‘ইয়েস স্যারে’ ডুবেছেন ডুবিয়েছেন
ডেল্টা টাইমস ডেস্ক:
|
সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিতর্কের ঊর্ধ্বে উঠতে পারেনি নির্বাচন কমিশন। দেশের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত যতগুলো নির্বাচন হয়েছে, তার দু-একটি বাদে প্রায় সবগুলোই ছিল বিতর্কিত। ফলে বারবার প্রশ্ন উঠেছে নির্বাচন কমিশনের স্বচ্ছতা নিয়ে। অথচ সাংবিধানিকভাবে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ক্ষমতা থাকার পরও বেশিরভাগ কমিশনই স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারেনি বা করেনি। পারেনি নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন উপহার দিতে। দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন আয়োজন করতে গিয়ে নির্বাচন প্রক্রিয়াকেই ফেলে দিয়েছে বিতর্কের মধ্যে। নির্বাচনব্যবস্থা ধ্বংসের অভিযোগ উঠেছে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে। এসব ক্ষেত্রে কারণ হিসেবে বহুল আলোচিত বিষয় হলো ক্ষমতা প্রয়োগের চেয়ে আনুগত্য দেখাতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্য ছিল ইসি। সদ্য বিদায়ী কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশনও একই কাজ করায় নতুন কমিশন গঠনের আগে বিষয়গুলো নিয়ে চিন্তাভাবনা করার তাগিদ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করার ক্ষেত্রে শুধু নির্দলীয় সরকারই নয়, একটা নিরপেক্ষ কমিশন আরও বেশি দরকার। সার্চ কমিটি থেকে শুরু করে কমিটি গঠন সব ক্ষেত্রেই বিষয়টি বিবেচনায় রাখতে হবে। দেশের কোনো নির্বাচনই যে বিতর্কের ঊর্ধ্বে ছিল না, তা স্বীকার করেছেন সদ্য বিদায়ী প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। পদত্যাগের দিন তার বিদায়ী বক্তব্যে ফুটে উঠেছে বিভিন্ন সময় গঠিত হওয়া নির্বাচন কমিশনের ব্যর্থতা। তিনি বলেন, দেশের প্রথম সাংবিধানিক সাধারণ নির্বাচন ১৯৭৩ সালে হয়েছিল। সেই নির্বাচন নিয়েও বিতর্ক ছিল। সদ্য স্বাধীন দেশে আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হয়েছিল ওই নির্বাচন। হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ১৯৭৯ ও ১৯৮৬ সালের সাধারণ নির্বাচন সামরিক শাসনামলে হয়েছে। ফলাফল নিয়ে বিতর্ক ছিল। ওই দুটি নির্বাচন হয়েছিল যথাক্রমে জিয়াউর রহমান ও হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের শাসনামলে। এ ছাড়া এরশাদের সময় হওয়া ৮৮ সালের নির্বাচনও ছিল বহুল বিতর্কিত। নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনও বিতর্কের ঊর্ধ্বে ছিল না বলে সদ্য বিদায়ী প্রধান নির্বাচন কমিশনার দাবি করেন। হাবিবুল আউয়াল বলেন, ১৯৯১ সালের নির্বাচন সম্মত রাজনৈতিক রূপরেখার ভিত্তিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হয়েছিল। ১৯৯৬ (১২ জুন) ও ২০০১ সালের নির্বাচন সাংবিধানিক নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সূক্ষ্ম বা স্থূল কারচুপির সীমিত সমালোচনা সত্ত্বেও সার্বিকভাবে গ্রহণযোগ্য হয়েছিল। ২০০৮ সালের নির্বাচন সেনাসমর্থিত নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সেই নির্বাচনে বিএনপি সংসদে মাত্র ২৭টি এবং আওয়ামী লীগ ২৩০টি আসন পেয়েছিল। নির্বাচন বিতর্কের ঊর্ধ্বে ছিল না। সে সময় নিরাপদ প্রস্থানের (সেফ এক্সিট) বিষয়ে বিএনপি এবং আওয়ামী লীগের সঙ্গে সেনাসমর্থিত অসামরিক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দর-কষাকষির বিষয়টি প্রকাশ্যে ছিল। সেই প্রশ্নে বিএনপি এবং আওয়ামী লীগের অবস্থানও গোপন ছিল না। ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালের নির্বাচন সংবিধানমতো দলীয় সরকারের অধীনে হয়েছে। ১৪ ও ১৮ সালের বিতর্কিত নির্বাচনের পর সব দলের অংশগ্রহণে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের চ্যালেঞ্জ নিয়ে দায়িত্ব নিয়েছিল আউয়াল কমিশন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বিষয়টি স্বীকার করেছিলেন তিনি। গত বছর ১ অক্টোবর গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেছিলেন, ‘আমরা বর্তমানে যে নির্বাচনটা করতে যাচ্ছি, সেটার একটা বিশেষ দিক হচ্ছে অভিযোগ বা বিতর্কের যে মাত্রাটা, একটু অতিরিক্ত। ১৪ এবং ১৮-এর চাপটা এসে আমাদের ওপর পড়েছে, এই নির্বাচন কমিশনের ওপর।’ কিন্তু তত্ত্বাবধায়ক ইস্যুতে অনড় ও নির্বাচন কমিশনের প্রতি আস্থা না থাকায় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে বিএনপিসহ সমমনা বিরোধী দলগুলো অংশ নেয়নি। একদলীয় ‘ডামি ভোটের’ আয়োজন করে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে আউয়াল কমিশনকে। যদিও বিদায়ী প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দাবি ছিল, নির্বাচন স্থগিত বা বাতিল করার মতো সাংবিধানিক এখতিয়ার কমিশনের ছিল না। গত বছর গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন করে পুরো আসনে নির্বাচন বাতিলের ক্ষমতা হরণ করা হয়। এর আগের বছর গাইবান্ধা উপনির্বাচনে পুরো আসনের ভোট বাতিল করে সমালোচিত হয়েছিল ইসি। বিদায়বেলায় নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ বেশ কিছু সুপারিশ করেছেন তিনি। তার ভাষ্য, বিদ্যমান ব্যবস্থায় শুধু কমিশন পুনর্বিন্যাসের মাধ্যমে সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করা যাবে না। এর জন্য নির্বাচন পদ্ধতিতেও আমূল সংস্কার করতে হবে। দেশের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত ১৩টি নির্বাচন কমিশন গঠন হয়েছে। কিন্তু পাঁচ দশকে অন্তর্র্বর্তী ও নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে চারটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন ছাড়া ইসি অন্য কোনো জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে পারেনি বলে মনে করেন নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, নির্বাচনব্যবস্থা সবচেয়ে বেশি অকার্যকর হয়ে পড়ে গত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের পর গত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। দলীয়করণের ফলে নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচনপ্রক্রিয়ায় গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে। পেছনে ফিরলে দেখা যায়, গত দেড় দশকে সবচেয়ে কম বিতর্ক ছিল নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে। ২০০৭ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি দেশের দশম সিইসি হিসেবে দায়িত্ব নেন সাবেক আমলা ড. এটিএম শামসুল হুদা। শামসুল হুদা কমিশনের অধীনেই ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নবম জাতীয় নির্বাচন হয়। নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পেয়ে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। বিশ্লেষকদের মতে, বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচনের ইতিহাসে ২০০৮ সালের নির্বাচনটি ছিল সর্বশেষ অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। শামসুল হুদা কমিশনের বিদায়ের পর ১১তম সিইসি হিসেবে ২০১২ সালের ৮ ফেব্র“য়ারি দায়িত্ব নেয় কাজী রকিবউদ্দীন কমিশন। অনেকের ধারণা ছিল, ওই কমিশন আগের ধারাবাহিক রক্ষা করবে। কিন্তু দেখা গেল, বছর না পেরোতেই নানা অভিযোগ উঠতে থাকে ওই কমিশনের বিরুদ্ধে। কমিশনের নেওয়া বিভিন্ন সিদ্ধান্তে শুরু হয় সমালোচনা। আস্থা হারাতে শুরু করে রাজনৈতিক দলগুলো। ২০১৩ সালের জুলাই মাসে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন করে ইসির ক্ষমতা কমানোর জন্য সিদ্ধান্ত নেয় রকিব কমিশন। দেশ জুড়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে এই কমিশন। কিন্তু সমালোচনার মুখে সেই সংশোধনী আর আনতে পারেনি রকিব কমিশন। নির্বাচনী অনিয়মের শুরু ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে। এ নির্বাচনে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি অংশ না নিলেও বেশ কিছু আলোচনার জন্ম দেয় রকিব কমিশন। ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে জাতীয় পার্টির তৎকালীন চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন। এরপরই তাকে অসুস্থ বলে হাসপাতালে রাখা হয়। এ সময় কমিশনের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তখন অনেক প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করলেও নির্বাচন কমিশন তা আমলে না নিয়ে বৈধ বলে ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখায়। একতরফা এ নির্বাচনে ১৫৩ আসনে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল না। ফলে ভোটগ্রহণ হয় মাত্র ১৪৭ আসনে। বাংলাদেশের নির্বাচনের ইতিহাসে এটি এখন পর্যন্ত বহুল বিতর্কিত নির্বাচনগুলোর একটি। এমনকি বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় এত প্রার্থীর জয় হওয়ার ঘটনাও প্রথম। রকিব কমিশনের বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচনের যে সংস্কৃতি গড়ে উঠেছিল, রকিব কমিশন তার পাঁচ বছরের মেয়াদে তা ধ্বংস করে দিয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমি যতটুকু জানি, ওই সময় প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ ধরনের নির্বাচন আয়োজন করতে চায়নি। তার আশপাশে যেসব কমিশনার ছিলেন, তারাই ছিলেন ওই নির্বাচন আয়োজনের মূল কারিগর। কাজী রকিবউদ্দীন একবার বলেছিলেন, তার মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে ওই নির্বাচন আয়োজন করা হয়েছে।’ রকিব কমিশনের বিদায়ের পর ২০১৭ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি দায়িত্ব নেন কেএম নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন। হুদা কমিশনের অধীনেই ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়। সেই নির্বাচনে দেশের সব রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করে। নিরঙ্কুশভাবে জয় পেয়ে টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতা ধরে রাখে আওয়ামী লীগ। বিতর্ক, ব্যর্থতা ও নির্বাচনী ব্যবস্থা ধ্বংস করার অভিযোগ কেএম নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে। বিশেষ করে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কমিশনের ভূমিকা নিয়ে বিভিন্ন মহলে নানা প্রশ্ন ছিল। সিইসির অনেক সিদ্ধান্তেই ইসি মাহবুব তালুকদার নোট অব ডিসেন্ট দিয়েছেন। কয়েকবার কমিশন সভা বয়কট করেছেন তিনি। এমনকি নির্বাচন নিয়ে কমিশনের ভেতরে প্রশ্ন উঠেছে একাধিকবার। ২০১৮ সালেও দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ নেওয়া নিয়ে বিরোধী দলগুলোর মধ্যে সন্দেহ-সংশয় ছিল। নির্বাচনের আগে বিএনপির সঙ্গে আরও কিছু দল যুক্ত হয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নামে একটি রাজনৈতিক জোট গঠন করে। ওই সময় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টসহ বিভিন্ন দলের সঙ্গে সংলাপ করেন। সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দেন। সরকার ও নির্বাচন কমিশনের ওপর আস্থা রেখে নির্বাচনে অংশ নেয় বিরোধী দলগুলো। এদিকে নির্বাচন কমিশন ও সরকার সুষ্ঠু ভোটের আশ্বাস দিলেও ভোটের আগের দিন দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বিরোধী দলের নেতাদের অভিযোগ আসতে শুরু করে। তাদের অভিযোগ ছিল, রাতেই বিভিন্ন কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ প্রশাসনের সহায়তা নিয়ে ব্যালট পেপারে সিল মেরেছে। তবে সে অভিযোগ অস্বীকার করে আওয়ামী লীগ। এমনকি নির্বাচন কমিশনও এমন অভিযোগ আমলে নেয়নি। ভোটের দিন দুপুর থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে ভোট বর্জনের ঘোষণা দিতে থাকেন ঐক্যফ্রন্ট ও বামজোটের প্রার্থীরা। শেষ পর্যন্ত দেখা গেল আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও জোটসঙ্গীরা ২৮৮টি আসন পায়। আর বিএনপি এবং ঐক্যফ্রন্ট পায় মাত্র সাতটি। বাকি তিনটি আসন পায় অন্যরা। নির্বাচন কমিশনের কেন্দ্রভিত্তিক ফলাফল নিয়ে পর্যালোচনা করে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন)। তাতে দেখা যায়, ৭৫টি আসনের ৫৮৬টি কেন্দ্রে যত বৈধ ভোট পড়েছে, তার সবগুলো ছিল নৌকা মার্কায়। সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার দেশ রূপান্তরকে বলেন, রকিব, নুরুল হুদা ও আউয়াল কমিশন নির্বাচন প্রক্রিয়া ধ্বংস করে দিয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের সংবিধানের বিভিন্ন বিধিমালা সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে আমাদের ইসিকে যথেষ্ট ক্ষমতা দিয়েছে। তা সত্ত্বেও বিভিন্ন সময় নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে ও মানুষের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। এখন সময় এসেছে, পুরো নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার করার, না হলে অতীতের মতো আবারও নির্বাচন কমিশন বিতর্কের জন্ম দেবে। মানুষের অধিকার খর্ব হবে।’ সূত্র : দেশ রূপান্তর ডেল্টা টাইমস/সিআর/এমই
|
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |