বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ৫ বৈশাখ ১৪৩১

অভ্যাস পরিবর্তন করি,পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন দেশ গড়ি
সাঈমা আক্তার
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ৪:৫৫ পিএম | অনলাইন সংস্করণ

সমাজে প্রতিটি বিষয়ে সবার ধারণা, চিন্তাভাবনা এক রকম হয় না। স্থান-কাল-পাত্র ভেদে ধারণাগুলোর ভিন্নতা দেখা যায়। একইভাবে আমাদের শহর সমাজে পরিচ্ছন্নতার ধারণাতেও অন্য দশ সমাজের চেয়ে ভিন্নতা লক্ষণীয়। পরিচ্ছন্নতা বলতে অনেকে, নিজের কাপড়-চোপড় পরিষ্কার রাখা, বাড়িঘরের জিনিসপত্রগুলোকে পরিপাটি করে সাজিয়ে রাখাকে বুঝে থাকেন। আবার অনেকে পরিচ্ছন্নতা বলতে, শুধু পরিষ্কার কাপড় হলে হবে না, আয়রন করে পরিধান করাকে বুঝে থাকেন। তাই ঢাকা শহরে শুধুমাত্র রিকশা, ভ্যান আর গণপরিবহনের চালক ছাড়া সবাইকে আয়রন করা পোশাক পরিধান করতে দেখা যায়। আমাদের সমাজে আয়রন করে কাপড় পরা অনেকটা সবার বেলায় বাধ্যবাধকতায় রূপ নিয়েছে। এমনকি সাধারণ কোনো কাজে ঘর থেকে বের হতেও আয়রন করা পোশাক ছাড়া খুব কমই দেখা যায়। এই সবই ব্যক্তির পরিচ্ছন্নতা ধারণা বা ব্যক্তির ব্যক্তিত্বের বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে করে থাকি। আবার অনেকে পরিচ্ছন্নতার চর্চা হিসেবে শুধু পোশাক-পরিচ্ছদ পরিষ্কার নয়; খাবার দাবারের ক্ষেত্রে পরিচ্ছন্নতার চিন্তা করে থাকেন। তাই অনেকে শুধু ঘরের তৈরি করা খাবার কিংবা নামি-দামি রেস্তোরাঁর খাবার পছন্দ করে থাকেন। অভিভাবকদের পরিচ্ছন্নতার ধারণা অনুযায়ী শহরের ছেলেমেয়েরাও সেভাবেই বেড়ে ওঠে। আদরের প্রিয় সন্তানদের জন্য যথাসম্ভব দামি খাবার, দামি কাপড়-চোপড় কিনি। দামি স্কুলব্যাগ ও টিফিন বক্সও তার সঙ্গে যুক্ত হয়। অভিভাবকরা সন্তানদের স্কুলের সামনে বসে অপেক্ষা করতে পলিব্যাগ কিংবা পুরনো পত্র-পত্রিকা সঙ্গে রাখেন। যাতে বসতে গিয়ে পরিচ্ছন্ন কাপড়ে ময়লা না লাগে। ফলে প্রতিদিন স্কুল শেষে, প্রায় প্রতিটি স্কুলের (বিশেষ করে বেসরকারি স্কুল-কলেজ) সামনে সারি সারি পলিব্যাগ আর পত্র-পত্রিকা পড়ে থাকতে দেখা যায়। সেই অর্থে আমাদের পরিচ্ছন্নতার ধারণা হলো শুধু নিজেকে, নিজের শরীর ও অবস্থানকে পরিষ্কার রাখা মাত্র। স্কুলশেষে ছেলেমেয়েদের নিরাপদ যাতায়াতের পাশাপাশি পরিচ্ছন্ন রাখতে গাড়ি ব্যবহার করি ঠিকই; কিন্তু দামি গাড়ির জানালা খুলে ছেলেমেয়েরা বিভিন্ন দামি খাবারের প্যাকেট রাস্তায় ছুঁড়ে ফেলে চলে যায়। স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীসহ অভিভাবকরাও রাস্তায় কোনো বর্জ্য ফেলে দেওয়াকে অন্যায় মনে করেন না। রাস্তাঘাটে নামি-দামি খাবারের প্যাকেট, ক্যান কারা ফেলছে? দামি সিগারেটের প্যাকেটগুলো কি রিকশাওয়ালারা ফেলছে? মোটেই নয়। আপনার আমার মতো শিক্ষিত-জ্ঞানী-গুণীরাই নিত্যদিন এসব রাস্তায় ছুড়ে ফেলে দিচ্ছি। 

এখন কোমল পানীয় কোম্পানিগুলো বোতলগুলোকে ছোট করতে করতে একেবারে সবার হাতের মুঠোয় নিয়ে এসেছে। আর তরুণরা প্রতিদিন কোমল পানীয়র বোতলগুলোকে যেমনি হাতের নাগালে সর্বত্র পাচ্ছে তেমনি পান শেষে বৃষ্টির মতো রাস্তায় এদিকে-সেদিকে নিক্ষেপ করছে। শহর সমাজে কদাচিৎ বিদ্যুৎ চলে গেলে মুহূর্তে অলি-গলির রাস্তাগুলোতে ময়লা ভর্তি পলিব্যাগ জমে যায়। উঁচু দালান থেকে যে যার মতো রাস্তায় এসব নিক্ষেপ করে দিতে দ্বিতীয়বার কেউ চিন্তা করি না। ঢাকা শহরে অবাক করার ব্যাপার হলো, প্রায় প্রত্যেক বিল্ডিংয়ের দুই-একজন ছাড়া বাসাবাড়ির কোনো কর্তা নিত্যদিনের খাবারের বর্জ্য/ময়লা ফেলতে নিচে গিয়ে ডাস্টবিন ব্যবহার করেন না। সবাই কাজের মেয়ে বা ঘরের সহায়কদের দিয়ে ডাস্টবিন ব্যবহারের চেষ্টা করে থাকেন। দু’একদিন কাজের মেয়ে বা সহায়ক না এলে ময়লা সব দরজার সামনে নয়তো সিঁড়ির কোনায় জমা করে রাখি। তারপরও নিচে গিয়ে কেউ ডাস্টবিন ব্যবহার করি না। শিক্ষিত সমাজে নিজেদের বর্জ্য ধরাটিও যেন অপমানের। এটি আমাদের পরিচ্ছন্নতার ধারণার মধ্যে পড়ে না। ঘরের ভেতরে বর্জ্যগুলোকে নিজে ধরে ডাস্টবিনে ফেলে দিয়ে আসাটি নিম্ন আয়ের অবহেলিত শ্রেণির কাজ হিসেবে দেখা হয়। একইভাবে, নিজেদের গাড়ি-বাড়ি থাকলে গাড়িগুলোকে পরিষ্কার করার জন্য প্রচুর মূল্যবান পানি ব্যবহার করি; কিন্তু বাড়ির সামনে থাকা ড্রেনের ময়লাগুলোকে পরিষ্কতার করে, পানির চলাচলকে সহজ করতে দেখা যায় না। কিংবা বাড়ির সামনে ধুলাবালি নিয়ন্ত্রণে দিনে দু’একবার পানি ছিটিয়ে রাখতে দেখা যায় না। শহুরে সমাজে ধুলাবালির বড় একটি উৎস রাস্তাঘাট মেরামত ও দালানকোঠা নির্মাণ। রাস্তাঘাট ও দালানকোঠা নির্মাণের সময় সবাই ফুটপাতে কিংবা রাস্তার ধারে ইট-বালি জমা করে রাখি দিনের পর দিন, মাসের পর মাস। অনেক ক্ষেত্রে বছরের পর বছরও ফেলে রাখা হয়। ফুটপাত দখল করে বালি রাখার ফলে প্রতিদিন ধুলাবালি উড়লেও সমস্যা মনে করি না। কিন্তু বালুর স্তূপগুলোকে দুটি করে ইট দিয়ে ঘিরে দিলে বালিগুলো আর ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ার কথা নয়। আরও একটু এগিয়ে, বালির স্তূপে দিনে দু’একবার করে পানি ছিটিয়ে রাখলে পারিপার্শি¦ক পরিবেশ বসবাসের অনুপযোগী হয় না। কিন্তু কাজগুলোকে আমরা পরিচ্ছন্নতার ধারণায় আনতে পারি না বলে শহরে দুটি দালানের মাঝখানে মেথর প্যাসেজে ময়লা আবর্জনা জমে ওঠে। আবর্জনা সব রোদে বৃষ্টিতে পচে মারাত্মক দুর্গন্ধ সৃষ্টি করলেও আমরা পরিষ্কার করার উদ্যোগ নিই না। নিজেদের দালানের নিচে ময়লাগুলোকে সরাতেও সিটি করপোরেশনের অপেক্ষায় থাকি। ধূমপায়ীরা উঁচু দালানের ব্যালকনিতে বসে আরামে সিগারেটের ছাই নিচে ফেলে দেন। নারীরা চুল আঁচড়ানোর পরে চুলগুলোকে পেঁচিয়ে জানালা, ব্যালকনি দিয়ে নিচে ফেলে দেন। ওপর থেকে সিগারেটের ছাই আর চুলগুলো নিচের ব্যালকনিতে আটকে গেলে নিচের বাসিন্দাদের পুনরায় পরিষ্কার করতে হবে কি না ভাবা হয় না। স্কুলগুলোতে পরিচ্ছন্নতা বলতে শুধু ক্লাসরুমকে বুঝায়। তাই ছেলেমেয়েরা স্কুল গেইট থেকে বের হতে না হতেই যেখানে সেখানে বর্জ্য ছুড়ে ফেলতে শুরু করে। আমাদের স্কুল শিক্ষকরাও ছাত্রছাত্রীদের এ ব্যাপারে কোনো শিক্ষা দেন না। স্কুলগুলোতে পরিবেশ পরিচিতি, সমাজবিজ্ঞান, স্বাস্থ্যকথা কিংবা মোরাল সায়েন্স ইত্যাদি পড়ানো হলেও সিলেবাসে নেই বলে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে ছাত্রছাত্রীদের শেখানোর গুরুত্ব উপলব্ধি করা হয় না। ঢাকা শহরে হাজার হাজার ভ্রাম্যমাণ শাক-সবজি, মাছ-মুরগি বিক্রেতারা তাদের দ্বারা সৃষ্ট আবর্জনা সব রাস্তায় ফেলে দিয়ে চলে যায়। তাদের কাছে পরিচ্ছন্নতা মানে সম্বল হিসেবে ভ্যানগাড়ি আর নিত্যদিন বিক্রির জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীগুলোকে মুছে রাখা। পথে-ঘাটে অলি-গলিতে চা দোকানদারদের পরিচ্ছন্নতার ধারণা হলো চায়ের কাপ, কেটলি আর তার বসার জায়গাটুকুকে পরিষ্কার করা। তার দ্বারা নিত্যদিনের সৃষ্ট বর্জ্যগুলোকে জমা করে ডাস্টবিনে ফেলে যাওয়ার কাজগুলোকে সিটি করপোরেশনের ঝাড়ুদারদের কাজ মনে করা হয়। রাস্তার দু’পাশে লাখ লাখ দোকানপাট সকাল-বিকাল ঝাড়ু দিয়ে আবর্জনাগুলোকে সরাসরি রাস্তায় ফেলে দেয়। দোকানের সামনে ময়লা আবর্জনা কিংবা ধুলাবালি নিয়ন্ত্রণে পানি ছিটিয়ে রাখার ঘটনা শহুরে সমাজে বিরল। শহরের মানুষগুলোর মাঝে পরিচ্ছন্নতার ধারণা মানে শুধু নিজেকে পরিষ্কার রাখা। নিজেদের ঘরের ভেতরের পরিবেশকে পরিষ্কার রাখা। ফলে শহরের শিক্ষিত, নিরক্ষর, ধনী-গরিব সবার মাঝে পরিচ্ছন্নতার ধারণাটি এক অর্থে খুবই সংকীর্ণ। ঘরের ভেতর আর গাড়ির ভেতরের পরিবেশকে নিজেদের পরিচ্ছন্নতার চর্র্চা হিসেবে দেখা হয়। গ্রামের মানুষেরা কিন্তু সম্পূর্ণ বিপরীত। গ্রামীণ নারীরা একটি নির্দিষ্ট জায়গায় বসে  (সে শিক্ষিত কিংবা নিরক্ষর) চুল পরিষ্কার করেন। ঝরে পড়া চুলগুলোকে একটি নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলেন। পচনশীল বর্জ্যগুলোকে গর্তে পুঁতে ফেলা গ্রামাঞ্চলে এখনো বিদ্যমান। কিন্তু শহুরে সমাজে বসবাসকারীরা এক একজন যেন ‘সম্রাট’। যেখানে সেখানে ময়লা নিক্ষেপ করা নিত্যদিনের দৃশ্য। আবার নিজেদের নিক্ষেপ করা ময়লা-আবর্জনা সব পরিষ্কার করতে দেরি হতে দেখলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গালিগালাজ করতে খুব বেশি দেরি করি না। আমাদের পরিচ্ছন্নতার ধারণাগুলোর পরিসর বিস্তৃত, উন্নত ও ব্যাপকতর করতে হবে। শুধু নিজ ও নিজের পরিবারকে নিয়ে ভাবনা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। গ্রামীণ মানুষের পরিচ্ছন্নতার ধারণাগুলোকে অনুসরণ, অনুকরণ করা দরকার। নিজে হাতে কাজ না করার বাদশাহী ভাবসাব কমাতে হবে। স্কুলের শিক্ষকদের দায়িত্ব নিতে হবে। প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে গাদা গাদা বই পড়ানো হয়; কিন্তু শহরের কোনো একটি স্কুল কি ছাত্রছাত্রীরা সবাই পরিবেশ সচেতন বলে দাবি করতে পারে? শহুরে সমাজে পরিচ্ছন্নতার ধারণার পরিসর খুব ছোট বলে স্কুলগুলোতেও এই চর্চা দেখা যায় না। আরও ওপরে গেলে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদেরও পরিবেশ সচেতন বলা যাবে না। আমাদের বড় বড় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা যেখানে সেখানে টিস্যু ফেলতে সময় নেয় না। সরকারি-বেসরকারি অফিসগুলোতে গেলেও একই চিত্র পাওয়া যায়। ডাস্টবিন ও টয়লেট ব্যবহার ও রক্ষণাবেক্ষণ এখনো আশাব্যঞ্জক বলা যাবে না। সেবাগ্রহীতাদের জন্য নির্ধারিত টয়লেটগুলো সবসময় অবহেলায় রাখা হয়। আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি আর ব্যক্তিবিশেষে আচরণগুলোকে উপলব্ধি, পর্যালোচনা করতে পারলে পরিচ্ছন্নতার পরিসর সহজে বাড়ানো সম্ভব। দামি গাড়ি, দামি বাসাবাড়ি, দামি পোশাকে পরিচ্ছন্নতার বহিঃপ্রকাশ ঘটে কী? প্রকৃত পরিচ্ছন্নতার বহিঃপ্রকাশ ঘটবে যদি আমরা আমাদের চারপাশেও বসবাসের উপযোগী পরিবেশ বজায় রাখি; যদি নিজের ছেলেমেয়েদের পরিবেশ আর পরিচ্ছন্নতা সম্পর্কে শিক্ষা দিতে পারি। স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা চাইলেই পরিবেশ সম্পর্কে নিজ নিজ ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে পরিচ্ছন্নতার ধারণা উন্নয়নে কাজ করতে পারেন। আমাদের পরিচ্ছন্নতার ধারণা ও চর্চার নতুন বিন্যাস খুবই জরুরি হয়ে পড়েছে। প্রত্যেকে আমরা যদি এই দায়িত্বটুকু পালন করতে পারি, আমার দৃঢ় বিশ্বাস আমাদের শহুরে সমাজের পারিপার্শ্বিক পরিবেশ পাল্টাতে খুব বেশি সময়ের দরকার হবে না।মনে রাখবে হবে, পরিচ্ছন্নতার ধারণা যত বড়, বিস্তৃত করতে পারব, আমাদের পরিবেশ তত উন্নত হবে এবং সমপরিমাণে আমাদের রোগশোকও কমে যাবে। আসুন  আমাদের পরিচ্ছন্নতার ধারণাগুলোকে নতুনভাবে সাজিয়ে নিয়ে আমাদের চারপাশ পরিষ্কার রাখি। রক্ত দিয়ে কেনা দেশকে আর কিছু দিতে না পারি পরিবেশ সচেতন তো হতে পারি।

লেখক: শিক্ষার্থী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
সমাজবিজ্ঞান বিভাগ।



ডেল্টা টাইমস/সাঈমা আক্তার/সিআর/আরকে

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
  এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ  
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. জাহাঙ্গীর আলম, নির্বাহী সম্পাদক: মো. আমিনুর রহমান
প্রকাশক কর্তৃক ৩৭/২ জামান টাওয়ার (লেভেল ১৪), পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত
এবং বিসমিল্লাহ প্রিন্টিং প্রেস ২১৯ ফকিরাপুল, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত।

ফোন: ০২-৪৭১২০৮৬১, ০২-৪৭১২০৮৬২, ই-মেইল : deltatimes24@gmail.com, deltatimes24@yahoo.com
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. জাহাঙ্গীর আলম, নির্বাহী সম্পাদক: মো. আমিনুর রহমান
প্রকাশক কর্তৃক ৩৭/২ জামান টাওয়ার (লেভেল ১৪), পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত
এবং বিসমিল্লাহ প্রিন্টিং প্রেস ২১৯ ফকিরাপুল, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত।
ফোন: ০২-৪৭১২০৮৬১, ০২-৪৭১২০৮৬২, ই-মেইল : deltatimes24@gmail.com, deltatimes24@yahoo.com