে সব ভেদাভেদ ভুলে যেদিন আমরা মানবিক এবং বিবেকবোধ সম্পন্ন মানুষ হব সেদিনই একটা দেশ সত্যিকারেই এগিয়ে যাবে। সত্য, সুন্দর ও স্বচ্ছতায় জেগে উঠুক বিবেক। সবার ঘুমিয়ে থাকা মানবিকতা এবং মনুষ্যত্ব জাগ্রত হোক-এ-ই কামনা।


লেখক: গবেষক ও কলামিস্ট, যুক্তরাজ্য।

ডেল্টা টাইমস/রায়হান আহমেদ তপাদার/সিআর/এমই

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
  এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ  
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. জাহাঙ্গীর আলম, নির্বাহী সম্পাদক: মো. আমিনুর রহমান
প্রকাশক কর্তৃক ৩৭/২ জামান টাওয়ার (লেভেল ১৪), পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত
এবং বিসমিল্লাহ প্রিন্টিং প্রেস ২১৯ ফকিরাপুল, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত।

ফোন: ০২-৪৭১২০৮৬১, ০২-৪৭১২০৮৬২, ই-মেইল : deltatimes24@gmail.com, deltatimes24@yahoo.com
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. জাহাঙ্গীর আলম, নির্বাহী সম্পাদক: মো. আমিনুর রহমান
প্রকাশক কর্তৃক ৩৭/২ জামান টাওয়ার (লেভেল ১৪), পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত
এবং বিসমিল্লাহ প্রিন্টিং প্রেস ২১৯ ফকিরাপুল, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত।
ফোন: ০২-৪৭১২০৮৬১, ০২-৪৭১২০৮৬২, ই-মেইল : deltatimes24@gmail.com, deltatimes24@yahoo.com