বহুমুখী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বহুমুখী অনিয়ম
আবদুস সবুর, বগুড়া:
|
বহুমুখী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বহুমুখী অনিয়ম জানাগেছে, ১৯৬৬ সালে স্বাধীনতার আগেই প্রতিষ্ঠিত হয় পাকুল্লা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়। দীর্ঘদিন ধরে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তার সুনাম অটুট রেখেছিল। কিন্তু সেই সুনাম ম্লান হতে থাকে ১৯৯৫ সালে প্রধান শিক্ষক মো. নিয়ামুল কবিরের দায়িত্ব নেওয়ার পর। প্রায় ৩০ বছর ধরে তিনি এই বিদ্যালয়ে শিক্ষকতার আড়ালে গড়ে তুলেছেন নিজের ক্ষমতার বলয়, যার কারণে শিক্ষার মান নেমে এসেছে তলানিতে। প্রধান শিক্ষক মো. নিয়ামুল কবিরের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের বিভিন্ন ফান্ড থেকে অর্থ লোপাট, বিদ্যালয়ের গাছ গোপনে কেটে বিক্রি, এবং বিদ্যালয়ের ঘর দোকান হিসেবে ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এই বিদ্যালয়ে তার ৩০ বছরের চাকরির সময়ে তিনি ব্যক্তিগত স্বার্থে প্রতিষ্ঠানের সম্পদ ব্যবহার করেছেন বলে অভিযোগ করেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। সাংবাদিকের উপস্থিতি টের পেয়ে প্রতিষ্ঠান থেকে পালিয়ে যান প্রধান শিক্ষক। বিকেল ৩টা পর্যন্ত অপেক্ষা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। অভিভাবকদের অভিযোগ, প্রধান শিক্ষক দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই শিক্ষার মান দিন দিন খারাপ হচ্ছে। ভালো ফলাফল অর্জন করা এখন দুঃস্বপ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। শিক্ষার্থীরা জানায়, বিদ্যালয়ের ফান্ড থেকে আসা টাকার সঠিক ব্যবহার হয় না। বিদ্যালয়ের একটি ঘর দোকান হিসেবে ভাড়া দেওয়া হলেও তার ভাড়া ও সিকিউরিটির অর্থ ফান্ডে জমা হয় না। এছাড়া ছামছুন নাহার নামে একজন গণিত শিক্ষক রয়েছেন, যিনি নিয়মিত ক্লাস নেন না। তার এই অনিয়ম নিয়ে শিক্ষার্থীরা আগেও আন্দোলন করেছিল। কিছু শিক্ষক জানান, বিদ্যালয়ের অনিয়ম ও দুর্নীতির শুরু প্রধান শিক্ষক নিয়ামুল কবিরের হাতে। তার ঘনিষ্ঠ সহকারী শিক্ষক ছামছুন নাহারও নিয়মিত অনুপস্থিত। হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করলেও কার্যত ক্লাসে যোগ দেন না। বিদ্যালয়ের দপ্তরি মো. হারুনুর রশীদ জানান, “স্কুলের অনেক গাছ কাটা হয়েছে, কিন্তু সেই গাছ কোথায় গেছে তা আমার জানা নেই। প্রধান শিক্ষক আমাকে কোনো রশিদ জমা দেননি।” প্রধান শিক্ষক মো. নিয়ামুল কবির মুঠোফোনে জানান, “আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। এসব অভিযোগ মিথ্যা এবং বানোয়াট।” এ বিষয়ে সোনাতলা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শেখ নজমুল ইসলাম বলেন, “আমি এ বিষয়ে কিছু জানি না। তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” ডেল্টা টাইমস/সবুর/সিআর |
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |