শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ৭ বৈশাখ ১৪৩১

রাষ্ট্রকেই ট্রাফিক মৃত্যুর দায়ভার নিতে হবে
রহমান মৃধা:
প্রকাশ: রোববার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২১, ৬:৫৬ পিএম | অনলাইন সংস্করণ

রাষ্ট্রকেই ট্রাফিক মৃত্যুর দায়ভার নিতে হবে

রাষ্ট্রকেই ট্রাফিক মৃত্যুর দায়ভার নিতে হবে

দেশ ছেড়ে দূরপরবাসে বাস করার পেছনে নানা কারণ রয়েছে। আপনজনকে দেশে রেখে পরবাসে বাস করা বাঙালি যখন তার মাতৃভূমিতে বেড়াতে এসে হয়রানি, রাহাজানি থেকে শুরু করে নানা সমস্যার সম্মুখীন হয়, এমনকি প্রিয়জনকে হারায় তখন যে কী কষ্ট তা বোঝানো যাবে না। বোঝানো যাবে না সন্তান সকালে স্কুলে গিয়ে বিকেলে লাশ হয়ে ফিরে আসার কষ্ট। বোঝানো যাবে না আমেরিকা থেকে বাংলাদেশে বেড়াতে এসে সড়ক দুর্ঘটনায় স্বামী ও সন্তান হারানো আয়েশা রহমান সিদ্দিকার কষ্টের কথা।

তেরো বছর বয়সের মেয়ে বেলীকে নিয়ে আয়েশা রহমান সিদ্দিকা আমেরিকা থেকে বাংলাদেশের নারায়ানগঞ্জে এসেছিলেন বেড়াতে। শখ করে বেলীর বাবা মেয়েকে নিয়ে রিকশা করে শহর ঘুরতে বের হয়েছিলেন। চড়েছিলেন ব্যাটারিচালিত মোটর-রিকশায়। হঠাৎ একটি ট্রাক এসে সামনে থেকে রিকশাটিকে ধাক্কা দিলে দুমড়ে যাওয়া রিকশা থেকে বাবা আর মেয়ে ছিটকে পড়ে যান রাস্তায়। আর নিয়ন্ত্রণহীন ট্রাকটি বাবা-মেয়ের উপর দিয়ে দিব্যি ট্রাক চালিয়ে চলে যায়। বাবা ও মেয়ের মাংসপিণ্ড, রক্ত ও মগজে ভেসে যায় রাস্তা। মা খবর পেয়ে দৌড়ে আসেন এবং সন্তানের রক্তাক্ত লাশের উপর আছড়ে পড়েন। লাশের পেছনে ছুটেছেন যাতে করে তার ছোট্ট বেলী'র শরীরে মর্গের বাতাস না লাগে। এমন মর্মান্তিক দৃশ্য ও ঘটনা হয়তো দেশের মানুষের সয়ে গেছে। কারণ প্রতিদিন এধরণের ঘটনা ঘটে চলছে সারাদেশে। অনেইকেই দেশে যায়, দেশের বিভিন্ন এলাকা পরিবার নিয়ে ঘুরতে চায়, ছেলে-মেয়েদেরকে সোনার বাংলা দেখাতে চায়। কিন্তু রাস্তাঘাট অনিরাপদ ভেবে সেটা সম্ভব হয় না।

আবার আসি বেলীর মায়ের কথায়। ১৩ বছরের শিশুকন্যার থেঁতলে যাওয়া নিষ্পাপ দেহটি দেশে ফেলে বেচারি মা কিভাবে বাঁচবেন! ভাবতেই গা শিহরে উঠছে। মা-বাবার কোলে সন্তানের অকাল মৃত্যুর চেয়ে বড় কষ্ট জীবনে আর কী হতে পারে! আমরা বেলী ও বেলীর বাবার মতো যারা প্রতিদিন সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করছে তাদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। ফেসবুকের পাতা থেকে বেলীর মৃত্যু এবং লেখাটির বেশিরভাগ অংশ তুলে ধরলাম শুধুমাত্র awareness create এবং পরিবর্তনের আশায়। একই সাথে ফেসবুকের লেখাটির বাকি অংশটুকু আমাকে আরো অবাক করেছে। সেখানে বলা হয়েছে বাংলাদেশের সড়ক ভীষণ মাতাল ও মানুষখেকো। রাস্তার ইট, বালি, সিমেন্ট, রড থেকে শুরু করে ভাঙ্গা ও অনিরাপদ যানবাহন এবং তার চালকদের মনিটরিং করার মতো দায়িত্বশীল লোক দেশে নেই। সবার ভাবটা এরকম যে, যা মরে মরুক, যা থাকে থাকুক। সবকিছুই আজ দুর্নীতি ও রাজনৈতিক মেরুকরণের কবলে আচ্ছাদিত। দেশের মানুষগুলোর জন্য মায়া হয় কেননা তারা নিরাপদ সড়ক নিয়েও মুখ খুলতে পারে না। জনগণকে নিরাপদে রাখা যাদের দায়িত্ব, তারা ক্ষমতায় থাকার স্বার্থে নিজের সন্তানের এহেন টুকরো লাশ দেখেও চুপ করে থাকে। বলতে ইচ্ছে হয়, ‘তোরা মানুষ হ’। কেননা এই বেহুশ মানুষগুলোর মানবিক দিকগুলো উন্মোচিত না হওয়া পর্যন্ত এভাবেই চোখের সামনে হারাতে হবে শত শত সন্তানকে। এভাবে লেখাটি শেষ হয়েছে। এখন আমি যেহেতু সুইডেনে বসবাস করি বলবো সেখানকার কথা। বরফের দেশ সুইডেনেও ট্রাফিকের কবলে পড়ে মাঝে মাঝে মানুষের জীবন চলে যায়। তারপর মাদকাসক্ত হয়ে অনেকে গাড়ি চালানোর কারণে দুর্ঘটনা ঘটে। পৃথিবীর সর্বত্রে ট্রাফিক দুর্ঘটনা ঘটে সত্য তবে বাংলাদেশের বিষয়টি অত্যন্ত অমানবিক এ বিষয়টি নিশ্চিত।

আমার ছেলে জনাথানের বয়স ১৬ বছর হতেই সে ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য দরখাস্ত করে যাতে করে সে আমার এবং তার মা মারিয়ার সঙ্গে গাড়ি চালাতে পারে। সুইডেনে ১৬ বছর বয়স হলে কারও সঙ্গে প্রাকটিস করার নিয়ম রয়েছে। তবে যার সঙ্গে গাড়ি চালাবে তার কমপক্ষে পাঁচ বছর গাড়ি চালানোর অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। অ্যামেরিকাতে ১৬ বছর বয়স হলেই ড্রাইভিং লাইসেন্স নেয়া যায়, তবে ইউরোপে ১৮ বছর বয়স হতে হবে।

কর্তৃপক্ষ জনাথানকে আবেদনের সঙ্গে সঙ্গে গাড়ি চালানোর অনুমতি দেয়। যার ফলে সে সময় পেলেই আমাদের সঙ্গে গাড়ি চালানোর জন্য রাস্তায় বের হয়।পরে ১৮ বছর বয়স হতেই সে আবার দরখাস্ত করে যে সে এখন থিওরি পরীক্ষা দিতে চায় এবং পাস করলে ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য গাড়ি চালানোর পরীক্ষাও দিতে প্রস্তুত। হয়ে গেল পারমিশন। পরীক্ষা দিতেই পাস হয়ে গেল, সঙ্গে প্রাকটিক্যালের জন্য তারিখ নির্ধারণ করা হলো এবং একবারেই সে ড্রাইভিং লাইসেন্স পেয়ে গেল। লাইসেন্স পেতেই সে আমাদের গাড়ি চালিয়ে যেখানে সেখানে যেতে শুরু করে। সে একজন টেনিস খেলোয়াড়। হঠাৎ তার খেলা জনসোপিং-এ। জনসোপিং স্টকহোম থেকে তিন ঘণ্টার রাস্তা। সে নিজে গাড়ি চালিয়ে সেখানে যেতে চায়। আমি কেন যেন সাহস পেলাম না যে, সে একা গাড়ি চালিয়ে যাক এত দূরে। তাই তাকে বললাম, ঠিক আছে তবে আমি তোমার সঙ্গে যাবো। আমাদের যাত্রা শুরু হলো। বেশ চালাচ্ছে সে। মাঝেমধ্যে স্পিড ভ্যারি থাকায় সে বেশির ভাগ সময় স্পিড ভঙ্গ করছে। আমি তাকে বারবার বলছি, তুমি রাস্তার গতি সীমা লঙ্ঘন করছ। সে বলে, ৫-১০ কিলোমিটার বেশি চালানো কোনো সমস্যা না। এদিকে আমি তাকে বলছি, কেন তুমি নিয়ম লঙ্ঘন করছো? ১১০ কিলোমিটার গতিতে যেতে হবে, তুমি কেন তা মেনে চলছো না? পুলিশ তো তোমাকে ধরবে এবং প্রথমবার ফাইন ও পরের বার লাইসেন্স বাতিল করে দেবে। সে বলে, এখানে পুলিশ নেই। কিছু ভ্যারি হলে অসুবিধে নেই। হঠাৎ হেলিকপটারের শব্দ শুনতেই আমি নিশ্চিত হয়ে গেলাম যে জনাথান ধরা খেয়েছে। পুলিশ ওপর থেকে ল্যান্সের মাধ্যমে তার স্পিড নিয়ন্ত্রণ করছে, সে ১১০ কিলোমিটারের রাস্তায় ১২৫ কিলোমিটার বেগে চালিয়েছে প্রায় ১০ মিনিট ধরে, বিধায় হঠাৎ ল্যান্ড পুলিশ আমাদের একজিটে নিয়ে গেল। ড্রাংভিং লাইসেন্স চেক করার পর সতর্কতাসহ ২ হাজার ক্রোনার জরিমানা করে।
জনাথান জীবনে প্রথম শিক্ষা পেলো। ফাইন খেলো সে আর টাকা গেলো আমার। পুলিশ বললো জনাথানকে আজকের জরিমানাটি তোমার “টু ডু সিস্টে রেখে দাও এবং ভবিষ্যতে যেন এমনটি আর না ঘটে”। তারপর থেকে জনাথান আর ট্রাফিকের ওপর কোনো নিয়ম ভঙ্গ করেনি।
আমার সুইডিস বন্ধু নাম নিকলাস, আইটি কোম্পানির মালিক। তার ব্যস্ততার সময় ৩০ কিমি/ঘণ্টার রাস্তায় সে ৫০কিমি/ঘণ্টায় গাড়ি চালাতেই পুলিশের ল্যান্সে ধরা পড়ে। এ ধরনের অপরাধে এক মাস গাড়ি চালানো নিষেধ। বন্ধু তার অর্থনৈতিক ক্ষমতা এবং রেফারেন্স দিয়ে পরিচয় দেয় যে তার বন্ধু স্টকহোম জেলার পুলিশ সুপার, তাকে যেন ছেড়ে দেয়া হয়। পুলিশ এ কথা শোনার পরে তার ড্রাইভিং লাইসেন্স তৎক্ষণাৎ বাতিল এবং ১০ হাজার ক্রোনার জরিমানা করে।

পুলিশকে ভয় দেখানো ও ক্ষমতার অপব্যবহার করার কারণে এমন শাস্তি তাকে পেতে হয়েছিল। পুলিশের সৎ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের কারণে দুর্নীতি পরাজিত হয়েছিল সেদিন।
ট্রাফিকের নিয়ম ভঙ্গ করা বা রেড লাইটের সিগন্যাল না মানা মাঝেমধ্যে হয়ে থাকে কমবেশি পৃথিবীর সবখানে। মানসিক বিকারগ্রস্ত, নেশাগ্রস্ত, অপরাধী, অসচেতন যেই হোক না কেন ধরা খেলে জরিমানা সঙ্গে লাইসেন্স বাতিল হওয়াটা নির্ভর করে পৃথিবীর কোন দেশে ঘটনাটি ঘটেছে তার ওপর। যেখানেই ঘটুক না কেন শাস্তি সব জায়গাতে এক কিন্তু বাংলাদেশে এটা একেবারেই বলতে গেলে অন্যরকম। কারণ একটাই তা হলো, আইনের প্রতি শ্রদ্ধাহীনতা এবং দুর্নীতিযুক্ত ব্যবস্থাপনা।
ঘুষ দিয়ে যদি অন্যায়কে ঢাকার সুযোগ থাকে তবে তা পৃথিবীর সর্বত্র ট্রাফিকের নিয়মকানুনের লঙ্ঘন ঘটাতে পারে। কিন্তু তা সবখানে সম্ভব নয় বিধায় সবাইকে ট্রাফিকের নিয়ম মেনে চলতে হয়।
বাংলাদেশে কি আদৌ রেড সিগন্যাল বা রাস্তার গতি মেনে চলা হয়? না মানার কারণ কী হতে পারে তা আমার উপরের বর্ণনায় পরিষ্কার।

দেশে বেশির ভাগ ক্ষমতাশীল লোক তাদের ক্ষমতার অপব্যবহার করে বা তারা ঘুষ দিয়ে এ ধরনের ক্রাইম থেকে সচরাচর মুক্তি পেয়ে থাকে। নিয়ম ভঙ্গ করা নতুন কিছু নয় তবে শাস্তি না পাওয়া বা যদি ঠিকমতো শাস্তি দেয়া না হয় তখন তা ভয়ংকর রূপ ধারণ করে।

বাংলাদেশে যারা যানবহন চালান তাদের সঠিকভাবে প্রশিক্ষণ দিতে হবে। শুধুমাত্র প্লেনের পাইলটদের ভালো প্রশিক্ষণ দিলেই কি মানব জাতির জীবনের গ্যারান্টি আসবে?
যারা অনিয়ম করে গাড়ি চালায় এবং প্রতিটি গাড়িতে কম করে হলেও ১০০ জন যাত্রী থাকে। যখন অসতর্কতার কারণে এক্সিডেন্ট ঘটে তখন কতগুলো জীবনশেষ হয় তা বলার প্রয়োজন আছে কি?
প্লেনের পাইলট আর গাড়ির চালকের মধ্যে কি কোনো পার্থক্য দেখতে পারি যদি অসতর্কতার কারণে এক্সিডেন্ট ঘটে?
আমি মনে করি দেশের সকল মানুষকে ম্যুরাল ভ্যালু ও ঘুষমুক্ত সুপ্রশিক্ষণ দিতে পারলেই তৈরি হবে রেসপেক্ট ও দায়িত্ববোধ। যে জাতি ট্রাফিকের সিগন্যাল অমান্য করে সে জাতির দেশের প্রতি ভালোবাসা থাকতে পারে বলে আমার মনে হয় না। যেদিন জাতি এই ছোট একটি পরীক্ষায় পাস করবে, শুধু ট্রাফিকের সিগন্যালের ওপর রেসপেক্ট দেখিয়ে, সেদিন প্রমাণিত হবে সোনার বাংলায় লাল সবুজের পতাকার জয় হয়েছে, সেই সঙ্গে মানবতারও। ট্রাফিক সিগন্যালের ওপর রেসপেক্ট দেখানো মানে জাতি মানবতার ওপর রেসপেক্টের পরিচয় দিতে শিখেছে ভাবা যাবে।

সব সময়ই দেখি যেমন আগুন লাগলে পানি দিয়ে সে আগুন নেভানো হয়, অনেক সময় পর্যাপ্ত পানির অভাবে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনা সম্ভব হয়না। কিন্তু ইদানীং পানির ওপর লঞ্চ পুড়ে অর্ধশত মানুষের মৃত্যু, লক্ষ লক্ষ টন পানি থাকা সত্ত্বেও সে পানি কাজে লাগেনি, আশ্চার্য! গত কয়েকদিন আগে বাল্টিক সাগরের মধ্যে জাহাজে আগুন লাগে, কেও মারা না গেলেও জানা গেছে মাদকাশক্ত এবং অসাবধানতার কারণে জাহাজে আগুন লাগে। বাংলাদেশের লঞ্চে আগুন লাগার পেছনে নিশ্চিত ট্রাফিক আইন লঙ্ঘণ জড়িত। সেটা হতে পারে অসাবধানতা, হতে পারে সঠিক ভাবে যান্ত্রিক রক্ষণাবক্ষণ না করা বা অন্য কোন অজানা তথ্য জড়িত। পানি থাকা সত্ত্বেও পানিতে যেমন লঞ্চ পুড়ে মানুষ মরছে ঠিক রাষ্ট্রের দায়ীত্বে থাকা দায়ীত্বশীল কর্মী এবং যথেষ্ট রিসোর্স থাকা সত্ত্বেও তার সঠিক এবং গ্রহনযোগ্য নেতৃত্বের  অভাবে এ ধরণের দুর্ঘটনা এবং মূলত রাষ্ট্রই এর জন্য দায়ী।

রাষ্ট্রের প্রথম কাজ হচ্ছে নাগরিকের জান ও মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। শুধু শাসন-শোসন এবং ভাষণের মধ্যে সীমাবদ্ধ থেকে রাষ্ট্র পরিচালনা করাই যদি সরকারের কাজ হয় তাহলে শুধু ট্রাফিক নয় তিলে তিলে দেশ ধ্বংস হয়ে যাবে।
বাংলাদেশের সেতু, সড়ক, এবং পরিবহন মন্ত্রীদের অনুরোধ করছি সারাদিন বসে বসে বিরোধীদলের বদনাম না ছড়িয়ে বরং অনতিবিলম্বে উন্নত ট্রাফিক ব্যবস্থা, সুপরিসর রাস্তা নির্মাণ করার কাজে মনোযোগী হোন এবং দেশের সকলের প্রতি অনুরোধ আইন মেনে চলার আন্তরিকতা গড়ে তুলুন, প্লিজ।

লেখক: রহমান মৃধা, সাবেক পরিচালক
(প্রোডাকশন অ্যান্ড সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট),
ফাইজার, সুইডেন থেকে




ডেল্টা টাইমস/সিআর/আর

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
  এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ  
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. জাহাঙ্গীর আলম, নির্বাহী সম্পাদক: মো. আমিনুর রহমান
প্রকাশক কর্তৃক ৩৭/২ জামান টাওয়ার (লেভেল ১৪), পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত
এবং বিসমিল্লাহ প্রিন্টিং প্রেস ২১৯ ফকিরাপুল, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত।

ফোন: ০২-৪৭১২০৮৬১, ০২-৪৭১২০৮৬২, ই-মেইল : deltatimes24@gmail.com, deltatimes24@yahoo.com
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. জাহাঙ্গীর আলম, নির্বাহী সম্পাদক: মো. আমিনুর রহমান
প্রকাশক কর্তৃক ৩৭/২ জামান টাওয়ার (লেভেল ১৪), পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত
এবং বিসমিল্লাহ প্রিন্টিং প্রেস ২১৯ ফকিরাপুল, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত।
ফোন: ০২-৪৭১২০৮৬১, ০২-৪৭১২০৮৬২, ই-মেইল : deltatimes24@gmail.com, deltatimes24@yahoo.com