গোবিন্দগঞ্জে সাঁওতালদের জমি দখল ও অগ্নিসংযোগের দোষীদের শাস্তি দাবি
নিজস্ব প্রতিবেদক:
|
![]() গোবিন্দগঞ্জে সাঁওতালদের জমি দখল ও অগ্নিসংযোগের দোষীদের শাস্তি দাবি মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। এএলআরডির প্রোগ্রাম ম্যানেজার রফিক আহমেদ সিরাজী জানান, ৩ জানুয়ারি সকালে রাজাহার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম ও তার লোকজন রাজাবিরাট এলাকায় সাঁওতালদের ভোগদখলীয় জমিতে মাটি ভরাট শুরু করলে স্থানীয় সাঁওতাল যুবকরা বাধা দেন। এ সময় চেয়ারম্যানের লোকজন নেকোলাস মুর্মুকে মারধর করেন। প্রতিবাদ করতে গেলে ব্রিটিশ সরেনকেও হুমকি দেওয়া হয় এবং তার মা ফিলোমিনা হাঁসদাকে মারধর করে গুরুতর আহত করা হয়। বর্তমানে তিনি বগুড়ার জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। রাত ১১টার দিকে ব্রিটিশ সরেনের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এতে ঘরের আসবাবপত্র ও অন্যান্য সম্পদ পুড়ে যায়। রফিক আহমেদ সিরাজী বলেন, ব্রিটিশ সরেনদের পরিবারের ৩ একর ৭২ শতক জমি সি এস খতিয়ান অনুযায়ী তাদের দখলে ছিল। কেরু মণ্ডল নামে একজন বাঙালি ভুয়া দলিলের মাধ্যমে জমির মালিকানা দাবি করে। আদালতের রায়ে সাঁওতালরা তাদের জমির মালিকানা পুনরুদ্ধার করলেও জমি ফিরে পাননি। পরবর্তীতে কেরু মণ্ডল তার নামে থাকা জমি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের কাছে বিক্রি করে দেন। বর্তমানে চেয়ারম্যান সেই জমির মালিকানা দাবি করছেন। বক্তারা এ ঘটনার ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার পাশাপাশি সাঁওতালদের জমি দখলমুক্ত করার দাবি জানান। এএলআরডির নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা, ব্লাস্টের আইন উপদেষ্টা এস এম রেজাউল করিম, অধ্যাপক ড. রোবায়েত ফেরদৌসসহ অন্যান্য বক্তারা বলেন, আদিবাসীদের ভূমি অধিকার রক্ষায় প্রশাসনকে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় বিএনপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে। সংবাদ সম্মেলনের বক্তারা বলেন, এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। একইসঙ্গে সাঁওতালদের ভূমি দখলমুক্ত করে তাদের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান তারা। ডেল্টা টাইমস/সিআর
|
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |