প্রকাশ: রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১:৪৭ পিএম আপডেট: ১৬.০২.২০২৫ ১:৫৭ পিএম

দ্রুত জাতীয় নির্বাচন দিয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। 

রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে বিভিন্ন জেলার বিএনপির নেতাকর্মীদের নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এ মন্তব্য করেন তিনি।

অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচন দিতে গরিমসি করছে দাবি করে রিজভী বলেন, জাতি এখন অবাধ-সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করছে। শেখ হাসিনা ভয়ংকর পরিকল্পনা নিয়ে ওঁৎ পেতে আছে। দ্রুত জাতীয় নির্বাচন দিয়ে সেই ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করতে হবে।
তিনি বলেন, কতিপয় রাজনৈতিক দল জাতীয় নির্বাচনের আগেই স্থানীয় সরকার নির্বাচনের যে দাবি জানাচ্ছে, তা দূরভিসন্ধিমূলক। যে গণতন্ত্রের জন্য এতো জীবন গেলো, সেই গণতন্ত্র ফেরাতে ভোটের জন্য চূড়ান্ত ডেডলাইন দিতে হবে এই সরকারকে।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, আমরা হাসিনাকে পরাজিত করতে পেরেছি, তিনি পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন কিন্তু আমাদের সব কিছু শেষ করে দিয়ে গেছেন। গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য অনেক কাজ বাকি আছে।

রিজভী বলেন, আপনারা জানেন একেকজন মন্ত্রী, এমপি ও আওয়ামী লীগের নেতাদের ব্যাংকে লেনদেন পাওয়া যাচ্ছে হাজার কোটি টাকার। তারা (শেখ হাসিনা ও তার সহযোগীরা) গোটা দেশ ও গোটা জাতিকে আওয়ামী লুণ্ঠনের স্বর্গরাজ্য বানিয়েছিলেন। তারা বার বার গণহত্যা করেছে। শেখ হাসিনার বাবা বাকশাল করেছিল আর এবার সে দ্বিতীয় বাকশাল তৈরি করেছিল। তার নির্দেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আমাদের ছাত্রদল, যুবদলের নেতাদের ধরে ধরে নিয়ে হত্যা করেছিল। যারা গণতন্ত্রের জন্য কর্মসূচি পালন করেছে তাদের হত্যা করেছে। এই হত্যাকারীদের বিচার হবেই।

বিএনপির এ নেতা বলেন, আমরা একটি ঐতিহাসিক অধ্যায় পার হয়ে নতুন অধ্যায় শুরু করেছি। আগে আমাদের কথা বলার স্বাধীনতা ছিল না, আমরা গণতন্ত্রের চর্চা করতে পারতাম না, অনুশীলন করতে পারতাম না, সভা-সমাবেশ করতে পারতাম না। সবসময় আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর গুম, খুন ও নিপীড়ন চালানো হয়েছে, হত্যা করা হয়েছে। আমরা এ পর্যায় অতিক্রম করে এক ভয়ংকর দানব শেখ হাসিনাকে পরাজিত করে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছি। সে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা মাহমুদুর রহমান সুমন, নজরুল ইসলাম আজাদ প্রমুখ।

ডেল্টা টাইমস/সিআর/এমই