ঋতুরাজ বসন্তকে সুস্বাগতম
মো. জিল্লুর রহমান
|
![]() ঋতুরাজ বসন্তকে সুস্বাগতম শীত শেষে উঁকি দিচ্ছে বসন্ত। আকুল করে তুলেছে প্রকৃতিকে। দখিনা বাতাস আর প্রকৃতিজুড়ে আগুন ঝড়া রঙের প্রাবল্য। ঝড়াপাতা ধুলায় লটিয়ে নতুন কুড়ি উঁকি দিচ্ছে আকাশপানে। আর তার দোলা লেগেছে মানব মনে। কেমন করা এক ভালোলাগার অনুভব মনের গহীনে। শীতের আড়মোড়া ভেঙে, রুক্ষ, শুষ্কতার ক্ষণকে বিদায় করে শিমুল পলাশের বাসন্তী আভায় নিজেকে সাজিয়ে নিয়েছে প্রকৃতি। গাছে গাছে নতুন কুড়ি আর নানান রঙের বাহারি ফুলে জানিয়ে দিচ্ছে, বসন্ত এসে গেছে। প্রকৃতির কোল জুড়ে তাই ঋতুরাজ বসন্তের আগমনী বার্তা। রঙিন হয়ে ওঠা প্রকৃতির এই মধুর দোলায় দুলে উঠেছে নাগরিক হৃদয়ও। যদিও ইট কাঠের এই নগরীতে প্রকৃতির খুব একটা পরিসর নেই। তারপরও, যেটুকু রয়েছে, আন্দোলিত করে তুলেছে প্রকৃতি প্রেমীদের। তবে ঋতুরাজ বসন্তে মিলছে না কোকিলের কুহু কুহু ডাক। বাংলাদেশ ষড়ঋতুর দেশ। এক একটি ঋতুর এক একটি বৈশিষ্ট্য আছে। বসন্তের কোকিল একটি পরিচিত পাখি। এদের চমৎকার গান বসন্তকালকে মুখরিত করে রাখে। বর্তমানে কোকিল আছে সাহিত্যের পাতায়, মানুষের মুখে, গানে-বাগধারায়। কোকিলকণ্ঠী, বসন্তের কোকিল-এমন কত না উপমায় কোকিল ব্যবহৃত হয়। কোকিলের কুহুতান ছাড়া বসন্ত ভাবা যায় না। তবে গ্রামেগঞ্জে কালে ভদ্রে কোকিলের কুহুকুহু ডাক শোনা যায়। ঋতুচক্র এখন যেন আর পঞ্জিকার অনুশাসন মানছে না। কুয়াশার চাদরমোড়া অকাল শীত তার তীব্রতা ছড়াতে না ছড়াতেই বিদায় নিল। প্রকৃতির দিকে তাকালে শীত বরষার মত বসন্তকেও সহজে চেনা যায়। ঋতুররাজা বসন্তকে বরণ করতে চলছে নানা আয়োজন। প্রকৃতির যতটুকু অবশিষ্ট আছে সেটাই সাজবে। ফুল এখন এই বসন্তে ফুটবে গাছ কম বেশি যা-ই থাক। তবে গাছ থাক না থাক, কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের ভাষায় ‘ফুল ফুটুক আর নাই ফুটুক/ আজ বসন্ত’। কোকিল ডাকুক আর নাই ডাকুক বসন্ত এসে গেছে। ঋতুরাজ বসন্তকে সুস্বাগতম। লেখক : ব্যাংকার ও কলামিস্ট। ডেল্টা টাইমস্/মো. জিল্লুর রহমান/সিআর |
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |