ওয়ান টাইম প্লাস্টিক বন্ধে ক্ষতিগ্রস্ত হবে ছয় হাজার প্রতিষ্ঠান : বিপিজিএমইএ
নিজস্ব প্রতিবেদক
|
![]() ওয়ান টাইম প্লাস্টিক বন্ধে ক্ষতিগ্রস্ত হবে ছয় হাজার প্রতিষ্ঠান : বিপিজিএমইএ বাংলাদেশ প্লাস্টিক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশন (বিপিজিএমইএ) রোববার (১২ জানুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য প্রকাশ করে। তারা গ্যাসের দাম বৃদ্ধি ও একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক বন্ধের কারণে শিল্প খাতে ক্ষতির আশঙ্কা প্রকাশ করেছে। বিপিজিএমইএ সভাপতি সামিম আহমেদ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘‘গত বছর ১৭টি একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক পণ্য নিষিদ্ধ করার গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। সরকারের এই প্রচেষ্টার ফলে প্লাস্টিক খাতের ব্যবসা-বাণিজ্য এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট খাতের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘এ আইনের কারণে শিল্প বিকাশে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে এবং বাজারে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে।’’ ২০০২ সালে পরিবেশ মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে প্লাস্টিক শপিং ব্যাগ নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়। এর ফলে বিপিজিএমইএর সদস্য ৩০০ বড় কারখানা বন্ধ হয়ে যায় এবং শ্রমিকরা চাকরি হারান। তবে তিনি উল্লেখ করেন, ‘‘প্লাস্টিক শপিং ব্যাগ নিষিদ্ধ করার উদ্দেশ্য বাস্তবায়িত হয়নি এবং বিকল্প সাশ্রয়ী পণ্য উৎপাদন সম্ভব হয়নি।’’ এছাড়া, সামিম আহমেদ বলেন, ‘‘বিগত সরকারের সময় পাটের ব্যাগ ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়। তবে পাটের ব্যাগের উচ্চ মূল্য ও স্বল্প সরবরাহের কারণে বাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।’’ সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিপিজিএমইএ সাবেক সভাপতি এ এস এম কামাল উদ্দিন,সাবেক সভাপতি ফেরদৌস ওয়াহেদ,সহ সভাপতি কে এম ইকবাল হোসেন, সহ সভাপতি কাজী আনোয়ারুল হক,সিনিয়র সহ সভাপতি গিয়াসউদ্দিন আহমেদ, পরিচালক মোসাদ্দেকুর রহমান নান্নু,পরিচালক মো.শাহজাহান,বিপিজিএমইএ পরিচালক এটিএম সাঈদুর রহমান বুলবুল,মো.এনামুল হক, পরিচালক আমান উল্লাহ সংবাদ সম্মেলনে বিপিজিএমইএ একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক নিষিদ্ধ না করে বিকল্প কিছু প্রস্তাবনা দিয়েছে। এগুলো হলো: ১.প্লাস্টিক পুনঃচক্রায়ন: প্লাস্টিক বর্জ্য পুনঃচক্রায়নের মাধ্যমে বৈশ্বিক উষ্ণতা কমানো এবং মহাসাগরীয় প্লাস্টিক দূষণ রোধ করা। ২.অর্থনৈতিক প্রভাব বিশ্লেষণ: বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, শিল্প মন্ত্রণালয়, বিডা, এফবিসিসিআইসহ অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া। ৩.ইউএনইএ রেজুলেশন অনুসরণ: ২০৩০ সাল পর্যন্ত একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করার বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ। ৪.ভবিষ্যতের প্রভাব: ১৭টি পণ্য নিষিদ্ধ হলে জিডিপি কমে যাবে এবং বৈদেশিক বিনিয়োগ আসবে না।
উপরন্তু যেসব বিদেশি কোম্পানির বিনিয়োগ আছে, তারা চলে যেতে বাধ্য হবে। কারণ
কোনো পণ্য প্যাকেজিং ছাড়া বাজারজাত সম্ভব নয়। এ বিষয়ে বিবেচনা করতে হবে। ডেল্টা টাইমস/সিআর |
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |