স্বাস্থ্য উপদেষ্টার গাড়ির ওপর উঠে গেলেন আন্দোলনে আহতরা
নিজস্ব প্রতিবেদক:
|
জুলাই আন্দোলনের আহত সবাইকে দেখতে না যাওয়ার অভিযোগে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের গাড়ি আটকে দিয়েছেন আহতরা। এক পর্যায়ে তারা ক্ষুব্ধ হয়ে উপদেষ্টার গাড়ির ওপর উঠে পড়ে। বুধবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানের (নিটোর) জরুরি বিভাগের সামনে এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এদিন সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক ও স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম নিটোর পরিদর্শনে যান। তারা চতুর্থ তলার পুরুষ ওয়ার্ড ঘুরে দেখেন এবং চলে যেতে চান। কিন্তু তিন তলার ওয়ার্ডে থাকা আহতদের দেখতে না যাওয়ায় তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তারা নিচে এসে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একটি গাড়ি আটকে দেন। এক পর্যায়ে আন্দোলনে আহতদের একজন গাড়ির সামনে বসে পড়েন। আরেকজন উঠে পড়েন গাড়ির ওপর। কিছু সময় তারা গাড়িতে কিল-ঘুষিও মেরে ক্ষোভ দেখাতে থাকেন। নেমে আসতে বলেন গাড়ির চালকসহ অন্যদের। পরে নিরূপায় হয়ে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা ও ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত অন্য একটি গাড়িতে করে সেখান থেকে বেরিয়ে যান। পরে তারা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ওই গাড়ি ও প্রটোকলে থাকা পুলিশের একটি গাড়ি আটকে দেয় এবং রাস্তায় অবস্থান নেয়। জানা যায়, ঘটনাটি নিটোরের সামনে ঘটলেও অধিকাংশ বিক্ষোভকারী ছিলেন চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের চিকিৎসাধীন আহতরা। আহত শিক্ষার্থী মো. হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, আমাদের এক একটা ওয়ার্ডে ৪৮ জন মানুষ আছে। কিন্তু তারা তাদের পছন্দের বিদেশি পাঁচজন সাংবাদিক নিয়ে এসেছেন এবং আমাদের দেশীয় কোনো সাংবাদিককে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। তারা (উপদেষ্টা এবং রাষ্ট্রদূত) দু-একজনের সঙ্গে কথা বলে চলে গেছেন। আমরা কথা বলতে গেলেও আমাদের বাধা দেওয়া হয়েছে। সামান্য ট্রিটমেন্ট দিয়ে তিন মাস বসিয়ে রাখা হয়েছে। আমার পায়ে নয়টি অপারেশন করা হয়েছে, তারপরও এখন পর্যন্ত সুস্থ হতে পারিনি। আমরা চাই তারা সবার আমাদের সঙ্গে কথা বলুক। আমাদের জন্য ঘোষণা করা সেই এক লাখ টাকা এবং ভালো মানের চিকিৎসা দিক। এক চিকিৎসক জানান, আহতদের প্রত্যাশা ছিল স্বাস্থ্য উপদেষ্টা যেন সবার খোঁজ-খবর নেন। সমস্যা শুনে সমাধানের কার্যকর উদ্যোগ নেন। কিন্তু মনের কথাগুলো শোনাতে না পেরে আহতরা ক্ষুব্ধ হয়ে যান। এ সময় কেউ কেউ চিকিৎসার মান নিয়েও অভিযোগ করেছেন। ডেল্টা টাইমস/সিআর
|
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |