অপকর্মের বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের সোচ্চার হওয়ার আহ্বান
ডেল্টা টাইমস ডেস্ক:
|
![]() অপকর্মের বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের সোচ্চার হওয়ার আহ্বান শুক্রবার (১৪ মার্চ) পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষ্যে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) ইফতার মাহফিলে বিএনপি-জামায়াতের নেতারা অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন। ইফতার পূর্ব বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, কোন কোন ব্যবসায়ীর সাথে কোন কোন রাজনৈতিক দলের সম্পর্ক আছে তা সাংবাদিকরা লেখেন না। সাংবাদিকদের দায়-দায়িত্ব অনেক বেশি। সাংবাদিকদের কলমের জোর অনেক। আপনাদের বলা লেখায় জাতির অনেক লাভ হবে। আবার ক্ষতিও হয়ে যেতে পারে। আছিয়াকে ধর্ষণকারীদের বিচার দাবী করেন তিনি। তিনি বলেন, সাংবাদিকদের প্লট দেয়ার অপরাধে আমি একা আসামী হয়েছি, সাংবাদিকরা কেউ আসামী না। এই দু:খ কোনো দিন ভুলতে পারবো না। ইফতারে দাওয়াত দেয়ায় ডিআরইউকে ধন্যবাদ জানান তিনি। সাগর-রুনি হত্যা মামলার চার্জশিট ১১৬ বার পেছানো হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আপনারা কয়বার এই নিউজ লিখেছেন? শুধু যখন চার্জশিট পেছানো হয় তখন ছোট করে নিউজ লিখে দেন! এই যে মাগুরার শিশুটি পুরো দেশটা কাঁদিয়ে বৃহস্পতিবার চলে গেল, আমি তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। শিশুটির সম্পর্কে আপনারা লিখেছেন। খুব ভালো। কিন্তু এরকম শিশু কি আর বাংলাদেশে নাই কিংবা শিশুটির চেয়ে করুন আর কোনো ঘটনা বাংলাদেশে ঘটেনি? এই দেশে কি তনু হত্যা হয় নাই? মুনিয়া ধর্ষণ হয় নাই? আপনারা কেন লেখেন না? কারণ আপনাদের সাংবাদিকদের অনেকেই জায়গা মতো বসে আছে। ওখান থেকে অনেকেই অনেকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন, তাই লেখা হয় না। লেখা হবে না! জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আমি বলতে চাই, উন্নয়নের যতটুকু সম্ভাবনা ছিল, অতীতে দেশ যারা পরিচালনা করেছেন, তারাই সম্ভাবনাটাকে কাজে লাগাতে পারেননি। রাজনীতির স্লোগানটা যদি সত্যিই এমন হয়ে তাকে যে আমার চেয়ে দল বড়, দলের চেয়ে দেশ বড়, তাহলে দেশের স্বার্থটাই বড় করে দেখার কথা ছিল। কিন্তু বাস্তবে রাজনীতিবিদরা তাদের কর্মকাণ্ডে সেটা করেননি। সাংবাদিকরা সমাজের চতুর্থ স্তম্ভ উল্লেখ করে তিনি বলেন, স্বচ্ছতার যদি ঘাটতি হয় তাহলে সমাজ খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে সামনের দিকে যায়, হামাগুড়ি দিয়ে যায়। দৌড়ে সামনের দিকে বা গন্তব্যের দিকে যেতে পারে না। বাংলাদেশের অবস্থা বাস্তবে এটিই হয়েছে। এ অবস্থায় রাজনীতিবিদদের অবশ্যই আত্মসমালোচনা প্রয়োজন। তার পাশাপাশি গণমাধ্যমে যারা আছেন তাদের বুক টান করে দাঁড়ানো দরকার। মাগুরার সেই শিশুর মৃত্যুতে শফিকুল রহমান বলেন, শিশুটি বৃহস্পতিবার সবাইকে কাঁদিয়ে দিয়ে চলে গেল। মির্জা আব্বাস ভাই বলেছেন- ‘এরকম আরও বহু হৃদয় বিদারক ঘটনা ঘটেছে।’ ডিআরইউ সভাপতি আবু সালেহ আকন ইফতার মাহফিলে অংশ নেয়ায় রাজনীতিবিদ ও ডিআরইউ সদস্যদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল। বক্তব্য রাখেন, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ডিআরইউ সাবেক সভাপতি শাহজাহান সরদার, সাখাওয়াত হোসেন বাদশা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, ডিইউজে সভাপতি শহিদুল ইসলাম ও ডিআরইউ সহ-সভাপতি ও ইফতার কমিটির আহ্বায়ক গাযী আনোয়ার। উপস্থিত ছিলেন, ডিআরইউ সাবেক সভাপতি সাইফুল ইসলাম, ইলিয়াস হোসেন, রফিকুল ইসলাম আজাদ, নজরুল ইসলাম মিঠু, সৈয়দ শুকুর আলী শুভ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন লিটন, কবির আহমেদ খান, মহি উদ্দিন, ডিআরইউ কল্যাণ সম্পাদক ও ইফতার কমিটির সদস্য সচিব রফিক মৃধা। এছাড়া জামায়াতের সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল হালিম, বিকল্প ধারা বাংলাদেশের মুখপাত্র মাহী বি চৌধুরী, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এনডিপি) চেয়ারম্যান কে এম আবু তাহের, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব ভূঁইয়া, ডিইউজে সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলম, ডিআরইউ যুগ্ম সম্পাদক নাদিয়া শারমিন, অর্থ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন সুমন, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল হাই তুহিন, দপ্তর সম্পাদক রফিক রাফি, নারী বিষয়ক সম্পাদক রোজিনা রোজী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মিজান চৌধুরী, তথ্য প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক মো. বোরহান উদ্দীন, ক্রীড়া সম্পাদক মো. মজিবুর রহমান, আপ্যায়ন সম্পাদক মোহাম্মদ ছলিম উল্লাহ (মেজবাহ), কার্যনির্বাহী সদস্য মোঃ জুনায়েদ হোসাইন (জুনায়েদ শিশির), আকতারুজ্জমান, আমিনুল হক ভূঁইয়া, মো: ফারুক আলম, সুমন চৌধুরী ও মোঃ সলিম উল্ল্যা (এস. ইউ সেলিম) সহ ডিআরইউ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। মোনাজাত পরিচালনা করেন সেগুনবাগিচা নূর মসজিদের খতিব আবুল হাসনাত। ডেল্টা টাইমস/সিআর
|
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |