কয়লার প্রথম চালান নিয়ে আজ মোংলায় আসছে”এমভি আকিজ হেরিটেজ”
মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি :
|
![]() কয়লার প্রথম চালান নিয়ে আজ মোংলায় আসছে”এমভি আকিজ হেরিটেজ” বাণিজ্যিক জাহাজটির স্থানীয় শিপিং এজেন্ট টগি শিপিং এন্ড লজিষ্টিক এর ম্যানেজার খন্দকার রিয়াজুল হক জানান, রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানী করা কয়লার প্রথম চালানটি শুক্রবার মোংলা বন্দরে আসবে। এরপর বন্দরের হরবারিয়া এলাকা থেকে লাইটার যোগে তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে পৌঁছানো হবে। তিনি আরো জানান, এই কয়লা দিয়েই তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি আনুষ্ঠানিক উৎপাদন শুরু করবে। মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ মুসা জানান, বিশ্ব অর্থনৈকিত টালমাটাল পরিস্থিতিতে মোংলা বন্দরে জাহাজের আগমন স্বাভাবিক রয়েছে। নতুন নতুন পণ্যের জাহাজ ভিড়ছে মোংলা বন্দরে। তারই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার মোংলা বন্দরে আসবে রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৩৬ হাজার মেট্রিক টন কয়লা এমভি আকিজ হেরিটেজ নামক একটি জাহাজ। আর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৫ হাজার ৬০১ মেট্রিক টন মেশিনারিজ পণ্য নিয়ে এমভি ড্রাগনবল নামক আরো একটি জাহাজ। বন্দর চেয়ারম্যান জানান, তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কয়লা খালাসে মোংলা বন্দর ব্যবহার করার ফলে এই বন্দরের আয় অনেক গুণ বেড়ে যাবে। দেশের ক্রমবর্ধমান বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে মোংলা-খুলনা মহাসড়কের পাশে রামপাল উপজেলার সাপমারী-কাটাখালী ও কৈর্গদাশকাঠী এলাকায় ১ হাজার ৮৩৪ একর জমির উপর কয়লা ভিত্তিক রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। সেই লক্ষ্যে ২০১০ সালের জানুয়ারি মাসে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে একটি সমঝোতা সই সাক্ষর হয়। এরপর ২০১২ সালে ২৯ জানুয়ারি দুই দেশের রাষ্ট্রায়াত্ত্ব কোম্পানী বিপিডিবি ও এনপিপিসি যৌথ কোম্পানী গঠন করে। ২০১৩ সালে ১ আগস্ট বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র পায়। ২০১৫ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি দরপত্র আহবান করা হয়। ২০১৬ সালের ১২ জুলাই চুক্তি সাক্ষর হয়। ইকুইটি বিনিয়োগ সমানভাবে ধরে প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য গঠন করা হয় বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানী প্রাইভেট লিমিটেড নামে। ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতা সম্পূর্ণ দুটি ইউনিট বিদ্যুৎকেন্দ্রটির নির্মাণ প্রক্রিয়া শুরু হয় ২০১৭ সালের ২৪ এপ্রিল। বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির প্রথম ইউনিটের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। আগামী অক্টোবরে উৎপাদনে আসবে এবং জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে। আর দ্বিতীয় ইউনিটটি ২০২৩ সালে উৎপাদনে আসার কথা রয়েছে। ডেল্টা টাইমস্/আলী আজীম/সিআর/এমই
|
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |