পর্যাপ্ত ত্রাণ নেই, বিপাকে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
|
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় পর্যাপ্ত ত্রাণ না পেয়ে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষেরা ত্রাণ না পেয়ে ভীর করছেন উপজেলা পরিষদসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পৌরসভায়।উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন ও পৌরসভায় যে ত্রাণ বিতরণ করেছেন তা চাহিদার তুলনায় একেবারে অপ্রতুল। সরকারের ঘোষনা অনুযায়ী করোনা ভাইরাসের কারনে লোক সমাগম নিষেধ থাকায় ঘর থেকে বের হতে না পারায় দিন এনে দিন খাওয়া মানুষগুলো পড়েছেন বিপাকে। এখন পর্যন্ত সরকারের পর্যাপ্ত পরিমাণ ত্রাণনা পেয়ে বিপাকে পড়েছেন এ উপজেলার কয়েক হাজার মানুষ ।এ ছাড়া যে পরিমাণ ত্রাণ বরাদ্দ, সেটি প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। এ উপজেলার মোট জনসংখ্যার বেশিরভাগ মানুষ বিশেষ করে যারা দৈনিক আয়ের ভিত্তিতে সংসার চালায় তাঁত শ্রমিক দিন মজুর,ভ্যানগাড়ী চালক, রিক্সা চালক, পরিবহন শ্রমিক,ফেরিওয়ালা,রেস্টুরেন্ট শ্রমিক,চায়েরদোকানে,মিনি ফ্যাক্টরি ও মাঠে দিন মজুর হিসেবে কাজ করে থাকেন। দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে দিন এনে দিন খাওয়া মানুষগুলি কর্মহীন হয়ে পড়ায় পরিবার–পরিজন নিয়ে অর্ধাহারে দিনযাপন করছেন।এসব মানুষের ঘরে খাবার না থাকায় জীবিকার তাগিদে বের হলেও মিলছে না কোনো কাজ ।ভ্যান চালক আনোয়ার বলেন , প্রথম কয়েকদিন তার গাড়ি বের করেননি যে টাকা পয়সা ছিল তা শেষ হয়ে গেছে কিন্তু এখন বের করেছে কারন চাকা ঘুড়লে পেট চলবে।কিন্তু গণপরিবহন ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শহরের লোকজন তেমন একটা আসছেন না। ফলে ভ্যান যাত্রী মিলছে না। এছাড়াও মিলছে না ভ্যানের ভাড়াও। তাছাড়া ৯দিন পেরিয়ে গেলেও এ পর্যন্ত সরকারি ভাবে কোন ত্রান পাইনি ।এদিকে দিন হাজিরা কাজ করা মানুষজন বলেন, ছোট ছেলেমেয়েদের দিকে তাকাতে পারিনা একদিকে করোনাভাইরাসের ভয় অন্যদিকে পেটের ক্ষুদা আমরা এখন কোন দিকে যাবো ।শুনেছি সরকারিভাবে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে কিন্তু তারা এখন পর্যন্ত কিছুই পাননি। তাই কোন জায়গায় কাজ না পেয়ে বাধ্য হয়ে তিনদিন যাবত এই উপজেলায় আসছি কিন্তুকোন রকম খাদ্য সহায়তা পাইনি।এখানে কেউ সহায়তার হাতও আমাদের দিকে বাড়িয়ে দিচ্ছে না এ বিষয় জানতে চাইলে উল্লাপাড়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ মাহাবুবুর রহমান ভূইয়া বলেন ,গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রান মন্ত্রনালয় থেকে ইতিমধ্যে ১৪টি ইউনিয়ন ও পৌরসভায় ২৮ টন চাউল বিতরণ করা হয়েছে এবং আরো ৩২টন চাউল বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পৌরসভায় পৌছানো হয়েছে।তাছাড়া প্রতিটি ইউনিয়ন ও পৌরসভার যে কর্মহীন লোকজনের লিস্ট করা হয়েছে তা চাহিদা অনুযায়ী পর্যায়ক্রমে সবাইকে দেওয়া হচ্ছে এবং যারা বাদ পরবে তাদেরকে আবারো বরাদ্দ পেলে দেয়া হবে । ডেল্টা টাইমস্/এস এম ময়নুল হোসাইন/সিআর/জেড এইচ
|
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |