শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ময়মনসিংহে ‘আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে বিজিবি সদস্যের আত্মহত্যা’
ডেল্টা টাইমস্ ডেস্ক:
প্রকাশ: শনিবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২১, ১১:১৯ এএম | অনলাইন সংস্করণ

ময়মনসিংহে কর্মরত সোহরাব হোসেন চৌধুরী (২৪) নামের এক বিজিবি সদস্যের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়মনসিংহের খাগডহর এলাকায় অবস্থিত ৩৯ বিজিবি ব্যাটালিয়ন ক্যাম্প থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। তিনি নিজের কাছে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গতকাল শুক্রবার রাত সোয়া ৯টার দিকে আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ কামাল আকন্দ গতকাল রাতে এ খবর জানিয়েছেন।

এদিকে, সোহরাবের মৃত্যুর আগে গতকাল শুক্রবার রাত ৮টার দিকে তাঁর ফেসবুক আইডিতে একটি পোস্ট পাওয়া যায়। সেখানে আর্থিক অনটন নিয়ে দুঃখ-দুর্দশার কথা তুলে ধরা হয়।

সোহরাব হোসেন ফেনীর পরশুরাম উপজেলার বাশপাদুয়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ২০১৫ সালের ২১ জুলাই বিজিবির চাকরিতে যোগদান করেন।
ময়মনসিংহে ‘আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে বিজিবি সদস্যের আত্মহত্যা’

ময়মনসিংহে ‘আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে বিজিবি সদস্যের আত্মহত্যা’

পুলিশ জানিয়েছে, ময়মনসিংহ কোতোয়ালি থানা পুলিশ লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করেছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের (মমেক) মর্গে পাঠানো হয়েছে।

সোহরাবের ফেসবুক আইডিতে পাওয়া পোস্টে লেখা হয়, ‘মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম নিয়ে ভালো কিছু আশা করা মহাপাপ। নামে সরকারি চাকরি, কিন্তু বেতনটা ওই নামের ওপরই। সাত বছর চাকরি, এখনও বাড়িতে গেলে ঠিকমতো একটু কোথাও যাওয়া হয় না। ছুটির সময়টাও চোরের মতো থাকতে হয়। গত কিছুদিন আগে আম্মু খুব অসুস্থ হয়ে পড়ল। মায়ের চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে গেলাম, পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর মায়ের জন্য ওষুধ কিনব, সে টাকা আর হাতে নেই। পরে মামার কাছ থেকে ধার নিয়ে মাকে কিছু ওষুধ আর গাড়ি ভাড়া দিলাম। এমনটা প্রতিমাসেই হতে থাকে। না পারি নিজের খুশি মতো একটা জিনিস কিনতে, কিংবা একটা রেস্টুরেন্টে গিয়ে ভালো কিছু খেতে, না পারি পরিবারের চাহিদা পূরণ করতে। তার মধ্যে বর্তমান বাজারের যা পরিস্থিতি, এতে বাজার করা কিংবা সংসার চালানো কতটা কঠিন, বোঝানোর মতো না। ছোট ভাইটা শারীরিকভাবে কিছুটা অক্ষম।
তার জন্য কিছু করব, তার সুযোগ হয়নি এই জীবনে। এমন পরিস্থিতিতে মানুষ প্রশ্ন করে, বিয়ে করি না কেন। কিন্তু মানুষকে তো আমার সরকারি চাকরির ভেতরটা দেখাতে পারি না। আমার বেতন, আমার সুযোগ-সুবিধা, সেভিংস এই সব কিছুতে অন্য একটা মানুষকে আনা আমার জন্য মরার উপর খাঁড়ার ঘা। তাই বিয়ে-শাদীর চিন্তা করিওনা। শুধু খেয়ে-পড়ে বেঁচে থাকতে পারলে খুশি—এমন চাইলাম, তাও আর হয়ে উঠল না। সাতটা বছর মানসিক যন্ত্রণা আর অভাবের সঙ্গে যুদ্ধ করতে করতে সত্যি বড় ক্লান্ত হয়ে পড়ছি। এবার একটু রেস্ট দরকার।

আমার পরিবার-সহকর্মী, সিনিয়র-জুনিয়র, আমার বন্ধুদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি, এই নিকৃষ্ট কাজের জন্য পারলে ক্ষমা করবেন। এই ছাড়া বিকল্প কোনো পথ আমার ছিল না।’




ডেল্টা টাইমস্/সিআর/জেড এইচ

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
  এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ  
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. জাহাঙ্গীর আলম, নির্বাহী সম্পাদক: মো. আমিনুর রহমান
প্রকাশক কর্তৃক ৩৭/২ জামান টাওয়ার (লেভেল ১৪), পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত
এবং বিসমিল্লাহ প্রিন্টিং প্রেস ২১৯ ফকিরাপুল, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত।

ফোন: ০২-৪৭১২০৮৬১, ০২-৪৭১২০৮৬২, ই-মেইল : deltatimes24@gmail.com, deltatimes24@yahoo.com
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. জাহাঙ্গীর আলম, নির্বাহী সম্পাদক: মো. আমিনুর রহমান
প্রকাশক কর্তৃক ৩৭/২ জামান টাওয়ার (লেভেল ১৪), পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত
এবং বিসমিল্লাহ প্রিন্টিং প্রেস ২১৯ ফকিরাপুল, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত।
ফোন: ০২-৪৭১২০৮৬১, ০২-৪৭১২০৮৬২, ই-মেইল : deltatimes24@gmail.com, deltatimes24@yahoo.com