কুবিতে গ্রাফিতি অঙ্কনের মাধ্যমে সাংস্কৃতিক পূণর্জাগরণ করছে পাটাতন
কুবি প্রতিনিধি
|
![]() কুবিতে গ্রাফিতি অঙ্কনের মাধ্যমে সাংস্কৃতিক পূণর্জাগরণ করছে পাটাতন প্রতিটি গ্রাফিতিতে উঠে আসছে জুলাই অভ্যূত্থানের চেতনা, গণতান্ত্রিক অধিকার, শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ এবং ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধের বার্তা। এক জায়গায় দেখা যাচ্ছে শৃঙ্খল ভাঙার প্রতীকী চিত্র, অন্য কোথাও ফুটে উঠেছে মানুষের মুক্তির আকাক্সক্ষা। পাটাতনের এই উদ্যোগ সম্পর্কে সংগঠনের সভাপতি মাসুম বিল্লাহ বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি, শিল্প শুধু রঙ-তুলির আঁচড়ে সীমাবদ্ধ নয় , এটি একটি শক্তিশালী হাতিয়ার। ইতিহাসের বিভিন্ন সময়ে গ্রাফিতি বিদ্রোহের প্রতিচ্ছবি হয়ে উঠেছে। আমরা চাই, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এই চিত্রগুলোর মধ্য দিয়ে নিজেদের মধ্যে প্রতিবাদী চেতনা লালন করুক, ইতিহাসকে মনে রাখুক এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হোক।” বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক ইতিহাসে জুলাই অভ্যূত্থান এক অনন্য অধ্যায়। এটি নিছক একটি ঘটনা নয়, বরং গণতন্ত্র, মৌলিক অধিকার ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার পথে এক বলিষ্ঠ পদক্ষেপ। বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে এই চেতনার পুনর্জাগরণ অত্যন্ত জরুরি। গ্রাফিতি চিত্রের মাধ্যমে নতুন প্রজন্ম ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে ন্যায়বিচার ও সমতার লড়াইয়ে নিজেদের সম্পৃক্ত করতে প্রয়াস চালাবে। এই গ্রাফিতিগুলো ইতোমধ্যে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। কেউ কেউ এটিকে “সাংস্কৃতিক পূণর্জাগরণ” বলে আখ্যা দিচ্ছেন, আবার কেউ দেখছেন এটি "শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদী মনোভাব গঠনে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ" হিসেবে। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাটাতন যা করছে, তা নিছক গ্রাফিতি অঙ্কন নয়; এটি একটি চেতনার পুনর্জাগরণ, ইতিহাসের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভবিষ্যতের জন্য এক নতুন দৃষ্টিভঙ্গি। ডেল্টা টাইমস/আকাশ আল মামুন/সিআর
|
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |