মুক্তিযুদ্ধ ও গণঅভ্যুত্থানকে এক কাতারে আনতে চায় না বিএনপি
নিজস্ব প্রতিবেদক:
|
![]() মুক্তিযুদ্ধ ও গণঅভ্যুত্থানকে এক কাতারে আনতে চায় না বিএনপি রোববার (২৩ মার্চ) দুপুরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল জাতীয় সংসদ ভবনে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কার্যালয়ে গিয়ে লিখিত মতামত জমা দেয়। পরে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমদ সাংবাদিকদের এ কথাগুলো বলেন। সালাহ উদ্দিন আহমদ বলেন, সংবিধানের প্রস্তাবনা স্পেটশিটে উল্লেখ করা হয়নি। এটি উচিত ছিল। সংবিধানের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো প্রস্তাবনা। সেটি পুরোপুরি পরিবর্তন বা সংশোধনের প্রস্তাব করা হয়েছে। অনেকটা পুনর্লিখনের মতো। সেখানে ১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধের সঙ্গে ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানকে এক কাতারে আনা হয়েছে। এটা সমুচিত বলে বিএনপি মনে করে না। এটাকে অন্য জায়গায় রাখা বা সংবিধানের তফসিল অংশে রাখার বিভিন্ন রকম সুযোগ আছে। সেটা আলোচনা করে করা যাবে। বিএনপি পঞ্চদশ সংশোধনের আগের অবস্থায় যে প্রস্তাবনা ছিল, সেটির পক্ষে। সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্টের মতামতের ভিত্তিতেই এই অন্তর্বর্তী সরকার শপথ গ্রহণ করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এই সরকার বৈধ। তারপরও বৈধতার সন্দেহ থাকলে পরে যখন অনেকগুলো ভেরিফিকেশন আসবে তখন একোমোডেট করা যাবে।’ বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কার্যালয়ে লিখিত মতামত জমা দেয়। সংবিধানে রাষ্ট্রের নাম পরিবর্তনের বিষয়ে সালাহ উদ্দিন আহমদ বলেন, বাংলাদেশের মানুষ দীর্ঘদিনের প্র্যাকটিসের (চর্চা) মাধ্যমে রাষ্ট্রের নাম মেনে নিয়েছে। এটা নিয়ে কতটুকু অর্জন হবে, তা প্রশ্নের দাবি রাখে। এ বিষয়ে বিএনপি একমত নয়। সালাহ উদ্দিন আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের কিছু সুপারিশ বাস্তবায়িত হলে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ হবে বলে মনে করে বিএনপি। সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণের ক্ষমতা, জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা ইসির হাতে থাকা উচিত বলে মনে করে বিএনপি। নির্বাচন কমিশনকে দায়বদ্ধ করার জন্য সংসদীয় কমিটির হাতে ক্ষমতা দেওয়ার যে প্রস্তাব করা হয়েছে, বিএনপি সেটির সঙ্গেও একমত নয়। সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী পূর্বের অবস্থায় বহাল রাখা, জাতীয় পরিচয়পত্র ও সংসদীয় আসন পুনঃনির্ধারণ ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের হাতে রাখতে মতামত জানিয়েছে দলটি। এর আগে, সংস্কার কমিশনগুলোর করা সুপারিশ চূড়ান্ত করতে গত ২০ মার্চ থেকে আনুষ্ঠানিক সংলাপ শুরু করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। প্রথম দিনের সংলাপে অংশ নেয় লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি)। সেদিন রাষ্ট্র সংস্কার ইস্যুতে ঐকমত্য কমিশনের ১৬৬ সুপারিশের মধ্যে ১২০টিতে একমত পোষণ করে এলডিপি। পরে শনিবার বৈঠকে যোগ দেয় খেলাফত মজলিস ও লেবার পার্টির নেতারা। সংবিধান, নির্বাচন ব্যবস্থা, জনপ্রশাসন, দুর্নীতি দমন ও বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ ১৬৬টি সুপারিশের বিষয়ে মতামত চেয়ে ৬ মার্চ ৩৭টি দলকে চিঠি দেয় ঐকমত্য কমিশন। এরই ধারাবাহিকতায় রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করছে ঐকমত্য কমিশন। ডেল্টা টাইমস/সিআর
|
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |