দেড় যুগ পেরিয়েও অরক্ষিত কুবি ক্যাম্পাস
আকাশ আল মামুন, কুবি:
|
![]() দেড় যুগ পেরিয়েও অরক্ষিত কুবি ক্যাম্পাস বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পূর্ণ ক্যাম্পাসে সীমানা প্রাচীরের অভাবের কারণে নিরাপত্তা এবং জীববৈচিত্র্য মারাত্মক ঝুঁকির মুখে রয়েছে বলে মনে করছেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। তাদের মতে, সীমানা প্রাচীর নির্মাণ সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। তবে, বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার ১৮ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো সীমানা প্রাচীর নির্মাণের কাজ শেষ হয়নি। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ২৪০০ ফুট এলাকা সীমানা প্রাচীরবিহীন অবস্থায় রয়েছে। সম্প্রতি সীমানা প্রাচীর নির্মাণের জন্য বাজেট পেলেও তা দিয়ে মাত্র এক চতুর্থাংশ নির্মাণ করা যাবে বলে ধারণা করছে সংশ্লিষ্টরা। বর্তমান সীমানাহীন ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের কারণে ছিনতাই, চুরি এবং মাদকের আড্ডা নিয়মিত ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক আব্দুল হাকিমের ভাষ্য, ক্যাম্পাসের নিরাপত্তার বিষয়টি আমাদের নজরে আছে। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি ক্যাম্পাসকে নিরাপদ রাখতে। প্রকৌশল দপ্তরের তথ্যমতে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সময়ে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর কর্তৃক প্রশাসনিক ভবনের পিছন থেকে বিজ্ঞান অনুষদ পর্যন্ত সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করা হয়েছিলো। এছাড়াও বিপ্লবী সুনীতি শান্তি হল, কাজী নজরুল ইসলাম হল ও বিজয় ২৪ হলের পুরাতন ব্লকের বাউন্ডারি ওয়াল করার ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণ পাশের প্রাচীর নির্মাণ হয়ে যায়। এরপরে শিক্ষক ডরমিটরি থেকে ক্যাম্পাসের উত্তর পশ্চিম পাশ পর্যন্ত কোন সীমানা প্রাচীর নেই। যার পরিমাপ ২২০০-২৪০০ ফিট বলে জানিয়েছে প্রকৌশল দপ্তর। সরেজমিনে দেখা গেছে, সীমানা বোঝার জন্য কয়েক ফিট পরপর একটি করে সিমেন্টের পোল বসানো হয়েছে। এছাড়াও বিপ্লবী সুনীতি শান্তি হলো, কাজী নজরুল ইসলাম হল ও বিজয় ২৪ হলের পুরাতন বাউন্ডারি ওয়াল করার ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণ পাশের প্রাচীর নির্মাণ হয়ে যায়। এরপরে শিক্ষক ডরমিটরি থেকে ক্যাম্পাসের উত্তর পশ্চিম পাশ পর্যন্ত কোনো সীমানা প্রাচীর নেই। যার পরিমাপ ২২০০-২৪০০ ফিট বলে জানিয়েছে প্রকৌশল দপ্তর। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তরে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) থেকে ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের বাজেটে ভৌত অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য ১ কোটি ১৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। বরাদ্দের প্রায় ১ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর নির্মাণে। সীমানা প্রাচীরের বিষয়ল পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তরের পরিচালক দেলোয়ার হোসেনের সাথে কথা হলে তিনি বকেন, “ভৌত অবকাঠামো নির্মাণ ও মেরামতের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আবদুল হাকিম স্যারকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি করা হয়েছে। এছাড়াও এই বিষয়ে পরিদর্শন ও রিপোর্ট প্রদানের জন্য প্রকৌশল দপ্তরের তিনজন প্রকৌশলী নিয়ে একটি কমিটি করা হয়েছে। কমিটির সদস্যরা হলেন আব্দুল লতিফ, মিজানুর রহমান এবং সবুজ বড়ুয়া। বরাদ্দকৃত অর্থে কতটুকু সীমানা প্রাচীর নির্মাণ সম্ভব এই বিষয়ে কথা হয় প্রকৌশল দপ্তরের তত্ত্বাবধায়ক আব্দুল লতিফের সাথে। তিনি জানান, “ আশা করছি এক কোটি টাকা দিয়ে ৫০০ ফিট সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করতে পারবো। যেটা মূল পরিমাপের এক চতুর্থাংশ। আরসিসি পিলার ও কলাম দিয়ে ইটের দেওয়াল হবে। যেহেতু পাহাড়ি জায়গা তাই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দ্বিগুণ উচ্চতার দেওয়াল হবে। ফলে খরচটা বেশি যাবে।” বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব অর্থায়নে সম্পূর্ণ সীমানা প্রাচীর নির্মাণ হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে কুবির প্রক্টর অধ্যাপক আবদুল হাকিম বলেন, ইউজিসি থেকে যে খাতের জন্য বাজেট আসে ওই খাতেই খরচ করতে হয়। তাই আমরা অন্য কোন খাতের বাজেট সীমানা প্রাচীরে দেওয়া সম্ভব নয় । তবে আমরা আগামী অর্থ বছরে ইউজিসির কাছে এই খাতের জন্য আবারো বাজেট চাইবো। ডেল্টা টাইমস/সিআর/এমই
|
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |