বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ১৪ চৈত্র ১৪৩০

আবাসিক মিটারে সেচ, কর্তৃপক্ষ নীরব
রংপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ৪:১৮ পিএম আপডেট: ২৬.০২.২০২০ ৪:৩৩ পিএম | অনলাইন সংস্করণ

আবাসিক মিটারে সেচ, কর্তৃপক্ষ নীরব

আবাসিক মিটারে সেচ, কর্তৃপক্ষ নীরব

রংপুরের তারাগঞ্জ জোনাল অফিসের (পবিস-২)  বিরুদ্ধে অবৈধ সংযোগসহ নানা অনিয়মের প্রশ্ন উঠেছে। প্রকৃত কৃষকরা সেচ কাজে বিদ্যুৎ সংযোগ না পেলেও আবাসিক সংযোগে সেচ কাজ চললেও অজ্ঞাত কারনে কর্তৃপক্ষ নীরব ভূমিকায় রয়েছে।

জানা গেছে, তারাগঞ্জ জোনাল অফিস (পবিস-২) এলাকায় মোট গ্রাহক সংখ্যা আবাসিক ৬৭০৭২ শিল্প ২৬৫ সেচ ২১২০ বাণিজ্যিক ৩৪৯৯ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও মসজিদ মন্দির ৯৩৪ ইন্ডাট্রি ১৭ ইজি বাইক ০৪  সহ মোট ৭৩৯২৫জন গ্রাহক রয়েছে।

সয়ার ইউনিয়নের দামোদরপুর দোলাপাড়া (হিন্দুপাড়া) গ্রামের যতিশ চন্দ্র রায়ের ছেলে রতন চন্দ্র রায় অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘ ১০ বছর যাবত আমি সেচ সংযোগ নিয়ে জমিতে পানি দিয়ে আসছি। চলতি বোরো মৌসুমে আমি জমিতে এখনও ধান লাগাতে পারিনি পানির অভাবে।  আরইবি চেয়ারম্যান স্যার হতে ইউএনও স্যার সবাইকে অনুরোধ করেছি। লিখিত অভিযোগ করেছি আমার সেচ মিটারের সংযোগ দেয়ার জন্য। কোন স্যারই আমার কথা শুনে নাই, উল্টো আমার সেচ এলাকায় মন্টু চন্দ্র রায়ের ছেলে অরবিন্দু রায়কে সেচ মিটারের বর্ডিং লাইসেন্স দিয়েছেন। সংযোগটি না পেলে ধান আবাদ করতে পারবো না আমাকে পথের ভিক্ষারী হতে হবে।

কনক রায় বলেন, প্রায় ১০ বছর হতে রতন রায় সেচ মিটার দিয়ে পানি দিয়ে আসছে। এবারে পল¬øী বিদ্যুতের লোকজন সংযোগ না দেয়ায় রতন মরিয়া হয়ে উঠেছে।  একই এলাকার চাষি নিত্যেন রায় নরেন রায় ওহাব আলী বলেন, হামাড় ধানের জমি রতনের মটর দিয়া পানি দেই দীর্ঘ ১০ বছর থাকি। এবার কারেনের মিটার এলাং নাগে দেয় নাই অফিস।

অরবিন্দু রায় অভিযোগ করে বলেন, আমার অনেক জমি রতনের কোন জমি নাই চাষাবাদের। তাই আমি সেচ মিটারের আবেদন করেছি এবং উপজেলা সেচ কমিটি আমাকে লাইসেন্স দিয়েছেন বরং রতনের কোন লাইসেন্স নাই।

সয়ার রঘুনাথপুর গ্রামের মকলেছ রহমান ,কাল্টু মিয়া, হক সাহেব জাবের আলীসহ কয়েক অভিযোগ করে বলেন, প্রত্যেকের কাছে আবাসিক মিটার দিয়ে সেচ দেয়ার জন্য এই এলাকার বিলিং রাইটার ৪০০ টাকা করে নেন।

এদিকে অটোভ্যানে চার্জ দেওয়ার জন্য একই এলাকার হাসমত আলী ও রেজাউল ইসলামের কাছে ওই বিল রাইটার ম্যান ২০০ টাকা করে নেন।

সয়ার খান সাহেব পাড়া গ্রামের লাবু মিয়া বলেন, আমি দেড় লক্ষ টাকা খরচ করে সেচ মিটার নিয়েছি। আজ সবাই বাড়ির মিটার দিয়ে মটর লাগিয়ে জমিতে পানি দিচ্ছে। এখন পল¬ী বিদ্যুৎ অফিসের লোকজন কানা হইছে চোখে দ্যাখে না। আইন বেরায় না জরিমানাও করে না।

সয়ার ইউপি চেয়ারম্যান এসএম মহিউদ্দিন আজম কিরন বলেন, অনেক ঝামেলা আছে এটি নিয়ে কয়েক দফা মিটিং করেছি রতন ও অরবিন্দুকে নিয়ে।

তারাগঞ্জ জোনাল অফিস (পবিস-২) এর ডিজিএম আশরাফুল হক বলেন, আমি এখানে নতুন যোগদান করেছি। সব বিষয় জানি, একটু সময় লাগবে। চলতি মাসে ৫টি আবাসিক মিটার দিয়ে সেচ চালানোর দায়ে জরিমানা করা হয়েছে। বিলিং রাইটার মোবাইলে টাকা নেয়ায় ইসি সাহাবুদ্দিন কামালকে তদন্তের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। রতনের ব্যাপরে উর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও ভালো জানেন আমার চেয়ে।

পাগলাপীর জোনাল অফিস পবিস-২ জিএম হারুন অর রশিদ বলেন, রতনের সেচ সংযোগের ব্যাপারে আমি জেনেছি। তবে খুব দ্রুত সমাধানের জন্য আইইরি চেয়ারম্যান নির্দেশ দিয়েছেন।

নীতিমালার অনুসারে অবৈধ ও আবাসিক মিটার ব্যবহার কারিরা নিয়মের বহির্ভূত হলে জরিমানা করার নিয়ম আছে।

ডেল্টা টাইমস/ শরিফুল ইসলাম/ সিআর/ ‍এস জে

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
  এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ  
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. জাহাঙ্গীর আলম, নির্বাহী সম্পাদক: মো. আমিনুর রহমান
প্রকাশক কর্তৃক ৩৭/২ জামান টাওয়ার (লেভেল ১৪), পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত
এবং বিসমিল্লাহ প্রিন্টিং প্রেস ২১৯ ফকিরাপুল, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত।

ফোন: ০২-৪৭১২০৮৬১, ০২-৪৭১২০৮৬২, ই-মেইল : deltatimes24@gmail.com, deltatimes24@yahoo.com
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. জাহাঙ্গীর আলম, নির্বাহী সম্পাদক: মো. আমিনুর রহমান
প্রকাশক কর্তৃক ৩৭/২ জামান টাওয়ার (লেভেল ১৪), পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত
এবং বিসমিল্লাহ প্রিন্টিং প্রেস ২১৯ ফকিরাপুল, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত।
ফোন: ০২-৪৭১২০৮৬১, ০২-৪৭১২০৮৬২, ই-মেইল : deltatimes24@gmail.com, deltatimes24@yahoo.com