‘শেখ হাসিনাই ৩২ নম্বর গুঁড়িয়ে দেওয়ার উসকানি দেন’
ডেল্টা টাইমস ডেস্ক:
|
![]() আ স ম আব্দুর রব বৃহস্পতিবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় জেএসডির দপ্তর সম্পাদক কামরুল আহসান অপু প্রেরিত এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। আ স ম রব বলেন, ৩২ নম্বর বাড়িটির যুগপৎ দুই কারণে ঐতিহাসিক তাৎপর্য রয়েছে। একদিকে ৩২ নম্বর যেমন ছিল স্বাধিকার ও স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম প্রাণকেন্দ্র, তেমনি মুক্তিযুদ্ধের পর এর বিপরীতে এটা ছিলো একনায়কতান্ত্রিক শাসন ও বাকশালের নিদর্শন। ইতিহাসের স্বার্থেই ৩২ নম্বর সাক্ষী হয়ে আছে। ইতিহাসের সঙ্গে সম্পর্কিত কোনো স্থাপনা ভেঙে দেওয়া বা গুঁড়িয়ে দেওয়ার চেয়েও আরও বেশি প্রয়োজন হচ্ছে ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক ও সমাজশক্তির ঐক্যের ভিত্তিতে বিকল্প রাজনৈতিক কেন্দ্র গড়ে তোলা। এই নতুন দেশজ প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই ঔপনিবেশিক শাসনব্যবস্থার বিপরীতে অন্তর্ভুক্তিমূলক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়ে উঠবে। এটাই হবে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে রক্ষাকবচ। তিনি আরও বলেন, গণতান্ত্রিক কিংবা স্বৈরাচারী ইতিহাসের উদ্ভব, উত্থান, রূপান্তর এবং পতনের পর্যালোচনা ও মূল্যায়ন- পরবর্তী প্রজন্মের কাছে উত্থাপন করাই ঐতিহাসিক কর্তব্য। এ পরিস্থিতিতে আওয়ামী ফ্যাসিবাদী শক্তির নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা যে কোনো মূল্যে প্রতিহত করতে হবে। ‘শেখ হাসিনাই ৩২ নম্বর গুঁড়িয়ে দেওয়ার উসকানি দেন’ ৩২ নম্বরে ভাঙচুর, কী বলছে ছাত্রদল? শেখ হাসিনাকে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার গণহত্যাকারী হিসেবে উল্লেখ করে আব্দুর রব বলেন, শেখ হাসিনা অবৈধ ক্ষমতাকে প্রলম্বিত করতে বঙ্গবন্ধুকে জনগণের ক্ষোভের লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছিলেন। এখনো পালিয়ে থেকে মানসিক ভারসাম্যহীন ও উদ্ভট বক্তব্য দিয়ে বঙ্গবন্ধুর মর্যাদার অবশিষ্টাংশও ধূলিস্যাৎ করার এবং ৩২ নম্বর গুঁড়িয়ে দেওয়ার উসকানি দেন। তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতা-সংগ্রাম’ এবং ‘স্বাধীনতা পরবর্তী’ ক্ষমতাকেন্দ্রিক দুঃশাসনের প্রতীক হিসেবে ভবিষ্যতের ঐতিহাসিক গবেষণার অনিবার্য কারণে ৩২ নম্বর ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে থাকবে। ডেল্টা টাইমস/সিআর
|
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |