পাঠ্যসূচিতে স্বাধীনতার ইশতেহার অন্তর্ভুক্তির আহ্বান
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি:
|
মুক্তিযুদ্ধে প্রকৃত ইতিহাস পরবর্তী প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে পাঠ্যসূচিতে স্বাধীনতার ইশতেহার অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। ইশতেহার পাঠের মাধ্যমে বহু বিকৃতি ও বির্তকের অবসান ঘটবে। বুধবার (৩ মার্চ) সকালে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে স্বাধীনতার ইশ্তেহার পাঠের সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তারা এ আহ্বান জানান। ১৯৭১ সালের ৩ মার্চ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উপস্থিতিতে লক্ষ লক্ষ ছাত্র-জনতার সম্মুখে স্বাধীনতার ইশ্তেহার পাঠ করেন স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা, অবিভক্ত ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাজাহান সিরাজ। পাঠ্যসূচিতে স্বাধীনতার ইশতেহার অন্তর্ভুক্তির আহ্বান শাজাহান সিরাজ ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্টের চেয়ারম্যান রাবেয়া সিরাজের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অংশ গ্রহণ করেন টাঙ্গাইল জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান খান ফারুক, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম শীর্ষ সংগঠক, ইতিহাস খ্যাত চার খলিফার একজন নূর-ই-আলম সিদ্দিকী, জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক শেখ শহিদুল ইসলাম, সাবেক ছাত্রনেতা রেজাউল হক চৌধুরী মুশতাক, ভাসানী ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান খন্দকার নাজিম উদ্দিন, একুশে পদকপ্রাপ্ত কবি ও সাবেক ছাত্রনেতা আল-মুজাহিদী। ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে যোগদেন একাধিক আলোচক। আলোচনায় অংশ নিয়ে নুর ই আলম সিদ্দিকী বলেন, অন্ধের হস্তী দর্শনের মতো যে যার দৃষ্টিভঙ্গীর মতে স্বাধীনতার ইতিহাসকে ব্যাখ্যা করেছেন স্বাধীনতার মূল নেতা, স্থপতি ও প্রেরণার জ্বলন্ত উৎস ছিলেন বঙ্গবন্ধু। কিন্তু ছাত্রলীগ ছিল তাঁর আদর্শ বাস্তবায়নের মূল চালিকাশক্তি। বঙ্গবন্ধু ইঞ্জিনিয়ার হলে ছাত্রলীগ ছিলো রাজমিস্ত্রী। শাজাহান সিরাজের কন্যা ব্যারিস্টার শুক্লা সারওয়াত সিরাজ তাঁর বক্তব্যে বলেন, ৩রা মার্চ শুধু স্বাধীনতার ইশ্তেহার পাঠের দিন নয়, এটি সেই দিন যে দিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ছাত্রজনতা প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে জাতির জনক অভিধায় অভিসিক্ত করে। নতুন প্রজন্মকে জানানোর জন্য পাঠ্যসূচিতে ইশতেহার অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানান তিনি। ফজলুর রহমান খান ফারুক শাজাহান সিরাজসহ ইতিহাসখ্যাত চার খলিফার অবদান স্মরণ করেন এবং মুক্তিযুদ্ধে প্রকৃত ইতিহাস পরবর্তী প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেয়া আহ্বান জানান। শেখ শহিদুল ইসলাম বলেন, ৩রা মার্চ শাজাহান সিরাজ পঠিত স্বাধীনতার ইশতেহার ৭ই মার্চে একটি পূর্ণাঙ্গ পরিণতি লাভ করে। বেগম রাবেয়া সিরাজ স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের চার নেতা এবং বি. এল. এফ. এর চার নেতার রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবি জানান। রেজাউল হক চৌধুরী মুশতাক স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃতিকারীদের ৩রা মার্চ শাজাহান সিরাজ পঠিত বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইশতেহার মনোযোগের সাথে পাঠ করার অনুরোধ করেন। ইশতেহার পাঠের মাধ্যমে বহু বিকৃতি ও বির্তকের অবসান ঘটবে। আল-মুজাহিদী বলেন, শাজাহান সিরাজ ৩রা মার্চ স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ করার মাধ্যমে বাংলাদেশের ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশে পরিণত হয়েছেন। খন্দকার নাজিম উদ্দিন বলেন, শাজাহান সিরাজ স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠকালে বঙ্গবন্ধুর মৌনতাই এই ইশতেহারের বক্তব্যের প্রতি তাঁর পূর্ণ সমর্থনকে প্রমাণ করে। ডেল্টা টাইমস/এম কবির/সিআর/জেড এইচ
|
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |