বেসরকারি শিক্ষকদের শতভাগ বোনাস দিতে লাগবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন
মো. শফিকুল ইসলাম
|
২০১৫ সালের জাতীয় বেতন কাঠামো অনুযায়ী বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের শতভাগ বোনাস দিতে হলে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন লাগবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন। মো. মাহবুব হোসেন বলেন, সর্বশেষ নির্দেশনা অনুযায়ী উৎসব ভাতা পাবেন এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীরা। বিদ্যমান যা আছে তা নিয়ে কিছু করিনি। সেটি এই নীতিমালায় আনা হয়নি। নীতিমালায় বলা হয়েছে, সরকারের সর্বশেষ নীতিমালা যা রয়েছে সেটাই। বেতন পাবেন জাতীয় বেতন স্কেলেই। তবে শতভাগ বোনাস দিতে হলে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন লাগবে। এই নীতিমালার মধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে পারবো না। নীতিমালায় একটি সাধারণ গাইডলাইন তৈরি করেছি, কীভাবে এমপিওভুক্ত করা হবে। আর্থিক বিষয়ে বলা হয়েছে, সর্বশেষ নির্দেশনা অনুযায়ী পাবেন শিক্ষক-কর্মচারীরা। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন সর্বশেষ নির্দেশনা অনুযায়ী শিক্ষকরা বোনাস পাবেন বললেও নতুন নীতিমালায় এ সংক্রান্ত সব নির্দেশনা, আদেশ ও পরিপত্র রহিত করা হয়েছে। নতুন নীতিমালার রহিতকরণ অংশে বলা হয়, ‘এ নীতিমালা জারি হওয়ার পর শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বেতন-ভাতাদির সরকারি অংশ এবং জনবল কাঠামো সম্পর্কিত ইতোপূর্বে জারিকৃত নীতিমালা/পরিপত্র/আদেশের সংশ্লিষ্ট অংশ রহিত বলে গণ্য হবে।’ আর নীতিমালার ‘শিক্ষক ও কর্মচারীদের (স্কুল ও কলেজ) বেতন-ভাতা নির্ধারণ’ অনুচ্ছেদের ১১.৭-এর ‘ঙ’ অংশে বলা হয়েছে, ‘শিক্ষক-কর্মচারীদের মূল বেতন/বোনাসের নির্ধারিত অংশ/উৎসব ভাতার নির্ধারিত অংশ/বৈশাখী ভাতার নির্ধারিত অংশ সরকারের জাতীয় বেতন স্কেল-২০১৫/সরকারের সর্বশেষ জাতীয় বেতন স্কেলের সঙ্গে অথবা সরকারের নির্দেশনার সঙ্গে মিল রেখে করতে হবে।’ সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ পরিস্থিতিতে সরকারের সর্বশেষ নির্দেশনা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে ‘বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০২১’। এছাড়া নতুন করে নির্দেশনা জারি করতে হবে। বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি ও এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ লিয়াঁজো ফোরামের মুখপাত্র মো. নজরুল ইসলাম রনি বলেন, যেহেতু ‘করতে হবে’ শব্দ উল্লেখ রয়েছে সেহেতু মন্ত্রণালয় নতুন নির্দেশনা জারি করলেই উদ্ভূত পরিস্থিতির সমাধান হয়ে যাবে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে ১৫ দিনের বেশি সময় লাগবে না। এটা মন্ত্রণালয় আন্তরিক হলেই সম্ভব। ডেল্টা টাইমস/ এম আর/সিআর/জেড এইচ
|
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |