শনিবার ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ৮ আশ্বিন ১৪৩০

জ্ঞানার্জনের মধ্যেই বই উৎসবের সার্থকতা
রায়হান আহমেদ তপাদার
প্রকাশ: শুক্রবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১, ৪:০০ পিএম আপডেট: ৩১.১২.২০২১ ৪:০৩ পিএম | অনলাইন সংস্করণ

নতুন প্রযুক্তির যুগে সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বদলে যাচ্ছে মানুষের অভ্যাস। মানুষ হয়ে উঠছে বিনোদনমুখী। সময় কাটায় প্রযুক্তির বিভিন্ন উপায়ে। দিন দিন মানুষ আসক্ত হয়ে পড়ছে ল্যাপটপ, কম্পিউটার, স্মার্টফোনের প্রতি। এসব প্রযুক্তির মাধ্যম ফেসবুক, ম্যাসেঞ্জার, ইউটিউব ইত্যাদি ব্যবহার করে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় অতিবাহিত করে। কিন্ত আমাদের মনে রাখতে হবে,বই হচ্ছে মানুষের উত্তম বন্ধু। বই পড়লে জ্ঞান বাড়ে। মানুষের হৃদয়কে কলুষমুক্ত করে, আলোকিত করে তোলে। অজানাকে জানার উত্তম মাধ্যম হচ্ছে বই। বই পড়লে একদিকে আমাদের জ্ঞান প্রসারিত হবে, অন্যদিকে সময়ও কেটে যাবে। এছাড়া বই পড়লে মানসিক চাপ কমে যায়। বই সকল প্রকার অশান্তি-অস্বস্তি দূর করে মনকে সতেজ করে। আমরা নির্মল আনন্দ উপভোগ করতে পারি বই পড়ার মাধ্যমে। একটি ভালো বই মানুষের জীবনকে পরিবর্তন করতে সহায়তা করে। জীবনকে সুন্দরভাবে সাজানোর জন্য বই পড়ে আমরা অনেক কিছু শিখতে পারি। বই কেনা এবং পড়ার অভ্যাস আমাদের জন্য অতীব জরুরি। ঘরে বসেই এখন আমরা অনলাইনে অর্ডার করে অনেক বই কিনতে পারি। এছাড়া প্রতি বছর আমাদের দেশে বইমেলা হয়। কি চমৎকার বই উৎসব! নতুন বইয়ের ঘ্রাণে মনকে পাগল করে তুলে। আমরা আমাদের পছন্দের লেখকের প্রিয় বইগুলো সংগ্রহে রাখতে পারি। প্রবাদ আছে-বই কিনে কখনও কেউ দেউলিয়া হয় না। আমার আপনার বিশ্বস্ত বন্ধুও একসময় মেকি প্রমাণিত হয়; কিন্তু বই কখনও মেকি প্রমাণিত হয় না। বই পড়ে এক মুহূর্তেই বিশ্বের সব কিছু জানতে পারি। ঘুরে আসতে পারি কল্পনার রাজ্যে। ছেলেমেয়ে কোনো ভালো কাজে সফলতা লাভ করলে উপহার হিসেবে বই দেওয়া যেতে পারে। অনেক সময় আমরা জন্মদিন, বৌভাত, বিবাহবার্ষিকীসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে থাকি। উপহার হিসেবে নিয়ে যাই অনেক নামিদামি জিনিস। আমরা সেই দামি জিনিসের সঙ্গে একটি ভালো বই উপহার দিতে পারি। 

যখন কাউকে বই উপহার হিসেবে দেওয়া হবে অবশ্যই সযত্নে রেখে দেবে এবং একবারের জন্য হলেও চোখ বুলাবে। তাই আসুন আমরা নিজে বই পড়ি অন্যকে বই পড়তে উৎসাহিত করি। কম বেশি আমাদের সবারই জানা,বই শব্দটির উৎস 'বহি' থেকে। আরবি শব্দ 'ওহি' থেকে 'বহি'র আগমন। বই কি কেবলই পড়ার জন্য? নাকি নিত্যদিনের প্রিয় অভ্যাস? কখনও সে বালিশের পাশে, কখনও তাকের প্রিয় জায়গাটিতে। ব্রিটিশ লেখক সিডনি স্মিথের মতে,'গৃহের কোনো আসবাবপত্র বইয়ের চেয়ে সুন্দর নয়।'সত্যি কথা বলতে, আধুনিক এই জীবনযাপনে সবাই আজকাল ইন্টারনেটের জগতে হাবুডুবু খায়। সময় কোথায় বইয়ের পাতায় বুঁদ হওয়ার। দিনে দিনে ই-বুক বা অডিওবুকের প্রসার ঘটছে। নতুন প্রজন্ম ছাপার জগৎ থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে ক্রমশ। অনেকেই পড়াশোনা করে নিচ্ছেন ইন্টারনেটে। কিন্তু কাগজের বইয়ের যে ঘ্রাণ, তৃপ্তি' সেটা অন্যকিছুতে পাওয়া যায় না বই-দুই অক্ষরের ছোট্ট শব্দ হলেও এর ওজন বেশ ভারি। মানসিক শান্তি নিয়ে বেঁচে থাকার জন্য আমাদের জীবনে বন্ধু দরকার। বন্ধু ছাড়া জীবন কিছুটা অপূর্ণই বটে। আর তাই হয়তো আমরা সবসময় বন্ধুর সন্ধান করি। বাঙালি লেখিকা প্রতিভা বসু বলেছেন- 'বই হচ্ছে শ্রেষ্ঠ আত্মীয়, যার সঙ্গে কোনোদিন ঝগড়া হয় না, মনোমালিন্য হয় না।' তাহলে বন্ধু হিসেবে বই নয় কেন?বই এমন একটি বন্ধু, যার দ্বারা একজন মানুষের জীবন আলোকিত হয়। আমাদের জীবনে শিক্ষার আলো, সভ্যতা, নৈতিকতা, আদর্শ, সাহিত্য, ইতিহাস, ঐতিহ্য, কৃষ্টি, সংস্কৃতিসহ প্রায় সব কিছুর বিকাশ ঘটায় বই। বই মানুষকে জ্ঞানী করে। তাই জীবনে বইয়ের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।আমাদের প্রত্যেকের জীবনে দুঃখ-কষ্ট, অস্থিরতা, একঘেয়েমিসহ নানান মানসিক সমস্যা থাকে। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় বলেছেন-'বই পড়াকে যথার্থ হিসেবে যে সঙ্গী করে নিতে পারে, তার জীবনের দুঃখ-কষ্টের বোঝা অনেকটা কমে যায়।'বইকে সব সময়ের ভালো বন্ধু বলা হয়। 

বিশ্বাস না হলে নিজেই যাচাই করে দেখুন। পছন্দের বই নিয়ে বসে যান, দেখবেন একঘেয়ে সময় কী সুন্দর কেটে যাচ্ছে! বই পড়ে আসলে কী হয়? এমন প্রশ্ন আসতেই পারে। ফরাসি দার্শনিক দেকার্ত বলেছেন-'ভালো বই পড়া মানে গত শতাব্দীর সেরা মানুষের সঙ্গে কথা বলা। 

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন-'বই হচ্ছে অতীত আর বর্তমানের মধ্যে বেঁধে দেয়া সাঁকো।' আর পল্লীকবি জসীম উদ্‌দীন বলেছেন-বই আপনাকে অতীত বর্তমান ভবিষ্যৎ সকল দিকে নিয়ে যেতে পারে।পৃথিবীর যাবতীয় জ্ঞানের কথা লুকিয়ে আছে বইয়ের মধ্যে। সুতরাং নিজেকে জানতে হলে, পৃথিবীকে জানতে হলে বই পড়তে হবে। মানুষ আসলে দুটি উপায়ে শিক্ষা গ্রহণ করে। একটি হচ্ছে পড়ার মাধ্যমে আর আরেকটি হচ্ছে নিজের চেয়ে আধুনিক কোনো মানুষের সঙ্গে মেশার মাধ্যমে।বই মানব জীবনের উৎকৃষ্ট সঙ্গী। আমরা বাস্তব জীবনে অনেক সময় বিপদাপন্ন হই। বিপদ আসে বাইরে থেকে, বিপদ আসে মনের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব থেকেও। আর সেই বিপদ মুহূর্তে অন্য মানুষের কাছে পরামর্শ নিতে গেলে অনেক সময় বিভ্রান্ত হয়ে থাকি। কিন্তু প্রকৃত বই বিপদের সময় যথার্থ বন্ধুর মতো আমাদের সঠিক পরামর্শ দান করে। কোনো কোনো বই পাঠককে হাসাতে পারে, আনন্দ দিতে পারে এবং কোনো কোনো বই জ্ঞান ও নতুন তথ্য দিতে পারে। তাই প্রত্যেককেই বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলা উচিত।বইয়ের সান্নিধ্যে আসা মানেই মহামনীষীদের সান্নিধ্য লাভ। দার্শনিক ও নাট্যকার বার্ট্রান্ড রাসেল আমাদের জীবনের রূঢ় বাস্তবতা ও জটিলতা থেকে মুক্তি পেতে বইয়ের মাঝে ডুব দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। বইয়ের নির্দেশনায় মানুষ খুঁজে পায় সংগতি, সামঞ্জস্য ও এগিয়ে যাওয়ার রাস্তা। সাধারণত ‘বন্ধু’ শব্দটি কতই মধুর! বন্ধুত্ব নৈকট্যের পরিচয়বাহী, সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি, ভালোবাসা ও হৃদ্যতা এবং পারস্পরিক সুসম্পর্ক ও মানসিক বন্ধনের প্রতীক। বন্ধুত্বের ফাটল বেদনাদায়ক হলেও অস্বাভাবিক নয়; যখন তখন লক্ষণীয়। অনেকে আজ বন্ধু কাল শত্রু। বন্ধু হয়ে বেঈমানি আর বিশ্বাসঘাতকতা কারো কাম্য নয়। 

কিন্তু অপ্রত্যাশিত হলেও অহরহ ঘটছে। শুধু বন্ধু কেন পারস্পরিক স্বার্থের দ্বন্দ্বে বাবা-মা, ভাইবোন, নিকট আত্মীয়স্বজন ও পাড়া প্রতিবেশীদের মধ্যে সৃষ্টি হচ্ছে দূরত্ব। ছড়িয়ে পড়ছে হিংসা হানাহানি। পিপীলিকা যেমন বিপদে পানিতে পতিত গাছের পাতাকে বাঁচার অবলম্বন করে নেয়, তেমনি মানুষও বিপদ হতে বাঁচতে চায়, একটু আশ্রয় খোঁজে। প্রয়োজন হয় ভালো বন্ধুর। রক্ত মাংসে গড়া মানুষকে যেখানে বন্ধু হিসেবে ভেবেও সন্দেহ হয়, বিশ্বাস-অবিশ্বাসের দোলাচল কাজ করে, সেখানে মানুষের প্রকৃত বন্ধু হতে পারে বই। আর অসৎ বন্ধুর সংস্পর্শে জীবন হয়ে উঠতে পারে বিভীষিকাময়। তাই বই হতে পারে প্রকৃত বন্ধু।এখন বিনোদনের কোনো অভাব নেই। প্রযুক্তির বদৌলতে একেবারে দুধের শিশুটিও ইউটিউবে কার্টুন দেখতে দেখতে তার দুধের বোতল মুখে দেয়। স্মার্টফোন, নোট প্যাড, ল্যাপটপ আর টেলিভিশনের স্ক্রিনের বিনোদন যত তীব্রই হোক না কেন, বই পড়ার সঙ্গে তার কোনো তুলনা নেই।বই পড়া হচ্ছে মানুষের মস্তিষ্কের একটি অসাধারণ প্রক্রিয়া, যেটি আমাদের একটা পূর্ণাঙ্গ রূপ দেয়। বই পড়ার মাধ্যমে আমরা পরিচিত হই নতুন নতুন বিষয়ের সাথে। আর এই বই বিষয়ে পল্লীকবি জসীমউদ্দীন বলেছেন,‘বই জ্ঞানের প্রতীক, বই আনন্দের প্রতীক।’জ্ঞান আর আনন্দ ছাড়া মানুষের জীবন নিশ্চল হয়ে পড়ে। জীবনকে সুন্দরভাবে বিকশিত করতে হলে, সুবাসিত করতে হলে জ্ঞানার্জন করতে হবে। আর জ্ঞানার্জনের জন্য বই পড়ার কোনো বিকল্প নেই।বই পড়ার প্রতি আমাদের চাপ নেই বললেই চলে, যতটুকু আছে ততটুকু নির্ধারিত পাঠ্যবই। এর বাইরে যেতে নারাজ। একসময় বাবা-মা পাঠ্যবইয়ের বাইরে অন্য বই পড়তে নিষেধ করতেন। এখন ধারণা অনেকটা পাল্টেছে। বই পড়ার জন্য প্রয়োজন মানসিকতা, বই থেকে উপকার পাওয়ার তীব্র আকাক্ষা। দরিদ্র্য বই না কেনার কারণ হতে পারে, কিন্তু বই না পড়ার কোনো কারণ নয়। 
সূর্যের আলোতে যেরূপ পৃথিবীর সকল কিছুই ভাস্বর হয়ে ওঠে, তেমনি জ্ঞানের আলোতে জীবনের সব অন্ধকার আলোকোদ্ভাসিত হয়ে ওঠে।’মূলত ভালো বই মানব জীবনকে সুন্দর ও মহৎ করে তোলে। মানুষের মনে জাগিয়ে দেয় মানবতাবোধ। যুগ যুগ ধরে যে সত্য ও সুন্দরের সাধনা তা এনে দিয়েছে বই। বই দৃষ্টিকে করেছে উদার, মনকে করেছে উন্নত; হতাশা ও বিষাদ থেকেও দিয়েছে মুক্তি। শরৎচন্দ্র চট্টপাধ্যায়ের ভাষায়, বই পড়াকে যে যথার্থ হিসেবে নিতে পারে, সংসারের দুঃখ কষ্টের বোঝা তার অনেকখানি কমে যায়।আলোকিত মানুষ হতে হলে বই পড়ার কোনো বিকল্প নেই। তাই শুধু পাঠ্যবই পড়ে আলোকিত হওয়া যায় না। আলোকিত হওয়া যায় বিখ্যাত লেখকদের বিখ্যাত বই পড়ে এবং আনন্দের, গল্পের ও কবিতার বই পড়ে। তাই বড় হওয়ার জন্য চাই বড়র সংস্পর্শ। শ্রেষ্ঠ বইগুলো পড়তে পারলে চেতনা জগৎকে বড় করে তোলা যায়। এ জন্যেই বইয়ের কাছে যেতে হবে। বই নিয়ে মনীষীদের বহু উক্তি আছে। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বইকে ‘অতীত ও ভবিষ্যতের মধ্যে সাঁকো’ বলে বর্ণনা করেছেন। তার উক্তিটি হচ্ছে ‘মানুষ বই নিয়ে অতীত ও ভবিষ্যতের মধ্যে সাঁকো বেঁধে দিয়েছে। চার্লস ল্যাম্বের উক্তি হচ্ছে-বই পড়তে যে ভালোবাসে, তার শত্রু কম।বইকে সুন্দরের প্রতীকরূপে উল্লেখ করে সিডনি স্মিথের উক্তি,গৃহের কোনো আবসাবপত্রই বইয়ের মতো সুন্দর নয়।বই না পড়লে মানুষের ভেতর মানবিকতাবোধ, দায়িত্ববোধ, মমত্ববোধ জন্ম নেয় না। তৈরি হয় না আবেগ অনুভূতির মতো নিখাদ নিঃস্বার্থ ভালোবাসা। সৃষ্টি হয় না দয়া মায়া আর সহযোগিতার মনোভাব। একমাত্র বই-ই পারে মানুষের ভেতর ভালোবাসা তৈরি করতে। মানুষকে প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে বই পড়ার বিকল্প নেই। বইয়ের ছোঁয়ায় মানুষের জীবন আমূল পালটে যেতে বাধ্য।বন্ধু বন্ধুকে ভুলে যেতে পারে। প্রিয়তমা বিগত দিনের সম্পর্ককে অস্বীকার করতে পারে। কিন্তু বই কখনো তার পাঠককে ভুলে যায় না। বই তার পাঠককে ভুল পথে পরিচালিত করে না। 

বই সব সময় একজন মানুষকে সঠিক পথেই পরিচালিত করে। সঠিক পথের পতাকাবাহী হয় বই-ই। বই পাঠ মানুষকে সত্য কথা বলতে, সত্য পথে চলতে, মানবতার কল্যাণে কাজ করতে অনুপ্রাণিত করে। বই সুখের সময় মানুষের পাশে থাকে, দুঃখের সময় মনোবল বাড়াতে সাহায্য করে।এ দিনের কথা সেদিনের কাছে পৌঁছে দেবার উত্কৃষ্ট পন্থা হলো বই। বরীন্দ্রনাথের কথা এ ক্ষেত্রে স্মরণ করা যেতে পারে-শব্দকে নিঃশব্দের মধ্যে বেঁধে, সংগীতকে হূদয়ের আশাকে, জাগ্রত আত্মার আনন্দধ্বনিকে, আকাশের দৈববাণীকে’ কাগজে মুড়ে পাঠকের করকমলে পৌঁছিয়ে ‘মানুষ অতীতকে বর্তমানে বন্দী’ করেছে আর ‘অতলস্পর্শ কাল সমুদ্রের ওপর সাঁকো বেঁধে দিয়েছে। আমাদের বই পড়ার অভ্যাস এমনিতেই কম। এখন আরো কমে গেছে। এ বিষয়টির প্রতি বাবা-মাদের বিশেষ নজর দিতে হবে। আমাদের সন্তানদের বেশি বেশি বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। কাগজের বইয়ের পাশাপাশি এখন ই-বুক জনপ্রিয়। ই-বুক বা ডিজিটাল ভার্সনে বই পড়াও উৎসাহিত করুন। সৃজনশীল লেখকদের বই খুঁজে খুঁজে শিশুদের পড়তে উৎসাহ দিন। বই পড়ার অভ্যাসটা মানুষের এক দুই দিনে হয় না। কেউ আছে ছোটবেলা থেকেই এই অভ্যাস লালন করে; কেউ আছে বড় হবার পর এক দুইটা ভালো বই পড়ার পর বইয়ের প্রতি ভালোবাসা জন্মানোর ফলে একে অভ্যাস হিসেবে লালন করে। তবে অভ্যাসটা যখন থেকেই গড়ে উঠুক না কেন, সবসময় ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে। অন্তত প্রতি মাসে একটা ভালো বই পড়ার চেষ্টা করতে হবে। একজন মানুষের সুন্দর ব্যক্তিত্ব গড়ে উঠে ভালো বই পড়ার মাধ্যমে। তাই জীবনকে আলোকিত করতে হলে, মানবসভ্যতার সাথে পরিচয় ঘটাতে হলে সর্বোপরি অশালীন, অশ্লীলতা ও কুমানসিক মন্ত্রণা থেকে বাঁচতে হলে অবশ্য বই পড়তে হবে এবং এর বিকল্পও নাই। তাই এই প্রজন্মের সকলকে বইপ্রেমী হতে হবে। বইয়ের মাধ্যমে আলোকিত জীবন গড়তে সচেষ্ট হতে হবে। তবেই গড়ে উঠবে সুন্দর-স্বার্থক পৃথিবী।

লেখক: গবেষক ও কলামিস্ট
raihan567@yahoo.com






ডেল্টা টাইমস্/রায়হান আহমেদ তপাদার/সিআর/আরকে

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
  এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ  
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. জাহাঙ্গীর আলম, নির্বাহী সম্পাদক: মো. আমিনুর রহমান
প্রকাশক কর্তৃক ৩৭/২ জামান টাওয়ার (লেভেল ১৪), পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত
এবং বিসমিল্লাহ প্রিন্টিং প্রেস ২১৯ ফকিরাপুল, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত।

ফোন: ০২-৪৭১২০৮৬১, ০২-৪৭১২০৮৬২, ই-মেইল : deltatimes24@gmail.com, deltatimes24@yahoo.com
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. জাহাঙ্গীর আলম, নির্বাহী সম্পাদক: মো. আমিনুর রহমান
প্রকাশক কর্তৃক ৩৭/২ জামান টাওয়ার (লেভেল ১৪), পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত
এবং বিসমিল্লাহ প্রিন্টিং প্রেস ২১৯ ফকিরাপুল, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত।
ফোন: ০২-৪৭১২০৮৬১, ০২-৪৭১২০৮৬২, ই-মেইল : deltatimes24@gmail.com, deltatimes24@yahoo.com