লিবিয়ায় দুই গণকবর থেকে ৪৯ অভিবাসী-শরণার্থীর মরদেহ উদ্ধার
ডেল্টা টাইমস ডেস্ক:
প্রকাশ: সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১০:২৭ এএম

লিবিয়ায় ফের গণকবরের সন্ধান। ছবি: আলওয়াহাত জেলা নিরাপত্তা অধিদপ্তর।

লিবিয়ায় ফের গণকবরের সন্ধান। ছবি: আলওয়াহাত জেলা নিরাপত্তা অধিদপ্তর।

লিবিয়ার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় মরুভূমিতে দুটি গণকবর থেকে প্রায় ৫০ জন অভিবাসী ও শরণার্থীর মরদেহ উদ্ধার করেছে কর্তৃপক্ষ। উত্তর আফ্রিকার এই দেশটি হয়ে ইউরোপে পৌঁছানোর চেষ্টা করা মানুষদের জন্য এটি আরেকটি ভয়াবহ ট্র্যাজেডি হিসেবে দেখা হচ্ছে।

রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) এক বিবৃতিতে দেশটির নিরাপত্তা অধিদপ্তর জানিয়েছেয়, গত শুক্রবার কুফরা শহরের একটি খামারে পাওয়া প্রথম গণকবরে ১৯ জনের মরদেহ পাওয়া যায়। মরদেহগুলো ময়নাতদন্তের জন্য নেওয়া হয়েছে।

কুফরার নিরাপত্তা চেম্বারের প্রধান মোহামেদ আল-ফাদিল জানান, দ্বিতীয় গণকবরটি শহরের একটি অভিবাসী আটককেন্দ্রে অভিযান চালানোর পর পাওয়া যায়। সেখানে অন্তত ৩০টি মরদেহ ছিল।

তিনি আরও বলেন, জীবিত উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিদের বিবরণ অনুযায়ী, ওই স্থানে প্রায় ৭০ জনকে দাফন করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কর্মকর্তারা এখনো ওই এলাকায় অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছেন।

লিবিয়ার পূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চলে অভিবাসী ও শরণার্থীদের সহায়তাকারী দাতব্য সংস্থা ‘আল-আব্রিন’ জানিয়েছে, গণকবরে পাওয়া কিছু ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যার পর সেখানে পুঁতে ফেলা হয়।

লিবিয়ায় এর আগেও শরণার্থীদের গণকবরের সন্ধান পাওয়া গেছে। ইউরোপে পৌঁছানোর চেষ্টাকারী আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের অভিবাসীদের জন্য দেশটি প্রধান ট্রানজিট পয়েন্ট হিসেবে পরিচিত। গত বছর রাজধানী ত্রিপোলির দক্ষিণে শুয়াইরিফ অঞ্চলে অন্তত ৬৫ জন অভিবাসীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল।

লিবিয়ায় গত এক দশকের বেশি সময় ধরে অস্থিতিশীলতার সুযোগ নিয়ে মানবপাচারকারীরা দেশটির ছয়টি প্রতিবেশী দেশ— চাদ, নাইজার, সুদান, মিসর, আলজেরিয়া ও তিউনিসিয়ার সীমান্ত দিয়ে অভিবাসী ও শরণার্থীদের পাচার করে আসছে।

জাতিসংঘ ও মানবাধিকার সংস্থাগুলো দীর্ঘদিন ধরে লিবিয়ায় শরণার্থীদের প্রতি ভয়াবহ নিপীড়ন ও নির্যাতনের নথিভুক্ত বিবরণ প্রকাশ করে আসছে। এর মধ্যে রয়েছে জোরপূর্বক শ্রম, মারধর, ধর্ষণ ও নির্যাতন। অনেক ক্ষেত্রে তাদের পরিবারের কাছ থেকে মুক্তিপণ আদায়ের জন্যও অত্যাচার চালানো হয়।

যেসব অভিবাসী লিবিয়া থেকে ইউরোপ যাওয়ার চেষ্টা করার সময় আটক হন, তাদের সরকার পরিচালিত আটককেন্দ্রে রাখা হয়। সেখানেও তারা একই ধরনের নির্যাতনের শিকার হন বলে মানবাধিকার সংস্থাগুলো ও জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন।

২০১১ সালে ন্যাটো-সমর্থিত বিদ্রোহের মাধ্যমে লিবিয়ার নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফিকে ক্ষমতাচ্যুত ও হত্যার পর দেশটিতে চরম বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে দেশটি প্রতিদ্বন্দ্বী সরকারগুলোর মধ্যে বিভক্ত রয়েছে। পূর্ব ও পশ্চিম লিবিয়ায় আলাদা সরকার শাসন করছে, যাদের পেছনে রয়েছে বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠী ও বিদেশি শক্তির সমর্থন। -- সূত্র: আল-জাজিরা


ডেল্টা টাইমস/সিআর/এমই

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
  এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ  
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. জাহাঙ্গীর আলম, নির্বাহী সম্পাদক: মো. আমিনুর রহমান
প্রকাশক কর্তৃক ৩৭/২ জামান টাওয়ার (লেভেল ১৪), পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত
এবং বিসমিল্লাহ প্রিন্টিং প্রেস ২১৯ ফকিরাপুল, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত।

ফোন: ০২-৪৭১২০৮৬০, ০২-৪৭১২০৮৬২, ই-মেইল : deltatimes24@gmail.com, deltatimes24@yahoo.com
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. জাহাঙ্গীর আলম, নির্বাহী সম্পাদক: মো. আমিনুর রহমান
প্রকাশক কর্তৃক ৩৭/২ জামান টাওয়ার (লেভেল ১৪), পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত
এবং বিসমিল্লাহ প্রিন্টিং প্রেস ২১৯ ফকিরাপুল, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত।
ফোন: ০২-৪৭১২০৮৬০, ০২-৪৭১২০৮৬২, ই-মেইল : deltatimes24@gmail.com, deltatimes24@yahoo.com